০৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
সাকিব ও মাশরাফি ছাড়া পারফরম্যান্স, শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের পর পথ কি? রাষ্ট্রে কখন ও কেন সংখ্যালঘুরা সংগঠিত ধর্ষণের শিকার হয় গ্রামীণ গর্ভবতী নারীদের আয়রন ঘাটতি: অর্ধেকের বেশি রক্তস্বল্পতায় আরব আমিরাত, মরুভূমি শহরে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মুরাদনগরে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণ: ‘এরপর সরকার ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নয়’—জাপা চেয়ারম্যান ইরান ও পাকিস্তান থেকে আফগানদের গণনির্বাসনে উদ্বেগ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতের, প্রভাব কেমন হবে ইরানে চীনা বিনিয়োগ অনিশ্চিত, তবু মধ্যপ্রাচ্যের আহ্বান অটুট একজন চীনা আন্টি, ৫টি অ্যাপ, ৬০টি প্রথম ডেট জুলাই যাদুঘরে কি “ মুরাদনগরের দ্রৌপদী” স্থান পাবে?

যুক্তরাষ্ট্রের মেইন রাজ্যে মশাতে ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে

  • Sarakhon Report
  • ০২:১০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
  • 17

সারাক্ষণ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের মেইন রাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এন্ড হিম্যোন সার্ভিস বলছে, “আমরা এখন মশাবাহিত রোগের ঠিক মৌসুমটাতে আছি যখন আদ্রতার অবস্থা মশাবাহিত রোগ বিস্তারে সহায়ক। এসময় মশার কামড়ে মানুষের  শরীরে  মশাবাহিত রোগ ছাড়ায়।”

রাজ্যের স্বাস্থ্য ও জনসেবা বিভাগের মতে, এই সপ্তাহে মেইনের কর্মকর্তারা অরোনোর বাসিন্দাদের মশাবাহিত ‘জেমসটাউন ক্যানিয়ন ভাইরাস’ রোগ সম্পর্কে সচেতন করেছেন যেটার জীবানু ২০১৭ সালে প্রথম মানুষের শরীরে পাওয়া যায়।

 

মেইন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল মিডিয়াকে  জানায় , এবারও বছরের শুরুর ‍দিকে মশার রক্তে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

মেইন সিডিসি’র একজন পাবলিক হেলথ কাউন্সেলর মেগান পোর্টার বলেন, “ এটা আমাদের কান খাড়া করে দিয়েছে যাতে আমরা সামনে তাকাতে পারি কারন একজন একটি শক্তিশালী মশার মৌসুম চলছে।”

মশারি অবশ্যই থাকা উচিত: বিছানায়  মশারি টাঙিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মশার জাল একটি সাধারণ বায়ুপ্রবাহ বজায় রাখে ।

মেইন হেলথ অফিসিয়াল জানাচ্ছে,  বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসটিকে জনগনের জন্যে  একটি ক্রমবর্ধমান  ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। যদিও এটি খুব কমই মিানুষের ভিতরে বাহিত হয় তবুও যখন মেনিনজাইটিজ এবং মৃত্যুর মতো ঝুকি এসে যায় তখন আর বসে থাকার মতো কিছু থাকেনা।

পোর্টার বলেন, চরম লক্ষণ সমূহ খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এবং মানুষ খুব দূর্বল হয়ে পড়ে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস এবং ডেঙ্গু ভাইরাস খুব বেশী সাধারন এবং মশা এই জীবানুগুলো খুব দ্রুত মানুষের মাঝে বাহিত করে।

এই গ্রীষ্মে সেইন্ট  লুই এনকেফেলাইটিচ এর উপরে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা খুব নজর রাখছেন কারন এটি একটি মশাবাহিত রোগ যা মানুষের মস্তিষ্ককে আঘাত করে চরম ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

 

গ্যাবসস্টোনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিক্যাল ব্রাঞ্চ এর বায়োলজি ও ইমিউলজি প্রফেসর শানান রসি বলেন,  সারাদেশে এই গ্রীষ্মের শেষের গরমে বহু মানুষ এর দ্বারা আক্রান্ত হয়।

রসি আরো বলেন , গ্রীষ্মের গরম বাড়ার সাথে সাথে এর চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা সারাদেশে বিরাজ করে। যেটা আমরা প্রতিবছর দেখতে পাই। এখন পরবর্তী মাসগুলোর জন্যে মশার অবস্থা সম্পর্কে আমাদের যা জানা প্রয়োজন:

মেইনের জেমসটাউন ক্যানিয়ন ভাইরাস

মেইনের পেনবসকট কাউন্টির অরোনোতে প্রথম এই ভাইরাসের পজিটিভ রেজাল্ট ধরা পড়ে।

পোর্টার বলেন, মানুষের শরীরে এখনো  এই ভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব ধরা পড়েনি, এবং সবশেষ মানুষের শরীরে এটি পাওয়া গেছিল ২০২১ সালে। রসি বলেন, এই ভাইরাস নর্দার্ন আমেরিকায় এবং কানাডার দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে সাধারনত ধরা পড়ে।

রসি বলেন, সর্বোপরি বেশকিছু প্রকার মশা এই ভাইরাস বহন করে কিন্তু খুব কম সংখ্যক এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। গবেষকরা দেখেছেন নি‌উইয়র্ক স্টেটে জেমসটাউন ভাইরাসের ইনফেকশন রেট ২০১২-২০২২ পর্যন্ত অনেক বেশী ছিল যা ২০০১-২০১১ এর চেয়ে অনেক বেশী।

 

মেইনের হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিসের মতে, এই জীবানুতে আক্রান্ত হলে রোগীরা বমি, ঘাড় অসাড়তা, যোগাযোগে ব্যর্থতা এবং এর প্রভাব তীব্র হলে রোগীর ব্রেন ফুলে যাওয়া এবং মেনিনজাইটিস হতে পারে। ২০১৮ সালে এজন ৫৬ বছর বয়সী রোগীক্রনিক এনকেফেলাইটসে ভুগে অবশেষে মারা যান।

২০২১ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি রিসার্স প্রকাশ করে যে, লোকটির মৃত্যুর পরে তার উপর পরীক্ষা চালালে তার স্পাইনাল কর্ডের ফ্লুইডে তীব্র ‘নিউরোপ্যাথোলজিক এবনরমালিটিজ’ এর উপস্থিতি প্রকাশ পায় ।

মেইন হেলথ এন্ড হিউমেন সার্ভিসেস বিভাগ জানায়, ২০২৩ সালে তিন ব্যাচ মশার উপরে পরীক্ষণ চালিয়ে মানুষের শরীরে জেমসটাউন ক্যানিয়ন ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

 

আমরা কিভাবে ওয়েস্ট  নাইল, ডেঙ্গু এবং জেমসটাউন প্রতিরোধ করবো ?

রসি বলেন, যে সমস্ত মশা ওয়েস্টনাইল জীবানু বহন করে সেগুলি সাধারনত খুব সকালে এবং সন্ধায় কামড়ায় তাই এই সময়গুলোতে ঘরের ভিতরে নিরাপদে থাকলে এর তেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। শরীরের উন্মুক্ত স্থানে মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় প্রতিরোধক ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

রসি আরো বলেন, ডেঙ্গু সাধারনত মানুষের বাড়ির আশেপাশের বদ্ধ পানিতে ডিম পাড়ে তাই এগুলিকে খেয়াল করতে হবে এবং মশা যাতে ডিম পাড়তে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে দরজা –জানালা বন্ধ করে রাখাও একটি ভালো উপায়।

রসি বলেন, “কীটনাশক প্রতিরোধী ঔষধ, আবৃত পোশাক মশার কামড় থেকে দূরে রাখবে এমনকি জেমসটাউন ক্যানিয়ন ভাইরাস থেকেও। তবে ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় এটা খুবই কঠিন কিন্তু ফুলস্লীভ পোশাক আপনাকে নিরাপদ রাখতে পারে।”

 

 

সাকিব ও মাশরাফি ছাড়া পারফরম্যান্স, শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের পর পথ কি?

যুক্তরাষ্ট্রের মেইন রাজ্যে মশাতে ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে

০২:১০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের মেইন রাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এন্ড হিম্যোন সার্ভিস বলছে, “আমরা এখন মশাবাহিত রোগের ঠিক মৌসুমটাতে আছি যখন আদ্রতার অবস্থা মশাবাহিত রোগ বিস্তারে সহায়ক। এসময় মশার কামড়ে মানুষের  শরীরে  মশাবাহিত রোগ ছাড়ায়।”

রাজ্যের স্বাস্থ্য ও জনসেবা বিভাগের মতে, এই সপ্তাহে মেইনের কর্মকর্তারা অরোনোর বাসিন্দাদের মশাবাহিত ‘জেমসটাউন ক্যানিয়ন ভাইরাস’ রোগ সম্পর্কে সচেতন করেছেন যেটার জীবানু ২০১৭ সালে প্রথম মানুষের শরীরে পাওয়া যায়।

 

মেইন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল মিডিয়াকে  জানায় , এবারও বছরের শুরুর ‍দিকে মশার রক্তে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

মেইন সিডিসি’র একজন পাবলিক হেলথ কাউন্সেলর মেগান পোর্টার বলেন, “ এটা আমাদের কান খাড়া করে দিয়েছে যাতে আমরা সামনে তাকাতে পারি কারন একজন একটি শক্তিশালী মশার মৌসুম চলছে।”

মশারি অবশ্যই থাকা উচিত: বিছানায়  মশারি টাঙিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মশার জাল একটি সাধারণ বায়ুপ্রবাহ বজায় রাখে ।

মেইন হেলথ অফিসিয়াল জানাচ্ছে,  বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসটিকে জনগনের জন্যে  একটি ক্রমবর্ধমান  ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। যদিও এটি খুব কমই মিানুষের ভিতরে বাহিত হয় তবুও যখন মেনিনজাইটিজ এবং মৃত্যুর মতো ঝুকি এসে যায় তখন আর বসে থাকার মতো কিছু থাকেনা।

পোর্টার বলেন, চরম লক্ষণ সমূহ খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এবং মানুষ খুব দূর্বল হয়ে পড়ে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস এবং ডেঙ্গু ভাইরাস খুব বেশী সাধারন এবং মশা এই জীবানুগুলো খুব দ্রুত মানুষের মাঝে বাহিত করে।

এই গ্রীষ্মে সেইন্ট  লুই এনকেফেলাইটিচ এর উপরে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা খুব নজর রাখছেন কারন এটি একটি মশাবাহিত রোগ যা মানুষের মস্তিষ্ককে আঘাত করে চরম ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

 

গ্যাবসস্টোনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিক্যাল ব্রাঞ্চ এর বায়োলজি ও ইমিউলজি প্রফেসর শানান রসি বলেন,  সারাদেশে এই গ্রীষ্মের শেষের গরমে বহু মানুষ এর দ্বারা আক্রান্ত হয়।

রসি আরো বলেন , গ্রীষ্মের গরম বাড়ার সাথে সাথে এর চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা সারাদেশে বিরাজ করে। যেটা আমরা প্রতিবছর দেখতে পাই। এখন পরবর্তী মাসগুলোর জন্যে মশার অবস্থা সম্পর্কে আমাদের যা জানা প্রয়োজন:

মেইনের জেমসটাউন ক্যানিয়ন ভাইরাস

মেইনের পেনবসকট কাউন্টির অরোনোতে প্রথম এই ভাইরাসের পজিটিভ রেজাল্ট ধরা পড়ে।

পোর্টার বলেন, মানুষের শরীরে এখনো  এই ভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব ধরা পড়েনি, এবং সবশেষ মানুষের শরীরে এটি পাওয়া গেছিল ২০২১ সালে। রসি বলেন, এই ভাইরাস নর্দার্ন আমেরিকায় এবং কানাডার দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে সাধারনত ধরা পড়ে।

রসি বলেন, সর্বোপরি বেশকিছু প্রকার মশা এই ভাইরাস বহন করে কিন্তু খুব কম সংখ্যক এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। গবেষকরা দেখেছেন নি‌উইয়র্ক স্টেটে জেমসটাউন ভাইরাসের ইনফেকশন রেট ২০১২-২০২২ পর্যন্ত অনেক বেশী ছিল যা ২০০১-২০১১ এর চেয়ে অনেক বেশী।

 

মেইনের হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিসের মতে, এই জীবানুতে আক্রান্ত হলে রোগীরা বমি, ঘাড় অসাড়তা, যোগাযোগে ব্যর্থতা এবং এর প্রভাব তীব্র হলে রোগীর ব্রেন ফুলে যাওয়া এবং মেনিনজাইটিস হতে পারে। ২০১৮ সালে এজন ৫৬ বছর বয়সী রোগীক্রনিক এনকেফেলাইটসে ভুগে অবশেষে মারা যান।

২০২১ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি রিসার্স প্রকাশ করে যে, লোকটির মৃত্যুর পরে তার উপর পরীক্ষা চালালে তার স্পাইনাল কর্ডের ফ্লুইডে তীব্র ‘নিউরোপ্যাথোলজিক এবনরমালিটিজ’ এর উপস্থিতি প্রকাশ পায় ।

মেইন হেলথ এন্ড হিউমেন সার্ভিসেস বিভাগ জানায়, ২০২৩ সালে তিন ব্যাচ মশার উপরে পরীক্ষণ চালিয়ে মানুষের শরীরে জেমসটাউন ক্যানিয়ন ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

 

আমরা কিভাবে ওয়েস্ট  নাইল, ডেঙ্গু এবং জেমসটাউন প্রতিরোধ করবো ?

রসি বলেন, যে সমস্ত মশা ওয়েস্টনাইল জীবানু বহন করে সেগুলি সাধারনত খুব সকালে এবং সন্ধায় কামড়ায় তাই এই সময়গুলোতে ঘরের ভিতরে নিরাপদে থাকলে এর তেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। শরীরের উন্মুক্ত স্থানে মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় প্রতিরোধক ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

রসি আরো বলেন, ডেঙ্গু সাধারনত মানুষের বাড়ির আশেপাশের বদ্ধ পানিতে ডিম পাড়ে তাই এগুলিকে খেয়াল করতে হবে এবং মশা যাতে ডিম পাড়তে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে দরজা –জানালা বন্ধ করে রাখাও একটি ভালো উপায়।

রসি বলেন, “কীটনাশক প্রতিরোধী ঔষধ, আবৃত পোশাক মশার কামড় থেকে দূরে রাখবে এমনকি জেমসটাউন ক্যানিয়ন ভাইরাস থেকেও। তবে ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় এটা খুবই কঠিন কিন্তু ফুলস্লীভ পোশাক আপনাকে নিরাপদ রাখতে পারে।”