ভারতে উৎসবের আবহ: “বাধাই!”
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতজুড়ে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে যখন জানা যায়, জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনী বিজয়ের পর তিনি তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানান, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ঐতিহাসিক ভাষণ উদ্ধৃত করেন এবং বিজয় সমাবেশকে একেবারে বলিউডের ধাঁচে রঙিন উৎসবে পরিণত করেন।
পরিবারের গর্ব ও উদযাপনের প্রস্তুতি
মামদানির মামা বিক্রম নাইয়ার বলেন, “আমরা সবাই ওর জন্য গর্বিত। সে অসাধারণ কাজ করেছে।” তিনি আরও জানান, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে একের পর এক বার্তা আসছে উদযাপনের আয়োজন করার জন্য।
“আমরা শিগগিরই পরিকল্পনা করব,” নাইয়ার বলেন, “আরও ভালো হতো যদি মামদানি নিজেও এই উৎসবে অংশ নিতে পারত।”
নিউইয়র্কের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়
৩৪ বছর বয়সী উগান্ডায় জন্ম নেওয়া জোহরান মামদানি আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করলে, তিনি হবেন নিউইয়র্কের গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে তরুণ মেয়র এবং একই সঙ্গে শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র।

নেহরুর অনুপ্রেরণায় বিজয় ভাষণ
মঙ্গলবার রাতে প্রাণবন্ত বিজয় সমাবেশে মামদানি তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, যা অনুপ্রাণিত ছিল জওহরলাল নেহরুর ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার প্রাক্কালে দেওয়া বিখ্যাত “Tryst with Destiny” ভাষণ থেকে।
সমাবেশে মামদানি বলেন,
“আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আমি নেহরুর সেই কথাগুলো স্মরণ করছি—‘ইতিহাসে খুব কম সময়ই আসে যখন আমরা পুরনো থেকে নতুনের পথে যাত্রা শুরু করি, যখন এক যুগের অবসান ঘটে এবং দীর্ঘদিন নিস্তব্ধ থাকা জাতির আত্মা কথা বলতে শুরু করে।’ আজ রাতে আমরাও সেই পুরনো অধ্যায় থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ইতিহাস লিখেছি।”

ভারতের উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া
মামদানির এই ঐতিহাসিক জয় শুধু নিউইয়র্ক নয়, ভারতে তাঁর শিকড় থাকা অসংখ্য মানুষকেও উচ্ছ্বসিত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এবং “বাধাই” বার্তায় ভরে গেছে টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম।
জোহরান মামদানির এই বিজয় এখন শুধু একটি রাজনৈতিক সাফল্য নয়—এটি এক প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে, যাঁরা তাঁদের শিকড় ভুলে না গিয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তুলছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















