বৃদ্ধির খাত ও বাজারের বুকে ঢেউ
নতুন শিল্প-রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে জাপানের অ্যানিমে শিল্পের আকার ২৫ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড ছুঁয়েছে; ২০২৫-এ গতি অব্যাহত, কারণ বিদেশি লাইসেন্সিং, স্ট্রিমিং ও ইভেন্ট আয়ের গতি দেশীয় টিভিকে ছাড়িয়ে গেছে। দর্শকরা এখন প্রিমিয়াম সিমুলকাস্ট, কালেক্টর এডিশন ও লাইভ-এক্সপেরিয়েন্সের জন্য পয়সা দিচ্ছেন; স্টুডিওগুলো ফিল্ম-গেম-মার্চেন্ডাইজ জুড়ে ক্রস-মিডিয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি গড়ে তুলছে। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ বড় ইঞ্জিন হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও লাতিন আমেরিকা দ্রুত উঠছে—লোকাল ডাব ও থিয়েট্রিকাল উইন্ডো বাড়ায়। উৎপাদন কমিটিতে নতুন বিনিয়োগ আসছে; তবে ট্যালেন্ট ও পোস্ট-প্রোডাকশনের ব্যয় ছোট স্টুডিওকে চাপে ফেলছে।

চ্যালেঞ্জ: দক্ষ জনবল, এআই ও শ্রমমান
চমকপ্রদ সংখ্যার আড়ালেই চাপের জায়গা আছে। অ্যানিমেটরদের দীর্ঘসময় কাজ ও তুলনামূলক কম পারিশ্রমিক নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে; ইউনিয়ন-আন্দোলনের খবরও আসছে। কয়েকটি ‘মেগা-ফ্র্যাঞ্চাইজ’ নির্ভরতা মাঝারি প্রকল্পকে বাজারজাতকরণ ও স্ক্রিন-টাইমে ঠেলে দিতে পারে। একই সঙ্গে জেনারেটিভ এআই ইনবিটুইন থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরিতে ঢুকে পড়ছে—সময়সূচিতে সুবিধা দিলেও কপিরাইট-ক্রেডিট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। শিল্প-নীতি নির্ধারক ও গিল্ডগুলো সর্বনিম্ন মানদণ্ড ও স্বচ্ছ ক্রেডিটের কথা বলছে—বৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে। গ্লোবাল স্ট্রিমারদের জন্য বার্তা সহজ—আরও সহ-অর্থায়ন ও স্থানীয় থিয়েট্রিকাল মুক্তি দেখা যাবে, কারণ অ্যানিমে এখন বিশ্ব বিনোদনের স্তম্ভ।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















