সন্ধ্যার কম্পন, উপকূলে সরিয়ে নেওয়া
রোববার সন্ধ্যায় ইওয়াতে প্রিফেকচারের উপকূলের কাছে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়; অগভীর (প্রায় ১০ কিলোমিটার) কেন্দ্রে ধাক্কা লাগায় ঝাঁকুনি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং জাপানের আবহাওয়া দপ্তর এক মিটার পর্যন্ত সুনামির সম্ভাবনা উল্লেখ করে সতর্কতা জারি করে। এনএইচকে জানায়, কুজি, ওফুনাতো, মিয়াকো ও কামাইশি বন্দরে ১০–২০ সেন্টিমিটারের ছোট ঢেউ আঘাত করে; ছোট ঢেউ হলেও বারবার আসতে পারে বলে উপকূল ফাঁকা ও উঁচু এলাকায় থাকার অনুরোধ করা হয়। আশেপাশের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে কোনো ত্রুটি ধরা না পড়লেও কর্তৃপক্ষ জানায়, মূল ভূমিকম্পের পর একাধিক কম্পন চলতে পারে এবং সমুদ্রস্রোত অনিশ্চিত থাকায় বন্দর ও নৌপথ কিছু সময়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে।
পরবর্তী প্রস্তুতি, শীতের আগে সতর্কতা
ইস্ট জাপান রেলওয়ে সাময়িকভাবে শিনকানসেনসহ দ্রুতগতির ট্রেন পরীক্ষা করে; সিগন্যাল, বৈদ্যুতিক লাইন ও সেতুতে ক্ষতি আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে চলাচল স্বাভাবিক করার কথা জানানো হয়। উপকূলীয় পৌরসভাগুলো বাঁধের বাইরে থাকা এলাকাগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং স্কুল–কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ী আশ্রয় খুলে দেয়, আর জেলেদের সমুদ্রে থেকে যেতে বলা হয় যাতে তীরভূমির বিপরীত স্রোতে না পড়েন। শীতকাল ঘনিয়ে আসায় স্থানীয় প্রশাসন ব্যাকআপ জেনারেটর, সতর্কবার্তা সাইরেন, রেডিও নেটওয়ার্ক এবং আশ্রয়কেন্দ্রের গরম–আলো–যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় পরীক্ষা করবে; ভূতত্ত্ববিদরাও বলেছেন, ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ধারাবাহিক কম্পন স্বাভাবিক ও জননিরাপত্তার দিক থেকে এটিকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















