বরিশালে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক তিনটি স্থান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় নগরী ও আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে একজন অটোরিকশাচালক, একজন অজ্ঞাত যুবক এবং একজন আবাসিক হোটেলের নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছেন। পুলিশ বলছে, প্রতিটি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অপেক্ষা করা হচ্ছে।
বাকেরগঞ্জে অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত মরদেহ
বৃহস্পতিবার সকালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাঠেরপুল এলাকা সংলগ্ন বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের নাম সাকিব হাওলাদার। তিনি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার চরবয়ড়া এলাকার জসিম হাওলাদারের ছেলে।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম সোহেল জানান, স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, নিখোঁজের সময় সাকিবের সঙ্গে তার অটোরিকশাটি ছিল। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়েছে। নিহতের বাবা জসিম হাওলাদার সন্তানের হত্যার বিচার দাবি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
উজিরপুরে খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ
একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের দেউরী বাড়ি সংলগ্ন কচা নদীর একটি খাল থেকে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা খালে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। উদ্ধার হওয়া যুবকের পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

নগরীতে আবাসিক হোটেল থেকে নিরাপত্তা প্রহরীর মরদেহ
দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর ফলপট্টি এলাকার আবাসিক হোটেল পার্ক থেকে নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল হাকিম হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, আব্দুল হাকিম বুধবার রাতে ডিউটির সময় অসুস্থ বোধ করলে হোটেলের স্টাফ রুমে বিশ্রাম নিতে যান। সকালে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পরে দরজা ভেঙে ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে।
ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় তদন্ত
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া তিনজনের মরদেহই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রতিটি ঘটনার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















