ঐতিহ্য, আধুনিকতা ও একটি ট্রেন
শাহরুখ খান ও কাজল ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’–র ৩০ বছর উপলক্ষে ছবিটির উত্তরাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন—একটি প্রেম, যা প্রবাসী জীবনের অভিজ্ঞতা, পারিবারিক অনুমতি ও ব্যক্তিস্বাধীনতার ভারসাম্য নতুন করে লিখেছিল। সুইস মন্টাজ বা সর্ষেখেতের দৃশ্য—সবই এখন ক্লাসিক; কিন্তু আলোচনার মূলে আছে নির্মাণশৈলী: গান বসানোর সময়জ্ঞান, চরিত্রের ধাপে ধাপে বদল, এবং বিনয়ী বিদ্রোহের পথ। ২০২৫-এর বাজারে যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি ও মাঝারি বাজেটের নাটক পাশাপাশি চলছে, ‘ডিডিএলজে’ ধরনের চিরসবুজ ছবি এখনও প্রিমিয়াম শো, রি-রিলিজ ও থিমেড স্ক্রিনিংয়ে ভিড় টানে।
এখানেই ছবিটির পাঠ। ঐতিহ্যকে শত্রু না বানিয়ে, আধুনিকতাকে বিচ্ছেদ নয়—সংলাপ বানিয়ে, গল্প এগোয়। বিদেশি প্রেক্ষাপটকে ঘরোয়া করে দেখানো, বড়দের আপত্তিকে ভিলেন না বানিয়ে যাত্রার অংশ করা—পরে বহু ছবি এই ছাঁচ নিয়েছে। ট্রেন প্ল্যাটফর্মের শেষ দৃশ্য, সঙ্গীতের সেলাই-সুতো, এবং এসআরকে–কাজলের রসায়ন কেন আজও তরতাজা—এই প্রশ্নগুলোই ৩০ বছর পূর্তিতে নতুন করে উচ্চারিত হচ্ছে। থিয়েটার ও স্ট্রিমাররা নভেম্বরে কিউরেটেড স্লেটে এই আনিভার্সারি ধরবে—মার্চেন্ডাইজ ও আলোচনাসভা মিলিয়ে—যেখানে বলিউডের ‘সফট পাওয়ার’ নিয়ে নতুন পাঠও তৈরি হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















