ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা এয়ারবাসের নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দুই দশকে বিশ্বব্যাপী মালবাহী বিমানের সংখ্যা প্রায় ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাব অনুযায়ী, ২০৪৪ সালের মধ্যে ৩,৪২০টি ফ্রেইটার বা মালবাহী বিমান সক্রিয় থাকবে—যার মধ্যে অধিকাংশই নতুন সংযোজন বা পুরনো বিমানের পরিবর্তে যুক্ত হবে।
মালবাহী বিমানের ভবিষ্যৎ বৃদ্ধি
প্যারিসে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এয়ারবাস জানায়, বর্তমানে ব্যবহৃত ৮১৫টি ফ্রেইটারের পাশাপাশি আরও ২,৬০৫টি নতুন বিমান প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ১,৫৩০টি পুরনো বিমানের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং বাকি ১,০৭৫টি বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য যুক্ত হবে।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এই বৃদ্ধি আসছে দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পণ্য পরিবহনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা থেকে।

আঞ্চলিক চাহিদায় শীর্ষে উত্তর-আমেরিকা ও এশিয়া
এয়ারবাসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২০ বছরে প্রয়োজনীয় এই নতুন ফ্রেইটার ডেলিভারির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই যাবে উত্তর-আমেরিকা ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। এসব অঞ্চলে ই-কমার্সের প্রসার, দ্রুত পণ্য পরিবহনের চাহিদা এবং শিল্পোন্নয়ন ফ্রেইটার বাজারকে আরও প্রসারিত করছে।
অর্থনীতি ও সমাজে ভূমিকা
এয়ারবাস জানিয়েছে, আকাশপথে পণ্য পরিবহন এখন কেবল অর্থনীতির সহায়ক নয়—এটি দূরবর্তী অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, গুরুত্বপূর্ণ ও জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী পরিবহন এবং উদীয়মান দেশের স্থানীয় ব্যবসা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিশ্ব অর্থনীতি যখন ক্রমে বৈশ্বিক বাণিজ্য নির্ভর হয়ে উঠছে, তখন মালবাহী বিমান শিল্পের এই প্রবৃদ্ধি আকাশ পরিবহন খাতের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এয়ারবাসের পূর্বাভাস ইঙ্গিত দেয়, আগামী দুই দশক এই শিল্পের জন্য হবে সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সময়।
# এয়ারবাস,# মালবাহী বিমান, #বাণিজ্য বৃদ্ধি,# উত্তর আমেরিকা, #এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর,# সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















