০৬:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ মন্দির আর প্রসাদ বিতরণ নিয়ে কেন রাজনৈতিক বিতর্ক পশ্চিমবঙ্গে? মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ও গঙ্গা জলচুক্তি নবায়ন নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন: বাংলাদেশের বড় একটি ভুল, প্রতিশোধ বনাম সংস্কার সাকিব আল হাসান: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অমর কিংবদন্তি বাংলা নাটকের সুপারস্টার অপূর্বের জন্মদিন আজ শিবসা নদী: শতবর্ষী এক প্রাণপ্রবাহ ও তার সুন্দরবনের প্রভাব ইরান যুদ্ধ ও ‘ট্রাম্প নীতি’ চীনের বহুমুখী বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গিকে ঘোলাটে করে দিচ্ছে আসিয়ান এখন আর কেবল বৈশ্বিক পুঁজির নীরব গ্রাহক নয় প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-১৯)

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৩৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • 24

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।

 

প্রত্যক্ষভাবে কাজ করানো বা কাজের নেতৃত্ব দেয়া

যে কোন নেতাকে তার দল বা টিমের লোককে অবশ্যই প্রত্যক্ষভাবে কাজ করাতে হবে। যেমন যুদ্ধের সময় একজন সেনানায়ক জলে, স্থলে, আকাশে তার সৈন্যদেরকে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধ করান। প্রত্যক্ষভাবে কাজ অনেকটা স্থলের যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইন সোলজারদের মত। এখানে নেতাকে সেভাবেই কমান্ড করে কাজ করাতে হয়।

 

প্রত্যক্ষভাবে কাজ করানো মেথডটি সহজ। তবে এখানে কাজের গতি একই রকম থাকে। খুব বেশি বাড়ানো সম্ভব হয় না। অন্যদিকে স্মার্ট লিডারের কাজ হলো প্রতি মুহূর্তে কাজের গতি বাড়ানো।

পরোক্ষভাবে কাজ করানো বা কাজের নেতৃত্ব দেয়া

যে কোন যুদ্ধের যেমন মূল যুদ্ধটি হয় পরোক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে। যেখানে অস্ত্রের থেকে, কমান্ডের থেকে অন্য অনেক বিষয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

পৃথিবীর আজ অবধি সামিরক কৌশলের সেরা বই আর্ট অফ ওয়ারে বলা হচ্ছে, যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরোক্ষ কৌশল কাজ করে পৃথিবী থেকে স্বর্গ অবধি।

বাস্তবে আধুনিক যুগে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব’র সীমানা খুবই ছোট হয়ে গেছে। মূলত এখন নেতৃত্ব নির্ভর করছে পরোক্ষ নেতৃত্বের ওপর।

 

পরোক্ষ নেতৃত্বের সব থেকে বড় দিক হলো, দলের বা টিমের সদস্যরা যেন বুঝতে পারে তারা প্রতিদিন নিজেদেরকে উন্নত করতে সমর্থ হচ্ছে। এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

কারণ, মানুষ যদি বুঝতে না পারে সে উন্নত হচ্ছে তাহলে তার ভেতর একটা অবসন্নতা বা এক জায়গায় পড়ে থাকার মানসিকতা চলে আসে। একবার যে মানুষ এই মানসিকতায় চলে যায়, তাকে হাজার ধাক্কা দিয়েও এগোনো যায় না।

 

সে তখন মূলত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলাতক একজন সৈন্যের চরিত্র ধারণ করে। সে কেবল নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকে। যুদ্ধ ক্ষেত্রের একজন সৈন্য নিজেকে গুটিয়ে ফেলা বা কোন কাজের ক্ষেত্রে টিমের বা দলের একজন সদস্য নিজেকে গুটিয়ে ফেলার অর্থই হলো, মূল স্রোতের কিছুটা হলেও গতি কমে যাওয়া।

তাই পরোক্ষ নেতৃত্বের ক্ষেত্রে স্মার্ট নেতাকে সব সময়ই টিমের মানসিক শক্তি বাড়ানোর কাজ করতে হয়। আর বাস্তবে স্মার্ট নেতা হিসেবে তিনিই তত বেশি সফল হবেন যিনি যতবেশি পরোক্ষ ভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।

 

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৩৬)

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৩৬)

ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৩৭)

০৫:৫১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।

 

প্রত্যক্ষভাবে কাজ করানো বা কাজের নেতৃত্ব দেয়া

যে কোন নেতাকে তার দল বা টিমের লোককে অবশ্যই প্রত্যক্ষভাবে কাজ করাতে হবে। যেমন যুদ্ধের সময় একজন সেনানায়ক জলে, স্থলে, আকাশে তার সৈন্যদেরকে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধ করান। প্রত্যক্ষভাবে কাজ অনেকটা স্থলের যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইন সোলজারদের মত। এখানে নেতাকে সেভাবেই কমান্ড করে কাজ করাতে হয়।

 

প্রত্যক্ষভাবে কাজ করানো মেথডটি সহজ। তবে এখানে কাজের গতি একই রকম থাকে। খুব বেশি বাড়ানো সম্ভব হয় না। অন্যদিকে স্মার্ট লিডারের কাজ হলো প্রতি মুহূর্তে কাজের গতি বাড়ানো।

পরোক্ষভাবে কাজ করানো বা কাজের নেতৃত্ব দেয়া

যে কোন যুদ্ধের যেমন মূল যুদ্ধটি হয় পরোক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে। যেখানে অস্ত্রের থেকে, কমান্ডের থেকে অন্য অনেক বিষয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

পৃথিবীর আজ অবধি সামিরক কৌশলের সেরা বই আর্ট অফ ওয়ারে বলা হচ্ছে, যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরোক্ষ কৌশল কাজ করে পৃথিবী থেকে স্বর্গ অবধি।

বাস্তবে আধুনিক যুগে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব’র সীমানা খুবই ছোট হয়ে গেছে। মূলত এখন নেতৃত্ব নির্ভর করছে পরোক্ষ নেতৃত্বের ওপর।

 

পরোক্ষ নেতৃত্বের সব থেকে বড় দিক হলো, দলের বা টিমের সদস্যরা যেন বুঝতে পারে তারা প্রতিদিন নিজেদেরকে উন্নত করতে সমর্থ হচ্ছে। এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

কারণ, মানুষ যদি বুঝতে না পারে সে উন্নত হচ্ছে তাহলে তার ভেতর একটা অবসন্নতা বা এক জায়গায় পড়ে থাকার মানসিকতা চলে আসে। একবার যে মানুষ এই মানসিকতায় চলে যায়, তাকে হাজার ধাক্কা দিয়েও এগোনো যায় না।

 

সে তখন মূলত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলাতক একজন সৈন্যের চরিত্র ধারণ করে। সে কেবল নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকে। যুদ্ধ ক্ষেত্রের একজন সৈন্য নিজেকে গুটিয়ে ফেলা বা কোন কাজের ক্ষেত্রে টিমের বা দলের একজন সদস্য নিজেকে গুটিয়ে ফেলার অর্থই হলো, মূল স্রোতের কিছুটা হলেও গতি কমে যাওয়া।

তাই পরোক্ষ নেতৃত্বের ক্ষেত্রে স্মার্ট নেতাকে সব সময়ই টিমের মানসিক শক্তি বাড়ানোর কাজ করতে হয়। আর বাস্তবে স্মার্ট নেতা হিসেবে তিনিই তত বেশি সফল হবেন যিনি যতবেশি পরোক্ষ ভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।

 

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৩৬)

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৩৬)