০৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

ট্রাম্পের পথই বাইডেনের মতো

জো বাইডেনের প্রথম বছর

যখন জো বাইডেনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রথম বছর শুরু হয়েছিল, তখন তা ছিল আশার সঞ্চার। সেসময়, তার প্রশাসনকে অনেকেই অতুলনীয় হিসেবে দেখেছিল, বিশেষ করে ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্টের মতো ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছিল। বাইডেন প্রথম ১০০ দিনে যে পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন, তা রুজভেল্টের পর সবচেয়ে বেশি ছিল। তিনি কংগ্রেস থেকে আরও অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলা করেছিলেন, ২০০ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দিয়েছিলেন। তখন ৫৯% আমেরিকান তার কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।

অথচ, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিল এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার ক্ষমতাও সীমিত হয়ে গিয়েছিল। তবে, তার মূল শক্তি ছিল আতঙ্ক—না তার বিরুদ্ধে, বরং দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী বা সমালোচনা তার নির্বাচনী সম্ভাবনা দুর্বল করতে পারে। কিন্তু তার এই দৃঢ়তার মাঝে কিছু ভুল এবং রাজনৈতিক দিক থেকে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছিল, যা পরবর্তীতে তার প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।


 ট্রাম্পের অনুকরণীয় পথ

যদিও ট্রাম্পের প্রশাসন বাইডেনের মতো পথে চলছে, তবে ট্রাম্পের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তার জনপ্রিয়তা কখনোই বাইডেনের মতো উচ্চ ছিল না, তবে তিনি বেশ বেশি ‘ট্রান্সফর্মেশনাল’ এবং উগ্র। ট্রাম্প তার কঠিন ভাষা ও শাসনক্ষমতায় কোনো কমতি রাখেননি। তবে, তারও কিছু ভুল ছিল। তিনি কৌশলগতভাবে অনেক কিছু ভুল বুঝেছিলেন, যেমন—মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে। বিশেষত, মুদ্রাস্ফীতি এবং দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তার দাবি বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না, এবং তার প্রশাসনও পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন ট্যারিফ বাতিল করা।


 অভিবাসন নীতি ও চ্যালেঞ্জ

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি শুরুতে বেশ জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কঠোর নীতিগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাইডেনের শাসনামলে অভিবাসন নীতি কিছুটা শিথিল করা হলেও, ট্রাম্প আবারও তার কঠোর পদক্ষেপগুলি ফিরিয়ে আনছেন। কিন্তু, জনগণের অগণিত সমালোচনার মুখে তার প্রশাসনও কৌশলগত ভুলের সম্মুখীন হচ্ছে।


 ট্রাম্পের স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যৎ

এখন ৭৯ বছর বয়সে ট্রাম্প তার শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলছেন। যদিও তিনি তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া গোপন করেছেন, তার শরীরের কিছু অংশ নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। এতে অনেকেই ভাবছেন যে, ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, তার রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং প্রেসিডেন্সি থেকেও কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেখা যাচ্ছে, যেমন নিজের পরিবারের জন্য লাভজনক সিদ্ধান্ত নেওয়া।


ট্রাম্পের ভবিষ্যত

ট্রাম্পের সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে তাকে ‘বিশ্বস্ত’ কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু, তার শাসনামলে একাধিক বিতর্ক এবং সমালোচনার মুখে ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং উত্তরসূরি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


#ট্রাম্প #বাইডেন #মুদ্রাস্ফীতি #অভিবাসন #প্রেসিডেন্ট #পলিটিক্যালঅ্যানালিসিস #ট্রান্সফরমেশন

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের পথই বাইডেনের মতো

০২:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

জো বাইডেনের প্রথম বছর

যখন জো বাইডেনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রথম বছর শুরু হয়েছিল, তখন তা ছিল আশার সঞ্চার। সেসময়, তার প্রশাসনকে অনেকেই অতুলনীয় হিসেবে দেখেছিল, বিশেষ করে ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্টের মতো ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছিল। বাইডেন প্রথম ১০০ দিনে যে পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন, তা রুজভেল্টের পর সবচেয়ে বেশি ছিল। তিনি কংগ্রেস থেকে আরও অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলা করেছিলেন, ২০০ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দিয়েছিলেন। তখন ৫৯% আমেরিকান তার কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।

অথচ, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিল এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার ক্ষমতাও সীমিত হয়ে গিয়েছিল। তবে, তার মূল শক্তি ছিল আতঙ্ক—না তার বিরুদ্ধে, বরং দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী বা সমালোচনা তার নির্বাচনী সম্ভাবনা দুর্বল করতে পারে। কিন্তু তার এই দৃঢ়তার মাঝে কিছু ভুল এবং রাজনৈতিক দিক থেকে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছিল, যা পরবর্তীতে তার প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।


 ট্রাম্পের অনুকরণীয় পথ

যদিও ট্রাম্পের প্রশাসন বাইডেনের মতো পথে চলছে, তবে ট্রাম্পের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তার জনপ্রিয়তা কখনোই বাইডেনের মতো উচ্চ ছিল না, তবে তিনি বেশ বেশি ‘ট্রান্সফর্মেশনাল’ এবং উগ্র। ট্রাম্প তার কঠিন ভাষা ও শাসনক্ষমতায় কোনো কমতি রাখেননি। তবে, তারও কিছু ভুল ছিল। তিনি কৌশলগতভাবে অনেক কিছু ভুল বুঝেছিলেন, যেমন—মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে। বিশেষত, মুদ্রাস্ফীতি এবং দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তার দাবি বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না, এবং তার প্রশাসনও পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন ট্যারিফ বাতিল করা।


 অভিবাসন নীতি ও চ্যালেঞ্জ

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি শুরুতে বেশ জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কঠোর নীতিগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাইডেনের শাসনামলে অভিবাসন নীতি কিছুটা শিথিল করা হলেও, ট্রাম্প আবারও তার কঠোর পদক্ষেপগুলি ফিরিয়ে আনছেন। কিন্তু, জনগণের অগণিত সমালোচনার মুখে তার প্রশাসনও কৌশলগত ভুলের সম্মুখীন হচ্ছে।


 ট্রাম্পের স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যৎ

এখন ৭৯ বছর বয়সে ট্রাম্প তার শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলছেন। যদিও তিনি তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া গোপন করেছেন, তার শরীরের কিছু অংশ নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। এতে অনেকেই ভাবছেন যে, ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, তার রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং প্রেসিডেন্সি থেকেও কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেখা যাচ্ছে, যেমন নিজের পরিবারের জন্য লাভজনক সিদ্ধান্ত নেওয়া।


ট্রাম্পের ভবিষ্যত

ট্রাম্পের সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে তাকে ‘বিশ্বস্ত’ কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু, তার শাসনামলে একাধিক বিতর্ক এবং সমালোচনার মুখে ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং উত্তরসূরি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


#ট্রাম্প #বাইডেন #মুদ্রাস্ফীতি #অভিবাসন #প্রেসিডেন্ট #পলিটিক্যালঅ্যানালিসিস #ট্রান্সফরমেশন