০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
‘দ্য বস’-এর সঙ্গে বেড়ে ওঠা— জীবনের ছন্দ খুঁজে পাওয়া ঘুম এখন স্ট্যাটাস সিগনাল: ‘স্লিপম্যাক্সিং’ কেন মানুষকে আরও ক্লান্ত করছে কানাডার স্থাপত্য বিস্ময়— বৃষ্টি থেকে অনুপ্রেরণা, টরন্টোর স্কাইডোম চেইনসো ম্যান’ বক্স অফিসে নাম্বার ওয়ান: অ্যানিমে এখন শুধু ‘নিশ’ নয়, মেইন ইভেন্ট অজানা প্রাণীর অস্তিত্বে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি  জাংকুকের একক স্টেজ এখন টিকটক-ক্যামেরা ফার্স্ট: ফ্যানের ফোনই অফিসিয়াল শট” মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫৪) অ্যাপল ম্যাপসেও এখন বিজ্ঞাপন? ‘নিয়ার মি’ সার্চই হবে বিডিং ওয়ার সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ চার দিন- ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত শতাধিক যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যায় যাবজ্জীবন

চেইনসো ম্যান’ বক্স অফিসে নাম্বার ওয়ান: অ্যানিমে এখন শুধু ‘নিশ’ নয়, মেইন ইভেন্ট

অ্যানিমের বাণিজ্যিক শক্তি
উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে সপ্তাহান্তের শীর্ষস্থান এখন অ্যানিমের হাতে। জনপ্রিয় মাঙ্গা অবলম্বনে নির্মিত ‘চেইনসো ম্যান’ আনুমানিক ১৭ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ওপেন করেছে এবং সরাসরি সপ্তাহান্তের নাম্বার ওয়ান জায়গা দখল করেছে, বলে ভ্যারাইটি জানিয়েছে। এর মানে হলো, এটি শুধু তরুণ ফ্যানবেসকে জাগিয়েছে তা নয়, বরং প্রথাগত হলিউড রিলিজগুলোকেও পিছিয়ে দিয়েছে। একই উইকএন্ডে মুক্তি পাওয়া ‘স্প্রিংস্টিন — ডেলিভার মি ফ্রম নোওহেয়ার’, রক আইকন ব্রুস স্প্রিংস্টিনকে ঘিরে বানানো বায়োপিক, প্রায় ৯ মিলিয়ন ডলারের অবস্থান নিশ্চিত করলেও ‘চেইনসো ম্যান’-কে পেরোতে পারেনি। হরর সিকুয়েল ‘ব্ল্যাক ফোন ২’-ও ভালো আউটলুক দেখিয়েছে (মাঝ-২০ মিলিয়ন ডলারের ওপেনিং রেঞ্জ নিয়ে আলোচনা চলেছে), কিন্তু রবিবারের হিসেবে শীর্ষে থাকতে পারেনি।
হলিউড বহুদিন ধরে বলছিল অ্যানিমের এই বড় উইকএন্ডগুলো নাকি “একঘেয়া ফ্যান ইভেন্ট”—একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড, একবারের ঢেউ। কিন্তু সাম্প্রতিক বক্স অফিস ইঙ্গিত দিচ্ছে, এটা এখন ধারাবাহিক প্যাটার্ন। সীমিত কিন্তু প্রিমিয়াম শো, এক্সক্লুসিভ মার্চেন্ডাইজ, এবং ফ্যান-মিট ধরনের পরিবেশকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়, তা মূলধারার প্রোমো ক্যাম্পেইনের মতোই কাজ করছে—কেবল অনেক দ্রুত। দর্শকরা অগ্রিম টিকিট কাটে, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হলে আসে, শুক্রবার-শনিবার থিয়েটার ভরিয়ে ফেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লিপ ছড়িয়ে দেয়, কসপ্লে পোস্ট করে—এবং এ সবকিছু স্টুডিওকে প্রায় বিনা খরচে মার্কেটিং সুবিধা দেয়।

হলিউডের জন্য সতর্ক সিগনাল
সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। অক্টোবরের শেষভাগ সাধারণত হরর ও ফ্র্যাঞ্চাইজি সিকুয়েলদের জন্য নিরাপদ উইন্ডো বলে ধরা হতো। এখন সেই উইন্ডোতে থিয়েটারচেইনগুলো বড় স্ক্রিন বরাদ্দ দিচ্ছে অ্যানিমেকে, কারণ এই দর্শক শুধু টিকিটই কেনে না, প্রিমিয়াম ফরম্যাটেও খরচ করে। কোভিড-পরে হলে ফিরে আসা এই আয়ের ধারাবাহিকতা থিয়েটার মালিকদের কাছে বড় বিষয়।
এটা বড় স্টুডিওদের জন্য নতুন চাপ। স্ট্রিমিং ইতোমধ্যে তাদের মার্জিন কমিয়েছে, আর প্রোডাকশন খরচ বাড়িয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, উত্তর আমেরিকার মূলধারার উইকএন্ডও জাপানি অ্যানিমে বা মাঙ্গা-অ্যাডাপ্টেড টাইটেল দখল করতে পারছে। সামনে হ্যালোইন উইক, যেখানে নেটফ্লিক্সের হাই-প্রোফাইল জেনার রিলিজ ও হরর মুভিগুলোর টিকে থাকার লড়াই নজরে থাকবে। তবে বার্তাটা ইতিমধ্যে গিয়ে গেছে: অ্যানিমে আর ফাঁকা জায়গা ভরার জন্য নয়, এটি এখন নিজেই ‘হেডলাইনার’।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘দ্য বস’-এর সঙ্গে বেড়ে ওঠা— জীবনের ছন্দ খুঁজে পাওয়া

চেইনসো ম্যান’ বক্স অফিসে নাম্বার ওয়ান: অ্যানিমে এখন শুধু ‘নিশ’ নয়, মেইন ইভেন্ট

০২:০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

অ্যানিমের বাণিজ্যিক শক্তি
উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে সপ্তাহান্তের শীর্ষস্থান এখন অ্যানিমের হাতে। জনপ্রিয় মাঙ্গা অবলম্বনে নির্মিত ‘চেইনসো ম্যান’ আনুমানিক ১৭ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ওপেন করেছে এবং সরাসরি সপ্তাহান্তের নাম্বার ওয়ান জায়গা দখল করেছে, বলে ভ্যারাইটি জানিয়েছে। এর মানে হলো, এটি শুধু তরুণ ফ্যানবেসকে জাগিয়েছে তা নয়, বরং প্রথাগত হলিউড রিলিজগুলোকেও পিছিয়ে দিয়েছে। একই উইকএন্ডে মুক্তি পাওয়া ‘স্প্রিংস্টিন — ডেলিভার মি ফ্রম নোওহেয়ার’, রক আইকন ব্রুস স্প্রিংস্টিনকে ঘিরে বানানো বায়োপিক, প্রায় ৯ মিলিয়ন ডলারের অবস্থান নিশ্চিত করলেও ‘চেইনসো ম্যান’-কে পেরোতে পারেনি। হরর সিকুয়েল ‘ব্ল্যাক ফোন ২’-ও ভালো আউটলুক দেখিয়েছে (মাঝ-২০ মিলিয়ন ডলারের ওপেনিং রেঞ্জ নিয়ে আলোচনা চলেছে), কিন্তু রবিবারের হিসেবে শীর্ষে থাকতে পারেনি।
হলিউড বহুদিন ধরে বলছিল অ্যানিমের এই বড় উইকএন্ডগুলো নাকি “একঘেয়া ফ্যান ইভেন্ট”—একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড, একবারের ঢেউ। কিন্তু সাম্প্রতিক বক্স অফিস ইঙ্গিত দিচ্ছে, এটা এখন ধারাবাহিক প্যাটার্ন। সীমিত কিন্তু প্রিমিয়াম শো, এক্সক্লুসিভ মার্চেন্ডাইজ, এবং ফ্যান-মিট ধরনের পরিবেশকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়, তা মূলধারার প্রোমো ক্যাম্পেইনের মতোই কাজ করছে—কেবল অনেক দ্রুত। দর্শকরা অগ্রিম টিকিট কাটে, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হলে আসে, শুক্রবার-শনিবার থিয়েটার ভরিয়ে ফেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লিপ ছড়িয়ে দেয়, কসপ্লে পোস্ট করে—এবং এ সবকিছু স্টুডিওকে প্রায় বিনা খরচে মার্কেটিং সুবিধা দেয়।

হলিউডের জন্য সতর্ক সিগনাল
সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। অক্টোবরের শেষভাগ সাধারণত হরর ও ফ্র্যাঞ্চাইজি সিকুয়েলদের জন্য নিরাপদ উইন্ডো বলে ধরা হতো। এখন সেই উইন্ডোতে থিয়েটারচেইনগুলো বড় স্ক্রিন বরাদ্দ দিচ্ছে অ্যানিমেকে, কারণ এই দর্শক শুধু টিকিটই কেনে না, প্রিমিয়াম ফরম্যাটেও খরচ করে। কোভিড-পরে হলে ফিরে আসা এই আয়ের ধারাবাহিকতা থিয়েটার মালিকদের কাছে বড় বিষয়।
এটা বড় স্টুডিওদের জন্য নতুন চাপ। স্ট্রিমিং ইতোমধ্যে তাদের মার্জিন কমিয়েছে, আর প্রোডাকশন খরচ বাড়িয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, উত্তর আমেরিকার মূলধারার উইকএন্ডও জাপানি অ্যানিমে বা মাঙ্গা-অ্যাডাপ্টেড টাইটেল দখল করতে পারছে। সামনে হ্যালোইন উইক, যেখানে নেটফ্লিক্সের হাই-প্রোফাইল জেনার রিলিজ ও হরর মুভিগুলোর টিকে থাকার লড়াই নজরে থাকবে। তবে বার্তাটা ইতিমধ্যে গিয়ে গেছে: অ্যানিমে আর ফাঁকা জায়গা ভরার জন্য নয়, এটি এখন নিজেই ‘হেডলাইনার’।