নিয়ন্ত্রণ জোরদার
২৫ ডিসেম্বর বিভিন্ন সরকার উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার ওপর নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। কর্মকর্তারা বলেন, স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা এখন আর যথেষ্ট নয়। নতুন প্রস্তাবনায় স্বচ্ছতা, ঝুঁকি প্রকাশ এবং ক্ষতির দায় নির্ধারণের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। দ্রুত বিস্তৃত হওয়া প্রযুক্তি নিয়ে উদ্বেগই এই পদক্ষেপের মূল কারণ।
প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো স্পষ্ট নিয়মের প্রয়োজন স্বীকার করলেও খণ্ডিত জাতীয় আইন নিয়ে সতর্ক করেছে। তাদের মতে, ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম উদ্ভাবন ব্যাহত করতে পারে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বলছে, তথ্যের অপব্যবহার ও স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের আস্থা কমছে। সেই আস্থা ফেরাতেই কড়াকড়ি প্রয়োজন।

নীতিমালায় নতুন সিস্টেম ছাড়ের আগে সম্ভাব্য ক্ষতি মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে পক্ষপাত পরীক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা এবং ঝুঁকি বেড়ে গেলে সিস্টেম বন্ধ করার ব্যবস্থা রয়েছে। কর্মকর্তারা বলেন, জালিয়াতি ও ভুয়া তথ্য ছড়ানো ঠেকাতে এসব পদক্ষেপ জরুরি। এটি নীতিগত পরামর্শ থেকে বাধ্যতামূলক আইনের দিকে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত।
শিল্পের প্রতিক্রিয়া ও অর্থনৈতিক প্রভাব
প্রযুক্তি খাত এআই-নির্ভর প্রবৃদ্ধির অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরছে। তারা আশঙ্কা করছে, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ উদ্ভাবন অন্য অঞ্চলে ঠেলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের দাবিও উঠেছে। একই সঙ্গে কিছু প্রতিষ্ঠান নিজেদের নিরাপত্তা বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তথ্য সুরক্ষা আইনের মতো এখানেও দীর্ঘ আলোচনার পর কঠোর নিয়ম আসতে পারে। বিনিয়োগকারীরা প্রভাব মূল্যায়নে সতর্ক অবস্থানে আছে। ২৫ ডিসেম্বর বাজারে বড় প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
সুশীল সমাজ কড়াকড়িকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ বাড়াতে হবে। সরকার বলছে, বাস্তবায়নের জন্য দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। ২০২৬ সালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















