০৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন নিয়ন্ত্রণে ২৭ ঘণ্টা পর কার্গো ভিলেজে আগুনের পর পণ্য সংরক্ষণে বিকল্প স্থান নির্ধারণ করল সিভিল অ্যাভিয়েশন অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়িক আস্থার ক্ষতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকির আশঙ্কা শ্রমিক বিক্ষোভে আশুলিয়ার ছয় পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা তিন আগুনের পর ‘নাশকতার অভিযোগ, সন্দেহ আর অবিশ্বাস’ আলোচনায় জন বোলটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ: ট্রাম্পের সমালোচক আবারও বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে কন্টিনজেন্ট ফেরত পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন ১৩ বছর বয়সী জে টেলরের আত্মহত্যার পেছনে রহস্য: FBI-র তদন্তে ‘হোয়াইট টাইগার’ এর সন্ধান সেনাপ্রধানের সাথে কুয়েতের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী H.E. Sameeh Essa Johar Hayat এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ধারাবাহিক পতনে ধসের মুখে শেয়ারবাজার — ৫ হাজার পয়েন্ট সীমার কাছাকাছি ডিএসই সূচক

জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ আসলে পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা — নাহিদ ইসলাম

জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত তথাকথিত ‘পিআর আন্দোলন’কে ‘পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার মতে, জনগণ এখন এই প্রতারণার মুখোশ চিনে ফেলেছে এবং আর কেউ ভুয়া সংস্কার বা কৌশলগত রাজনৈতিক চালবাজিতে প্রতারিত হবে না।


জনগণের চোখ খুলে গেছে

রবিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন এই প্রতারণা বুঝে ফেলেছে। তারা সত্যে জেগে উঠেছে। আর কখনো অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিকে এই দেশের ওপর শাসন করতে দেবে না— সর্বশক্তিমান আল্লাহও না, এই দেশের সার্বভৌম জনগণও না।”


সংস্কার প্রক্রিয়া ভাঙার নকশা

তিনি বলেন, জামায়াতের এই তথাকথিত পিআর আন্দোলন আসলে ছিল সম্মিলিত কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে ভাঙার একটি কৌশল।
এর মূল লক্ষ্য ছিল জাতীয় সংলাপকে জনগণের দাবির মূল প্রশ্ন—রাষ্ট্র ও সংবিধানের পুনর্গঠন—থেকে সরিয়ে দেওয়া।

জামায়াতের পিআর আন্দোলন একটি রাজনৈতিক প্রতারণা : নাহিদ ইসলাম

প্রকৃত সংস্কার দাবি ও লক্ষ্য

নাহিদ ইসলামের মতে, জনগণের ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা) ভিত্তিক একটি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি ছিল একটি সংবিধানিক নিরাপত্তাব্যবস্থা হিসেবে প্রস্তাবিত।
তিনি লেখেন, “আমরা এমন মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে একটি গণআন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম এবং জুলাই চার্টারের আইনি কাঠামোকে জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম।”


জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন

নাহিদ অভিযোগ করেন, “জামায়াত ও তাদের মিত্ররা এই আন্দোলনের লক্ষ্যকে ছিনিয়ে নিয়ে সেটিকে কেবল একটি ‘প্রযুক্তিগত’ পিআর ইস্যুতে নামিয়ে আনে। তারা এটিকে নিজেদের দলীয় স্বার্থে দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাদের উদ্দেশ্য কখনোই সংস্কার ছিল না, বরং ছিল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার।”


সংস্কারের নামে অনুপ্রবেশ

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনোই প্রকৃত সংস্কার আলোচনায় যুক্ত ছিল না—না জুলাই বিদ্রোহের আগে, না পরে। তারা কোনো মৌলিক প্রস্তাব দেয়নি, কোনো সংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেনি, কিংবা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে আস্থাও প্রকাশ করেনি।
নাহিদের ভাষায়, “সম্মিলিত কমিশনের সংস্কার আলোচনায় তাদের আকস্মিক যোগদান ছিল কোনো নীতিগত বিশ্বাস নয়, বরং এটি ছিল কৌশলগত অনুপ্রবেশ—সংস্কারের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা।”

নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি জামায়াতে ইসলামীকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে নয়, বরং জনতার আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া বিপথে নেবার অপচেষ্টায় অভিযুক্ত করেছেন। তার মতে, জনগণ এখন যথেষ্ট সচেতন এবং এই প্রতারণামূলক রাজনীতি আর সফল হবে না।

#জামায়াতে_ইসলামী, রাজনৈতিক_প্রতারণা, জাতীয়_নাগরিক_পার্টি, নাহিদ_ইসলাম, সংস্কার_প্রক্রিয়া, বাংলাদেশ_রাজনীতি

জনপ্রিয় সংবাদ

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন নিয়ন্ত্রণে ২৭ ঘণ্টা পর

জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ আসলে পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা — নাহিদ ইসলাম

০৬:১১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত তথাকথিত ‘পিআর আন্দোলন’কে ‘পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার মতে, জনগণ এখন এই প্রতারণার মুখোশ চিনে ফেলেছে এবং আর কেউ ভুয়া সংস্কার বা কৌশলগত রাজনৈতিক চালবাজিতে প্রতারিত হবে না।


জনগণের চোখ খুলে গেছে

রবিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন এই প্রতারণা বুঝে ফেলেছে। তারা সত্যে জেগে উঠেছে। আর কখনো অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিকে এই দেশের ওপর শাসন করতে দেবে না— সর্বশক্তিমান আল্লাহও না, এই দেশের সার্বভৌম জনগণও না।”


সংস্কার প্রক্রিয়া ভাঙার নকশা

তিনি বলেন, জামায়াতের এই তথাকথিত পিআর আন্দোলন আসলে ছিল সম্মিলিত কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে ভাঙার একটি কৌশল।
এর মূল লক্ষ্য ছিল জাতীয় সংলাপকে জনগণের দাবির মূল প্রশ্ন—রাষ্ট্র ও সংবিধানের পুনর্গঠন—থেকে সরিয়ে দেওয়া।

জামায়াতের পিআর আন্দোলন একটি রাজনৈতিক প্রতারণা : নাহিদ ইসলাম

প্রকৃত সংস্কার দাবি ও লক্ষ্য

নাহিদ ইসলামের মতে, জনগণের ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা) ভিত্তিক একটি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি ছিল একটি সংবিধানিক নিরাপত্তাব্যবস্থা হিসেবে প্রস্তাবিত।
তিনি লেখেন, “আমরা এমন মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে একটি গণআন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম এবং জুলাই চার্টারের আইনি কাঠামোকে জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম।”


জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন

নাহিদ অভিযোগ করেন, “জামায়াত ও তাদের মিত্ররা এই আন্দোলনের লক্ষ্যকে ছিনিয়ে নিয়ে সেটিকে কেবল একটি ‘প্রযুক্তিগত’ পিআর ইস্যুতে নামিয়ে আনে। তারা এটিকে নিজেদের দলীয় স্বার্থে দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাদের উদ্দেশ্য কখনোই সংস্কার ছিল না, বরং ছিল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার।”


সংস্কারের নামে অনুপ্রবেশ

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনোই প্রকৃত সংস্কার আলোচনায় যুক্ত ছিল না—না জুলাই বিদ্রোহের আগে, না পরে। তারা কোনো মৌলিক প্রস্তাব দেয়নি, কোনো সংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেনি, কিংবা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে আস্থাও প্রকাশ করেনি।
নাহিদের ভাষায়, “সম্মিলিত কমিশনের সংস্কার আলোচনায় তাদের আকস্মিক যোগদান ছিল কোনো নীতিগত বিশ্বাস নয়, বরং এটি ছিল কৌশলগত অনুপ্রবেশ—সংস্কারের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা।”

নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি জামায়াতে ইসলামীকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে নয়, বরং জনতার আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া বিপথে নেবার অপচেষ্টায় অভিযুক্ত করেছেন। তার মতে, জনগণ এখন যথেষ্ট সচেতন এবং এই প্রতারণামূলক রাজনীতি আর সফল হবে না।

#জামায়াতে_ইসলামী, রাজনৈতিক_প্রতারণা, জাতীয়_নাগরিক_পার্টি, নাহিদ_ইসলাম, সংস্কার_প্রক্রিয়া, বাংলাদেশ_রাজনীতি