ঘাতক ঢেউ, টানা উদ্ধার তৎপরতা
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার কানারি দ্বীপপুঞ্জের তেনেরিফে দ্বীপে শক্তিশালী ঢেউয়ে তিনজন মারা গেছেন এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন; আলাদা আলাদা স্থানে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় উদ্ধারকর্মীদের সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। উত্তরাঞ্চলের লা গুয়াঞ্চা উপকূল থেকে উদ্ধার করা এক ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি; দক্ষিণের এল কাবেসো সৈকতের কাছে পানিতে ভাসতে দেখা আরেকজনকে লাইফগার্ডরা উদ্ধার করেও পুনরুজ্জীবিত করতে পারেননি; আর পুয়ের্তো দে লা ক্রুজে একটি ঢেউ একদল মানুষকে টেনে নিয়ে গেলে এক নারী মারা যান এবং কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, উপচে পড়া ঢেউয়ের সময় সী–পুল, পাথুরে প্রমোনেড বা বন্দরসংলগ্ন জোনে ‘আরেকটা ছবি’ তুলতে গিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ে।
নিরাপত্তা শিক্ষা ও জলবায়ু প্রেক্ষাপট
আবহাওয়া সতর্কতা বজায় রেখে প্রশাসন হোটেল, ট্যুর অপারেটর ও সার্ফ প্রশিক্ষকদের পর্যটকদের জন্য সংক্ষিপ্ত নিরাপত্তা ব্রিফিং বাড়াতে বলেছে, কারণ বাতাস ও স্রোতের দিক পাল্টালে শান্ত দেখানো উপকূলও মুহূর্তে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। একক কোনো ঘটনার দায় জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর চাপানো যায় না; তবুও উত্তর আটলান্টিকের ঝড়ের পথ ও তরঙ্গশক্তির পরিবর্তন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশি নজরে পড়েছে এবং সেজন্য দ্বীপপুঞ্জের পৌরসভাগুলো ব্যারিয়ার, সতর্ক–সাইনেজ, রিমোট ক্যামেরা বসিয়ে প্রয়োজন হলে দ্রুত প্রবেশপথ বন্ধ করার ব্যবস্থা করছে। শীতকালীন ছুটির ভিড় সামনে রেখে উদ্ধার সংস্থাগুলো সূর্যোদয়ের আগে সমুদ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে সর্বশেষ পরামর্শ দেখে নেওয়া, ছিটকে পড়া পানির জোন থেকে দূরে থাকা এবং কোনো দুর্ঘটনায় ‘নিজে নেমে’ উদ্ধার না করে দ্রুত জরুরি নম্বরে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















