০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৭) প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪) পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা

ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিত

দক্ষিণ চীন সাগরের প্রেক্ষাপট
হ্যানয়ে সফরে এসে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সহায়তা আরও বাড়বে। সাম্প্রতিক সময়ে কোস্টগার্ড কাটার ও প্রশিক্ষক বিমান (টি-৬) সরবরাহকে তিনি “পরবর্তী ধাপের ভিত্তি” হিসেবে উল্লেখ করেন। ভিয়েতনাম নেতৃত্ব সতর্ক ভাষায় বলেছে—মারিটাইম নিরাপত্তা, দুর্যোগ-সহায়তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিই অগ্রাধিকার। দুই পক্ষই জোট বা ঘাঁটি-সংক্রান্ত কোনো বার্তা এড়িয়ে গেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যখন হ্যানয়ে দাঁড়িয়ে বিস্তৃত সহযোগিতার কথা বলেন, তখন সেটি ইঙ্গিতবহ হয়—অঞ্চলে বাস্তবতার পালাবদল ঘটছে।

কীভাবে গভীরতা পেতে পারে অংশীদারত্ব
প্রথমত, সামুদ্রিক পর্যবেক্ষণ: রাডার-স্যাটেলাইট-প্যাট্রোল ডেটা সমন্বয়ে অনুপ্রবেশকারী বা মিলিশিয়া নৌযান শনাক্তকরণ। দ্বিতীয়ত, বিমান প্রশিক্ষণ: টি-৬ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে পাইলট সাপ্লাই-চেইন তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতে জটিল প্ল্যাটফর্মে রূপ নেবে। তৃতীয়ত, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: টাইফুনপ্রবণ ভিয়েতনামের জন্য লজিস্টিক মহড়া, হেভি-লিফট সমন্বয়, নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার আপগ্রেড গুরুত্বপূর্ণ। চতুর্থত, প্রতিরক্ষা শিল্পের রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র: সেন্সর ও ছোট নৌযানের যন্ত্রাংশ-সার্ভিসিং দ্রুত হবে।

Pentagon chief Hegseth wants closer Vietnam ties amid arms dealings | South  China Morning Post

তবে সীমাবদ্ধতাও স্পষ্ট। ভিয়েতনামের “থ্রি-নো” নীতি—জোট নয়, বিদেশি ঘাঁটি নয়, কাউকে নিয়ে আরেক দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নয়—অপরিবর্তিত। যুক্তরাষ্ট্রও বড় চুক্তির বদলে ধারাবাহিকতা চায়: কোস্টগার্ড সহায়তা, খুচরা যন্ত্রাংশ, জাহাজ-রাইডার ও টহল মহড়া। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিয়মভিত্তিক সমুদ্রে উপস্থিতি জোরদার হবে। বেইজিংয়ের জন্য বার্তা—হ্যানয়কে “পাল্টে” দেওয়া নয়; বরং তাকে বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলা, যেন বিতর্কিত পানিসীমায় “না” বলার সক্ষমতা বাড়ে।

দেশীয় রাজনীতিও ফ্যাক্টর। মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব ফল চায়; ভিয়েতনাম প্রযুক্তি-হস্তান্তর ও বৃত্তি-ভিত্তিক মানবসম্পদ উন্নয়নে আগ্রহী। ২০২৬-এ যদি বাজেট স্থিতিশীল থাকে, তবে কাটার-ট্রেনার-শিপরাইডার থেকে শুরু করা নরম প্রকল্পগুলোই চুপিচুপি প্রসার পাবে—লাইন ধরে, মহড়া ধরে, নতুন রেডিওর পরিষ্কার শব্দে দূরের অংশীদারকেও কাছের মতো শোনাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৭)

ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিত

০৭:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ চীন সাগরের প্রেক্ষাপট
হ্যানয়ে সফরে এসে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সহায়তা আরও বাড়বে। সাম্প্রতিক সময়ে কোস্টগার্ড কাটার ও প্রশিক্ষক বিমান (টি-৬) সরবরাহকে তিনি “পরবর্তী ধাপের ভিত্তি” হিসেবে উল্লেখ করেন। ভিয়েতনাম নেতৃত্ব সতর্ক ভাষায় বলেছে—মারিটাইম নিরাপত্তা, দুর্যোগ-সহায়তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিই অগ্রাধিকার। দুই পক্ষই জোট বা ঘাঁটি-সংক্রান্ত কোনো বার্তা এড়িয়ে গেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যখন হ্যানয়ে দাঁড়িয়ে বিস্তৃত সহযোগিতার কথা বলেন, তখন সেটি ইঙ্গিতবহ হয়—অঞ্চলে বাস্তবতার পালাবদল ঘটছে।

কীভাবে গভীরতা পেতে পারে অংশীদারত্ব
প্রথমত, সামুদ্রিক পর্যবেক্ষণ: রাডার-স্যাটেলাইট-প্যাট্রোল ডেটা সমন্বয়ে অনুপ্রবেশকারী বা মিলিশিয়া নৌযান শনাক্তকরণ। দ্বিতীয়ত, বিমান প্রশিক্ষণ: টি-৬ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে পাইলট সাপ্লাই-চেইন তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতে জটিল প্ল্যাটফর্মে রূপ নেবে। তৃতীয়ত, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: টাইফুনপ্রবণ ভিয়েতনামের জন্য লজিস্টিক মহড়া, হেভি-লিফট সমন্বয়, নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার আপগ্রেড গুরুত্বপূর্ণ। চতুর্থত, প্রতিরক্ষা শিল্পের রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র: সেন্সর ও ছোট নৌযানের যন্ত্রাংশ-সার্ভিসিং দ্রুত হবে।

Pentagon chief Hegseth wants closer Vietnam ties amid arms dealings | South  China Morning Post

তবে সীমাবদ্ধতাও স্পষ্ট। ভিয়েতনামের “থ্রি-নো” নীতি—জোট নয়, বিদেশি ঘাঁটি নয়, কাউকে নিয়ে আরেক দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নয়—অপরিবর্তিত। যুক্তরাষ্ট্রও বড় চুক্তির বদলে ধারাবাহিকতা চায়: কোস্টগার্ড সহায়তা, খুচরা যন্ত্রাংশ, জাহাজ-রাইডার ও টহল মহড়া। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিয়মভিত্তিক সমুদ্রে উপস্থিতি জোরদার হবে। বেইজিংয়ের জন্য বার্তা—হ্যানয়কে “পাল্টে” দেওয়া নয়; বরং তাকে বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলা, যেন বিতর্কিত পানিসীমায় “না” বলার সক্ষমতা বাড়ে।

দেশীয় রাজনীতিও ফ্যাক্টর। মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব ফল চায়; ভিয়েতনাম প্রযুক্তি-হস্তান্তর ও বৃত্তি-ভিত্তিক মানবসম্পদ উন্নয়নে আগ্রহী। ২০২৬-এ যদি বাজেট স্থিতিশীল থাকে, তবে কাটার-ট্রেনার-শিপরাইডার থেকে শুরু করা নরম প্রকল্পগুলোই চুপিচুপি প্রসার পাবে—লাইন ধরে, মহড়া ধরে, নতুন রেডিওর পরিষ্কার শব্দে দূরের অংশীদারকেও কাছের মতো শোনাবে।