শ্রী নিখিলনাথ রায় ভগবানগোলার সর্ব্বদা নবাবের নৌসেনা অবস্থিতি করিত। জলপথে মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করিতে হইলে, ভগবানগোলার নিকট আসিয়া উপস্থিত হইতে হয়। এই কারণে বহিঃশত্রুকে বাধা প্রদানের জন্য এবং ভগবানগোলা-বন্দরের সুরক্ষার জন্য
শ্রী নিখিলনাথ রায় সভাসিংহ পশ্চিম বাঙ্গলার অনেক স্থান অধিকার করিয়া, রহিম খাঁকে নদীয়া ও মুখসুদাবাদ অধিকারের জন্য পাঠাইয়া দেয়। রহিম খাঁ মুখসুদাবাদের জায়গীরদার নিয়ামত খাঁকে নিহত করিয়া, কাশীমবাজারের ব্যবসায়িগণের অনুনয়
শ্রী নিখিলনাথ রায় ভগবানগোলা মুর্শিদাবাদ বাঙ্গলা, বিহার, উড়িষ্যার কিরীটভূষিত হওয়ার বহু পূর্ব্ব হইতে, ভগবানগোলা বাঙ্গলার মধ্যে একটি প্রধান স্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল। উত্তালতরঙ্গবাহিনী পদ্মার ক্রোড়স্থিত হওয়ায় ভগবান- গোলা প্রতিনিয়ত বাণিজ্যপোতে
শ্রী নিখিলনাথ রায় যে বেগমের পরামর্শে নবাব আলিবদ্দী খাঁ সমস্ত রাজনৈতিক কার্য্য সম্পন্ন করিতেন এবং যাঁহার পরামর্শবলে নবাব আলিবর্দী খাঁর আদর্শ-শাসনে বঙ্গের প্রজাগণ বিন্নরাশির মধ্যেও শান্তিলাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিল, যে
শ্রী নিখিলনাথ রায় ইহার পর ইংরেজদিগের সহিত সিরাজের ঘোরতর বিবাদ আরম্ভ হইলে, সিরাজ কলিকাতা আক্রমণ করিলেন। হলউয়েল সাহেব অন্ধকূপ হইতে বহির্গত হইয়া মুর্শিদাবাদে আনীত হইলেন। তথায় কিছুদিন বন্দি-ভাবে অবস্থানের পর,
শ্রী নিখিলনাথ রায় নবাববেগম নিজেই তাঁহার উপায় করিলেন।। নবাববেগম হোসেন কুলীর প্রতি ঘসেটীর ক্রোধ জানিতে পারিয়া উক্ত খাঁর বধের জন্য নওয়াজেস্ মহম্মদের মত করিতে ঘসেটাকেই নিযুক্ত করেন। চরিত্রহীনা রমণী যখন
শ্রী নিখিলনাথ রায় আলিবর্দী খাঁ ও তাঁহার বেগমের ন্যায় মহিলা যে সংসারের কর্তা ও কর্ত্রীস্বরূপ ছিলেন, দুঃখের বিষয়, সেই সংসারে ব্যভিচার ও পাপ প্রবেশ করিয়া, তাঁহাদের হৃদয়ে সর্ব্বদা সহস্র বৃশ্চিকদংশনের
শ্রী নিখিলনাথ রায় নবাববেগম এই রূপ অনেক স্থলে নবাবের হৃদয়দৌর্ব্বল্যের অপনোদন করিয়া, তাঁহাকে উৎসাহসহকারে কার্য্যে ব্রতী করিতেন। কি মহা- রাষ্ট্রীয়সমরে, কি আফগানযুদ্ধে সর্ব্বত্রই তিনি উপস্থিত থাকিয়া নবাবকে নানারূপ পরামর্শ দিতেন
শ্রী নিখিলনাথ রায় আফগানেরা তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সমস্ত বিষয়ের বন্দোবস্ত করিতে স্বীকৃত হয়। পরে তাহারা দরবারগৃহে জৈনুদ্দীনের সহিত সাক্ষাতের ছলে তাঁহাকে সেই স্থানে নিহত করিয়া, তাঁহার পরিবারবর্গের যংপরোনাস্তি লাঞ্ছনা
শ্রী নিখিলনাথ রায় ভাস্কর পণ্ডিতের মৃত্যুশ্রবণে রঘুজী অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া অবশেষে স্বয়ং সসৈন্যে বাঙ্গলায় আসিয়া উপস্থিত হন। তিনি প্রথমে উড়িষ্যায় আগমন করেন এবং তথাকার শাসনকর্তা দুর্লভরামকে বন্দী করিয়া, বীরভূম প্রদেশ