বিগ বস–১৯ এর প্রতিযোগী আশনূর কৌরকে নিয়ে তান্যা মিত্তাল ও নীলম গিরির কটূ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ দর্শকরা সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছেন। ২১ বছর বয়সী আশনূরকে ‘মোটি’ ও ‘ফুগ্গে জয়সা মুখ’ বলে উপহাস করায় দুই প্রতিযোগীর আচরণকে অনেকে ‘নারীবাদের ভণ্ডামি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
শরীর নিয়ে বিদ্রূপের অভিযোগ
সাম্প্রতিক এক লাইভ ফিডে দেখা যায়, তান্যা ও নীলম আশনূরের ওজন বৃদ্ধি নিয়ে হাসাহাসি করছেন। তান্যা বলেন, নিয়মিত জিমে গেলেও আশনূরের ওজন বেড়েই চলেছে। নীলম যোগ করেন, প্রতিদিন ব্যায়াম করেও তার শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না — এটা নাকি আশ্চর্যের বিষয়।
এরপর ‘উইকএন্ড কা ভার’ পর্বে আশনূরের পোশাক নিয়েও দুজনের কটাক্ষ শুরু হয়। তান্যা বলেন, ওই পোশাক তাদের কারও ওপর পড়লে নাকি অনেক ভালো লাগত। তিনি আরও মন্তব্য করেন, “ফুগ্গে জয়সা মুখ নিয়ে ঘুরছে।” অন্যদিকে নীলম বলেন, “দাদি লাগছে।” সহ–প্রতিযোগী শেহবাজও মন্তব্য করেন, “এত এক্সারসাইজ করে, তবু মোটি–ই থাকে।”

সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়ার ঝড়
এই ঘটনার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অসংখ্য দর্শক তান্যা ও নীলমের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। একজন লিখেছেন, “যখন প্রতিযোগিতা করতে পারো না, তখনই অন্যকে ছোট করার চেষ্টা শুরু হয়।”
অনেকে আশনূরের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করে মন্তব্য করেছেন — “সে নিজের শরীর নিয়ে অনিরাপত্তা বোধ করলেও দারুণ আত্মবিশ্বাসী। তবু কেউ তার বিরুদ্ধে খারাপ কিছু বলেনি।”
আরেকজন বলেন, “এরা তথাকথিত ‘স্পিরিচুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার’ আর ‘ফেমিনিস্ট’, অথচ অন্য মেয়েদেরই শরীর নিয়ে হাসাহাসি করছে। সালমান ভাইয়ের উচিত এই বিষয়ে কথা বলা।”
![]()
নির্মাতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
দর্শকদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, অনুষ্ঠানের নির্মাতারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই দৃশ্যগুলো মূল পর্বে দেখাননি। অনেকে বলেছেন, “বডি শেমিং কোনো বিনোদন নয়, এটা গুরুতর বিষয়। যারা এমন আচরণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু নির্মাতারা বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। লজ্জাজনক।”
ঘরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা
এই বিতর্ক বিগ বস–১৯ এর চলমান নাটকীয়তা আরও বাড়িয়েছে। এর আগেও তান্যা ও নীলমের মধ্যে ফারহানা ভাটকে ঘিরে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা গিয়েছিল। এবার আশনূরকে নিয়ে তাদের কটূ মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের আগুন জ্বালিয়েছে।
#BiggBoss19 #AshnoorKaur #TanyaMittal #NeelamGiri #BodyShaming #RealityShow #EntertainmentNews #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















