ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত পনের জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে কলমাখালী বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বিএনপি নেতা আসাদ চৌধুরী ও মাসুদ জোয়ারদারের মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।
সংঘর্ষের বিস্তারিত
সোমবার সকাল প্রায় সাড়ে আটটার দিকে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়। সংঘর্ষে অন্তত পনের জন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে— আবদুর রহিম মোল্লা, হাছেম আলী, গোলাম রাসুল, সুরুজ ও ওয়ালিদ।

আহতদের অবস্থা
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত জানান, আহতদের শরীরে কাটা ও ইটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশের ভূমিকা
ঝিনাইদহ সদর থানার অপারেশন অফিসার সামসুজ্জোহা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এর আগে চট্টগ্রামেও অনুরূপভাবে ছাত্রদল (জেসিডি) কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে একজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব ও স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে ঘিরে বিএনপির বিভিন্ন অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে বলে স্থানীয়রা উল্লেখ করেছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















