০৮:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
সুর আর মজায় ভরপুর জাপানের নতুন অ্যানিমে ‘দ্য অবসেসড’ ডিজনিতে ফিরছেন বিটিএসের জিমিন ও জাংকুক, আসছে ‘আর ইউ শিওর?!’ সিজন–২ স্নেক সাও-স্কেলড ভিপার: এক ভয়ঙ্কর সাপের জীবন এবং বৈশিষ্ট্য টেইলর শেরিডান কীভাবে টেলিভিশনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হিট–কারখানায় পরিণত হলেন মোবাইলে ক্রোমে এআই মোড আরও সহজ করল গুগল রোলিং স্টোন স্পেশাল ও ডিজে স্নেকের গানে একদিনেই তিন ফ্রন্ট খুলল স্ট্রে কিডস হরর-কমেডি ‘মেকিং আ ব্রাইডসমেইড’ শেষ, এখন স্ট্রিমিং বিক্রির পথে কেক বানানোর কৌশল: ঘরে বসেই নিখুঁত বেকিংয়ের গাইড লস অ্যাঞ্জেলেসে গ্র্যান্ডে–এরিভোর চমক, ক্লাসিক ডুয়েটেই মাত করল হলিউড মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (অন্তিম পর্ব-৩৬৫)

যেভাবে দিন বদলে যায়

  • Sarakhon Report
  • ০৭:২২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • 77

শিবলী আহম্মেদ সুজন

সকালে সম্পাদক সাহেবের ফোনে ঘুম ভাঙলো জাহিদের। ফোনটা রিসিভ করলো জাহিদ। সম্পাদক সাহেব জাহিদ’কে বললো,আজকে তোমার সিনিয়র স্যার আসবেন না। আজকে তুমি একটু তাড়াতাড়ি অফিসে এসো।ও…হ্যাঁ ,আর তোমার কলিগকেও ফোন করে জানিয়ে দিও।

 

 

জাহিদের সম্পাদক বেশ সিনিয়র সাংবাদিক। খুব ভালো মানুষ। তাই জাহিদ তার সম্পাদকের কথা সবসময় মেনে চলার চেষ্টা করেন।জাহিদ ফোনের দিকে তাকিয়ে সময়টা দেখলো তখন সকাল ১১ টা ১৫ বাজে। বেশকিছু দিন ধরে জাহিদের মা বাসায় নেই। মা বাসায় না থাকলে বাসাটা মনে হয় যেন এক ধুধু মরুভূমি প্রান্তর। জাহিদের নিজেকে খুব একা মনে হয়। মা বাসায় না থাকায় খাওয়া দাওয়াতেও একটু কষ্ট করতে হচ্ছে জাহিদের।

এইতো সপ্তাহখানেক আগে ঈদের ছুটি কাটিয়ে জাহিদ অফিসে এসেছে। জাহিদের সম্পাদক তাকে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে বলে পাইকারি বাজারে জিনিসের দাম এবং সুপার মার্কেট গুলোতে জিনিসপত্রের দামগুলো কেমন এসব নিয়ে,যাতে করে ঈদের পর বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের দাম কেমন নিউজটি পরে যেন সবাই ধারণা পেতে পারেন।

 

সম্পাদক সাহেব সবসময়ই জাহিদকে কাজে উৎহাসিত করেন। কোন কাজ না হলে মন খারাপ করতে বারণ করেন।সম্পাদক সাহেব প্রতিদিন জাহিদকে কোন না কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে বলেন। তিনি বলেন ভুল হোক তবুও তুমি লিখে যাও। লিখতে লিখতেই একদিন তুমি শিখে যাবে। সম্পাদক সাহেব জাহিদকে বলেন জীবনে কখনই নিজেকে ছোট ভাববে না। জাহিদ সম্পাদক সাহেবের কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন।আর কেনই বা শুনবে না? সাংবাদিকতার হাতেখরি তো তিনিই জাহিদকে শিখিয়েছেন। সম্পাদক সাহেবের কাছে থেকেই তো জাহিদ জেনেছে জীবনের মানে কি।

সম্পাদক সাহেব হয়তো চান যে জাহিদ জীবনে ভালো কিছু করুক।তাই তো তিনি জাহিদকে উৎসাহিত করেন। তিনি সবসময়ই জ্ঞানের ও সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। সম্পাদক সাহেব জাহিদকে তার জীবনের একটি গল্প বলেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার শুরুতে তিনি কতটা পরিশ্রম করেছেন।প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে অনেক মানুষের সাথে কথা বলেছেন,মানুষদের সাথে মিশেছেন এমনকি তাকে অনেক বাঁধার সম্মুখীনও হতে হয়েছে।তবুও তিনি সাংবাদিকতা করে গেছেন।

 

সম্পাদক সাহেব বলেন,সাংবাদিকতার শুরুতে তিনি ১০০ টাকা বেতনের চাকুরী করেছেন। তার বাবা চেয়েছিলেন তিনি যেন ডাক্তারি লাইনে পড়ালেখা করেন। ১০০ টাকা বেতনের চাকুরীতে ছেলে ঠিকমত চলতে পারবে কিনা, সেজন্য তার বাবা তাকে আলাদা করে টাকা পাঠাতেন। বাবা যেন এক ভরসার নাম। বাবা থাকা মানে মাথার উপরে যেন এক বটবৃক্ষের ছায়া।

 

সম্পাদকের কথা শুনে জাহিদ ভাবলো, মা বাসায় নেই। অফিসে আসবো বলে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবা কতই না কষ্ট করে রান্না করে আমাকে খাইয়েছে। এই পৃথিবীতে মা-বাবার চাইতে আপন আর কেউ নেই। মা-বাবাই হচ্ছে জীবনে প্রকৃত বন্ধু। বাবা-মাকে কিছু বলার আগেই কিভাবে যেন তারা সন্তানের মন বুঝে যান। সৃষ্টা সন্তানদের মন বোঝার ক্ষমতাটা যেন একমাত্র বাবা-মাকেই দিয়েছেন। দিন দিন জাহিদ যত সম্পাদকের কথা শোনে ততোই যেন মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সুর আর মজায় ভরপুর জাপানের নতুন অ্যানিমে ‘দ্য অবসেসড’

যেভাবে দিন বদলে যায়

০৭:২২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

শিবলী আহম্মেদ সুজন

সকালে সম্পাদক সাহেবের ফোনে ঘুম ভাঙলো জাহিদের। ফোনটা রিসিভ করলো জাহিদ। সম্পাদক সাহেব জাহিদ’কে বললো,আজকে তোমার সিনিয়র স্যার আসবেন না। আজকে তুমি একটু তাড়াতাড়ি অফিসে এসো।ও…হ্যাঁ ,আর তোমার কলিগকেও ফোন করে জানিয়ে দিও।

 

 

জাহিদের সম্পাদক বেশ সিনিয়র সাংবাদিক। খুব ভালো মানুষ। তাই জাহিদ তার সম্পাদকের কথা সবসময় মেনে চলার চেষ্টা করেন।জাহিদ ফোনের দিকে তাকিয়ে সময়টা দেখলো তখন সকাল ১১ টা ১৫ বাজে। বেশকিছু দিন ধরে জাহিদের মা বাসায় নেই। মা বাসায় না থাকলে বাসাটা মনে হয় যেন এক ধুধু মরুভূমি প্রান্তর। জাহিদের নিজেকে খুব একা মনে হয়। মা বাসায় না থাকায় খাওয়া দাওয়াতেও একটু কষ্ট করতে হচ্ছে জাহিদের।

এইতো সপ্তাহখানেক আগে ঈদের ছুটি কাটিয়ে জাহিদ অফিসে এসেছে। জাহিদের সম্পাদক তাকে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে বলে পাইকারি বাজারে জিনিসের দাম এবং সুপার মার্কেট গুলোতে জিনিসপত্রের দামগুলো কেমন এসব নিয়ে,যাতে করে ঈদের পর বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের দাম কেমন নিউজটি পরে যেন সবাই ধারণা পেতে পারেন।

 

সম্পাদক সাহেব সবসময়ই জাহিদকে কাজে উৎহাসিত করেন। কোন কাজ না হলে মন খারাপ করতে বারণ করেন।সম্পাদক সাহেব প্রতিদিন জাহিদকে কোন না কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে বলেন। তিনি বলেন ভুল হোক তবুও তুমি লিখে যাও। লিখতে লিখতেই একদিন তুমি শিখে যাবে। সম্পাদক সাহেব জাহিদকে বলেন জীবনে কখনই নিজেকে ছোট ভাববে না। জাহিদ সম্পাদক সাহেবের কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন।আর কেনই বা শুনবে না? সাংবাদিকতার হাতেখরি তো তিনিই জাহিদকে শিখিয়েছেন। সম্পাদক সাহেবের কাছে থেকেই তো জাহিদ জেনেছে জীবনের মানে কি।

সম্পাদক সাহেব হয়তো চান যে জাহিদ জীবনে ভালো কিছু করুক।তাই তো তিনি জাহিদকে উৎসাহিত করেন। তিনি সবসময়ই জ্ঞানের ও সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। সম্পাদক সাহেব জাহিদকে তার জীবনের একটি গল্প বলেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার শুরুতে তিনি কতটা পরিশ্রম করেছেন।প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে অনেক মানুষের সাথে কথা বলেছেন,মানুষদের সাথে মিশেছেন এমনকি তাকে অনেক বাঁধার সম্মুখীনও হতে হয়েছে।তবুও তিনি সাংবাদিকতা করে গেছেন।

 

সম্পাদক সাহেব বলেন,সাংবাদিকতার শুরুতে তিনি ১০০ টাকা বেতনের চাকুরী করেছেন। তার বাবা চেয়েছিলেন তিনি যেন ডাক্তারি লাইনে পড়ালেখা করেন। ১০০ টাকা বেতনের চাকুরীতে ছেলে ঠিকমত চলতে পারবে কিনা, সেজন্য তার বাবা তাকে আলাদা করে টাকা পাঠাতেন। বাবা যেন এক ভরসার নাম। বাবা থাকা মানে মাথার উপরে যেন এক বটবৃক্ষের ছায়া।

 

সম্পাদকের কথা শুনে জাহিদ ভাবলো, মা বাসায় নেই। অফিসে আসবো বলে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবা কতই না কষ্ট করে রান্না করে আমাকে খাইয়েছে। এই পৃথিবীতে মা-বাবার চাইতে আপন আর কেউ নেই। মা-বাবাই হচ্ছে জীবনে প্রকৃত বন্ধু। বাবা-মাকে কিছু বলার আগেই কিভাবে যেন তারা সন্তানের মন বুঝে যান। সৃষ্টা সন্তানদের মন বোঝার ক্ষমতাটা যেন একমাত্র বাবা-মাকেই দিয়েছেন। দিন দিন জাহিদ যত সম্পাদকের কথা শোনে ততোই যেন মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়।