০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
মিষ্টি না অতিমিষ্টি? মার্কিন শরতের এই জনপ্রিয় পানীয় ইউরোপে বিভাজন সৃষ্টি করেছে প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৯) দিল্লিতে তিন বছরে সবচেয়ে শীতল ও বৃষ্টিপূর্ণ অক্টোবর, দূষণের ঘন কুয়াশায় শীতের শুরুতেই চিন্তা অন্ধকার থেকে আলোয়: স্যার অ্যান্থনি হপকিন্সের আত্মজয়ের গল্প ইনসাইড আউট ২’: ইতিহাসের শীর্ষে পিক্সার, ফিরে পেল আস্থা ‘দ্য লাইন অব বিউটি’–তে আশির দশকের রাজনীতি, সমকামী সংস্কৃতি ও শ্রেণি-অহমিকার মুখোমুখি লন্ডন মঞ্চ মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬১) সাঙ্গু নদী: পাহাড়ের কোলে জন্ম, জীবনের ধারায় প্রবাহ রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৬) পাকিস্তানে প্রথম চীনা নির্মিত সাবমেরিন- ২০২৬ সালে উদ্বোধন

৩ নভেম্বরের জেল হত্যা: পৃথিবীর অন্যতম বর্বর ঘটনা ও এর প্রতিকার

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • 63

পৃথিবীর অন্যতম বর্বর ঘটনা ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরে বাংলাদেশের জেলখানার ভেতর সংগঠিত নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের আজ ৫০তম বর্ষ।
১৯৭৫ সালের এই দিনে জেলখানার ভেতর হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্র স্রষ্টাদের প্রধান চার নেতাকে। যা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার একটি ধারাবাহিকতা।
পৃথিবীর যে কোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হলো জেলখানা। অথচ সেই যে জেলখানাতেই হত্যা করা হয়েছিল— বাংলাদেশের রাষ্ট্রের শীর্ষ স্রষ্টা ১৯৭১ সালের, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম (শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে তিনিই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধকালে), বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, ও অপর দুই শীর্ষ নেতা মনসুর আলী ও কামারুজ্জামানকে।
সত্যি অর্থে জেলখানার ভেতর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনো দেশে ঘটলে তার প্রকৃত বিচার করতে হয়। এবং একটি প্রকৃত তদন্ত কমিশন তৈরি করে এই বিচারের মূল ষড়যন্ত্রকে যে কোনো দেশকে উদঘাটন করতে হয়। এ দুটি কাজ না করলে কখনই ওই দেশ ষড়যন্ত্র ও হত্যার রাজনীতি থেকে বের হতে পারে না। এমনকি ওই রাষ্ট্রে স্থিতিশীলতাও আসে না।
বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ এই বর্বরতম হত্যাকাণ্ড ঘটার আজ ৫০ বছর হতে চলেছে— অথচ এই প্রকৃত বিচার ও প্রকৃত তদন্ত কমিশনের কাজটি হয়নি। কেন হয়নি— কেউ জানে না।
আর এই না হওয়ার বাস্তবতা বাংলাদেশকে বহন করতে হচ্ছে এখনও। এখনও দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল। দেশে একবার মাত্র স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটেছে। জেলখানা এখনও নিরাপদ নয়। মানবাধিকার কমিশনগুলো সেখানে ঘটে যাওয়া অনেক মৃত্যু নিয়ে এখনও প্রশ্ন তুলছে।
তাই ৩ নভেম্বর শুধু জাতীয় চার নেতার প্রতি শোক প্রকাশের কোনো আনুষ্ঠানিক দিন নয়— এ দিনটিতে এই সত্য বাংলাদেশের মানুষকে ভাবতে হবে— কীভাবে রাষ্ট্র ও মানুষকে এই চক্র থেকে বের করা সম্ভব।
জাতীয় চার নেতাসহ ওই প্রজন্ম দেশ সৃষ্টি করে গেছেন— ভবিষ্যতে কোনো প্রজন্ম যদি দেশকে এই চক্র থেকে বের করতে পারে; জাতীয় চার নেতা যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন— সেই লক্ষ্য ও আধুনিক বিশ্বের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে তারা যদি দেশকে সঠিক ট্রেন লাইনে তুলতে পারে— সেটাই হবে জাতীয় চার নেতার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা অর্পণ।

মিষ্টি না অতিমিষ্টি? মার্কিন শরতের এই জনপ্রিয় পানীয় ইউরোপে বিভাজন সৃষ্টি করেছে

৩ নভেম্বরের জেল হত্যা: পৃথিবীর অন্যতম বর্বর ঘটনা ও এর প্রতিকার

০৮:০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

পৃথিবীর অন্যতম বর্বর ঘটনা ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরে বাংলাদেশের জেলখানার ভেতর সংগঠিত নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের আজ ৫০তম বর্ষ।
১৯৭৫ সালের এই দিনে জেলখানার ভেতর হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্র স্রষ্টাদের প্রধান চার নেতাকে। যা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার একটি ধারাবাহিকতা।
পৃথিবীর যে কোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হলো জেলখানা। অথচ সেই যে জেলখানাতেই হত্যা করা হয়েছিল— বাংলাদেশের রাষ্ট্রের শীর্ষ স্রষ্টা ১৯৭১ সালের, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম (শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে তিনিই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধকালে), বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, ও অপর দুই শীর্ষ নেতা মনসুর আলী ও কামারুজ্জামানকে।
সত্যি অর্থে জেলখানার ভেতর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনো দেশে ঘটলে তার প্রকৃত বিচার করতে হয়। এবং একটি প্রকৃত তদন্ত কমিশন তৈরি করে এই বিচারের মূল ষড়যন্ত্রকে যে কোনো দেশকে উদঘাটন করতে হয়। এ দুটি কাজ না করলে কখনই ওই দেশ ষড়যন্ত্র ও হত্যার রাজনীতি থেকে বের হতে পারে না। এমনকি ওই রাষ্ট্রে স্থিতিশীলতাও আসে না।
বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ এই বর্বরতম হত্যাকাণ্ড ঘটার আজ ৫০ বছর হতে চলেছে— অথচ এই প্রকৃত বিচার ও প্রকৃত তদন্ত কমিশনের কাজটি হয়নি। কেন হয়নি— কেউ জানে না।
আর এই না হওয়ার বাস্তবতা বাংলাদেশকে বহন করতে হচ্ছে এখনও। এখনও দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল। দেশে একবার মাত্র স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটেছে। জেলখানা এখনও নিরাপদ নয়। মানবাধিকার কমিশনগুলো সেখানে ঘটে যাওয়া অনেক মৃত্যু নিয়ে এখনও প্রশ্ন তুলছে।
তাই ৩ নভেম্বর শুধু জাতীয় চার নেতার প্রতি শোক প্রকাশের কোনো আনুষ্ঠানিক দিন নয়— এ দিনটিতে এই সত্য বাংলাদেশের মানুষকে ভাবতে হবে— কীভাবে রাষ্ট্র ও মানুষকে এই চক্র থেকে বের করা সম্ভব।
জাতীয় চার নেতাসহ ওই প্রজন্ম দেশ সৃষ্টি করে গেছেন— ভবিষ্যতে কোনো প্রজন্ম যদি দেশকে এই চক্র থেকে বের করতে পারে; জাতীয় চার নেতা যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন— সেই লক্ষ্য ও আধুনিক বিশ্বের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে তারা যদি দেশকে সঠিক ট্রেন লাইনে তুলতে পারে— সেটাই হবে জাতীয় চার নেতার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা অর্পণ।