বাংলাদেশে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ বলেছেন, এই নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে বিশ্বাসযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক। একাধিক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্ঝরণ ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি—বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।”
১২ কোটি ৭০ লাখ ভোটারের গণতান্ত্রিক অধিকার
রুডিগার লোটজ জানান, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছিল ফলপ্রসূ।
তিনি বলেন, “আগামী বছর বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।”
গণতন্ত্রে ফিরে আসার সুযোগ
জার্মান রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও এশিয়া ও বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাতারে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা অঞ্চলের এবং বৈশ্বিক গণতন্ত্রের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।”
নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা ও শুভকামনা
তিনি বলেন, “এই নির্বাচন কমিশন একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশংসনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি তাদের সফলতা কামনা করছি, পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণকেও শুভকামনা জানাচ্ছি যেন তারা প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রে ফিরে আসতে পারেন।”
# বাংলাদেশনির্বাচন, জার্মানরাষ্ট্রদূত, নির্বাচনকমিশন, গণতন্ত্র, সারাক্ষণরিপোর্ট