চণ্ডীগড়ের উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী এম কে ভাটিয়া দিওয়ালি উপলক্ষে তাঁর কর্মীদের জন্য এক অনন্য উপহার দিয়েছেন: ৫১টি একেবারে নতুন গাড়ি। মিৎস হেলথকেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা এই ব্যবসায়ী নিজের সেরা পারফর্মারদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিয়ে বলেছেন, “তাঁরা আমার জীবনের, রকস্টার সেলিব্রিটি।”
ধারাবাহিক ‘হাফ সেঞ্চুরি’ গিফট
ভাটিয়া জানান, এটি তাঁর ধারাবাহিক তৃতীয় বছর, যখন তিনি সহকর্মীদের গাড়ি উপহার দিচ্ছেন। লিংকডইনে তিনি লিখেছেন, “গত দুই বছর ধরে আমরা আমাদের অসাধারণ দলকে গাড়ি উপহার দিয়ে উদযাপন করছি—এ-বছরও সেই আনন্দ অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি কখনও তাঁদের কর্মী বা স্টাফ বলে ডাকিনি। তাঁরা আমার ফিল্মি জীবনের রকস্টার সেলিব্রিটি—যাঁরা আমাদের যাত্রার প্রতিটি দৃশ্যকে ব্লকবাস্টার করে তুলেছেন। কিছু গাড়ি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে, আরও আসছে। এই দিওয়ালি হবে বিশেষভাবে আনন্দের।”
‘কার গিফট র্যালি’ ও কর্মীদের সম্মাননা
পিটিআই জানিয়েছে, পুরো সপ্তাহ জুড়ে ভাটিয়া কর্মীদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন। এরপর শোরুম থেকে মিৎস অফিস পর্যন্ত একটি উৎসবমুখর ‘কার গিফট র্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়।
কেন এমন দামী উপহার দেন, জানতে চাইলে ভাটিয়া বলেন, “আমার সহকর্মীরা আমার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর মেরুদণ্ড। তাঁদের পরিশ্রম, সততা ও নিষ্ঠাই আমাদের সাফল্যের ভিত্তি। তাঁদের কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া ও অনুপ্রাণিত করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।”
সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসার ঝড়
ভাটিয়ার এই উদ্যোগ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বহু ব্যবহারকারী তাঁর উদারতা ও কর্মীবান্ধব মনোভাবের প্রশংসা করেছেন।
একজন মন্তব্য করেন, “আমি আমার ম্যানেজারকে দেখালাম, উনি বললেন, এটা তো নাকি এআই জেনারেটেড ভিডিও। অথচ আমাদের অফিসে দিওয়ালিতে দেওয়া হয়েছে ছোট্ট এক জার শুকনো ফল আর চারটা প্রদীপ।”
আরেকজন লিখেছেন, “আপনার দলের জন্য এটি সত্যিই আনন্দের মুহূর্ত। তাঁদের জন্য শুভকামনা ও সুখের প্রার্থনা।”
তৃতীয় একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “এম কে ভাটিয়া জি, এই যুগে আপনার মতো মানুষ দুর্লভ। আপনার আচরণ নিজেই ঈশ্বরের এক আশীর্বাদ। আমরা প্রার্থনা করি ঈশ্বর যেন আপনাকে আরও সুখী রাখেন।”
একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে কর্মীদের এমনভাবে সম্মান জানানো বিরল ঘটনা। এম কে ভাটিয়া প্রমাণ করেছেন, কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে শুধু সম্পর্ক নয়, সাফল্যের পথও আরও দৃঢ় হয়।
:# দিওয়ালি, #এম কে ভাটিয়া,# মিৎস হেলথকেয়ার, #গাড়ি উপহার, #উদ্যোক্তা, #কর্মী সম্মান, #সারাক্ষণ রিপোর্ট