পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
অস্থিরতায় নেতার আচরণ
সাধারণত কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কখনও কখনও অস্থিরতার মধ্যে পড়ে। এটা যে কোন কোম্পানি বা সংগঠনে ঘটতেই পারে।
এ সময়ে নেতার আচরনই নেতার সব থেকে বড় সম্পদ। আর সে সম্পদ কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।
১. নেতার কোন আচরণ বা কোন কথা যে কোনমতেই কোন একটি বিশেষ পক্ষের দিকে না যায়।
২. তার কাজ, আচরন, বডি-ল্যাঙ্গুয়েজ ও শব্দ ব্যবহার সবই এমন হতে হবে যে সকলেই মনে করে সেই একমাত্র সমস্যার সমাধান করতে পারে।
৩. এ সময়ে নেতাকে কখনই শক্রকে দৃশ্যমান করতে নেই বরং আরো বেশি চেষ্টা করতে হয় যেন এই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে কোন একটি পক্ষ শত্রু না হয়।
৪. এছাড়া সকলেই যেন মনে করতে পারে সে সকলের হয়ে কাজ করছে এবং সেই প্রকৃত সমস্যার সমাধন চায় ও করতে পারবে।
৫. যে কারণে অস্থিরতার সৃষ্টি হয় এবং যারা অস্থিরতার অনুঘটক থাকে ওই বিষয়টির কাছে এবং ব্যক্তিদের কাছে নেতাকে দ্রুত গ্রহনযোগ্য হতে হয়।
৬. আর এ জন্য যেভাবে, যতটা নমনীয় ও শোভনভাবে আলোচনা বা পারস্পারিকভাবে কাছে আসা যায় তা চিন্তা করতে হয়।
৭. এই সময়ে যে কোন ধরনের ক্রোধ, ইগো ও নিজেকে অতিমূ্ল্যায়ন নেতার জন্যে অনেক বেশি ক্ষতিকর।
৮. প্রয়োজনে একটু পিছিয়ে গিয়েও নিজেকে গ্রহনযোগ্য যেমন করতে হয় তেমনি কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে নিতে হয়।
৯. অস্থিরতা মূহূর্তে কমে যাবে এমনটি চিন্তা করতে নেই। তবে তার মাত্রা যাতে না বাড়ে সে পথে কাজ করতে হয়।
১০. নেতাকে এ সময়ে অবশ্যই তার চিন্তা ও আচরণকে স্বাভাবিক সময়ের মতোই রাখতে হয়। ঘটনা চিন্তার ওপর প্রভাব বিস্তার করলে নেতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
Leave a Reply