ডেট্রয়েট টাইগার্সের সেরা তরুণ পিচার তারিক স্কুবলকে ট্রেড করার ব্যাপারে এখন গুরুতরভাবে ভাবছে ক্লাবটি। টানা দুই বছর আমেরিকান লিগ সাই ইয়াং জেতা এই তারকা পিচারকে হারাতে পারে দল, আর সেই কারণেই বেসবল দুনিয়ায় তৈরি হচ্ছে বড় আলোচনার ঝড়।
টাইগার্সের অর্থনৈতিক সংকটে স্কুবল অনিশ্চয়তা
টাইগার্স টানা দুই বছর প্লেঅফে উঠেছে, দলে আছে সম্ভাবনাময় তরুণরা, আর আছে শক্তিশালী ফার্ম সিস্টেম। বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে তারা সহজেই ওয়ার্ল্ড সিরিজের দৌড়ে নাম লিখাতে পারে। কিন্তু বেতনসীমাহীন এমএলবিতে ধনকুবের দলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা ছোট বাজারের ক্লাবগুলোর জন্য কঠিন বাস্তবতা।
স্কুবলের ফ্রি এজেন্ট হওয়ার সময় ২০২৬ মৌসুম শেষ। তখন তিনি চারশ’ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের চুক্তি পেতে পারেন—যা ডেট্রয়েটের পক্ষে ধরা অসম্ভব। তাই বিনা ক্ষতিতে তাকে হারানোর চেয়ে এখনই ট্রেড করে মূল্য ফেরত পাওয়ার হিসেব চলছে।
ট্রেড হলে টাইগার্সের মনোবল ভেঙে পড়ার আশঙ্কা
এখনই স্কুবলকে ছাড়লে দীর্ঘমেয়াদে কিছু লাভ হতে পারে, কিন্তু এতে দলটি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগিতামূল্য হারাবে। ক্লাবহাউস ভেঙে পড়তে পারে, দর্শকের আস্থা কমতে পারে, আর ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যেতে পারে।
স্কুবলের এজেন্ট স্কট বোরাস বলছেন, স্কুবল ছাড়া টাইগার্স যেন একেবারে রহস্যঘর।

শীতকালীন বৈঠকে টাইগার্সের অবস্থান
অরল্যান্ডোতে শীতকালীন মিটিংয়ে ক্লাব প্রেসিডেন্ট স্কট হ্যারিস স্পষ্ট জানিয়েছেন, তার কাছে ‘অস্পর্শীয়’ বলতে কিছু নেই। ফলে বড় বাজারের দলগুলো স্কুবলকে টেনে নেওয়ার সুযোগ দেখছে।
এ আলোচনা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে কারণ আগামী বছর এমএলবির শ্রম চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মালিকেরা বেতনসীমা আরোপে চাপ দেবে, আর খেলোয়াড়রা তা মানবে না—ফলে লিগে অস্থিরতার আশঙ্কা বাড়ছে।
অর্থ খরচ করেই সমাধান সম্ভব
টাইগার্স চাইলে স্কুবলকে ধরে রাখতে পারে, যদি মালিক ক্রিস ইলিচ বড় অঙ্কের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি দিতে রাজি হন। ২০১০-এর দশকে ইলিচের বাবা মাইক ইলিচ দলে প্রচুর বিনিয়োগ করেছিলেন, আর সে সময় টাইগার্স ছিল এমএলবির শীর্ষ ব্যয়ের তালিকায়।
কিন্তু নতুন মালিকানায় ব্যয় কমেছে। তবে স্কুবল নিজেই বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন টাইগার্সের হয়েই খেলতে চান। আগামী মৌসুম পর্যন্ত তাদের একচেটিয়া আলোচনার সুযোগ আছে।
এজেন্ট বোরাস বলেছেন, তারা টাইগার্সের যেকোনো প্রস্তাব শুনতে প্রস্তুত।
#স্কুবল_ট্রেড #ডেট্রয়েট_টাইগার্স #বেসবলসংকট #এমএলবি #সাই_ইয়াং #স্পোর্টসনিউজ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















