০১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
বেসামরিক যুদ্ধে ভেটেরানদের জন্য বিক্রিত শিল্পের উত্থান ইউপিএস ফ্লাইট ২৯৭৬ দুর্ঘটনা: তদন্ত ও উদ্ধার কার্যক্রম মেক্সিকো: রাষ্ট্রপতি শেইনবাউমের প্রতি শারীরিক নির্যাতন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে লুলার ‘সত্যের COP’ প্রতিশ্রুতি: জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিপদে — কংগ্রেসের রাজস্ব ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের দাবি জোরালো ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বড় অগ্রগতি: পোকরোভস্ক দখলের দ্বারপ্রান্তে কুইন্স: প্রবাসী নারীদের জীবনের টানাপোড়েন ও আত্মসংগ্রামের নাটক মার্কিন ধনী বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন দিগন্ত: ব্যক্তিগত শেয়ার ব্যবসায় প্রবেশ করল চার্লস শোয়াব চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে ৪৮ রানে দাপুটে জয় ভারতের দক্ষিণ লেবাননে নতুন বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল

মায়া সভ্যতার ইতিহাস ( পর্ব-৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 68

ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

মানুষের রক্তদান

 ধর্মীয় বৈশিষ্ট্যর মধ্যে রয়েছে মায়া জনগোষ্ঠীর জীবনচর্যার নানাদিক। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অন্তরঙ্গ সাংস্কৃতিক দিক নাচ, গান, নাটকের মত সমবেত অভিনয় প্রার্থনা। বলিদান এই ধর্মের অনুষঙ্গ ছিল। এই বলিদান মানুষের বলি পর্যন্ত গড়াত।

পুরোহিত দেহের নানা অঙ্গ কান, জিভ, ঠোঁট খণ্ড-বিখণ্ড করে রক্ত বইয়ে দিত। এবং এই রক্ত উৎসর্গ করা হত তাদের ঈশ্বরকে। এক্ষত্রে দেবতাদের মধ্যে যার স্থান, মান যত উপরে তার রক্তের দাবিও বেশি। এ বাদেও আরেকটি ভয়ংকর দানপ্রথা চালু ছিল।

এই রীতি অনুযায়ী একজন-এর দেহ থেকে টাটকা কলজে বুকের হাড় ফালা ফালা করে কেটে বার করা হত। এবং এক্ষেত্রে ঐ মানুষটিকে একটা পিরামিড-এর আকার করা মঞ্চের উপর দাঁড় করানো হয় এবং তারপর ঐভাবে কেটে বার করা গরম কলজে (Heart)-টা আগুনে ফেলে পোড়ানো হয়।

এবং বিশ্বাস করা হয় এইরকমভাবে হৃদয় দান করলে দেবতা সন্তুষ্ট হন। মায়াদের ধর্মীয় বিশ্বাস-এর অনেকটা পৃথিবীর জন্মকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা। যেমন মায়ারা বিশ্বাস করে যে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে পাঁচবার তৈরি করা হয়েছে এবং চারবার ধ্বংস করা হয়েছে।

৯০০ খ্রিঃ থেকে মেসোআমেরিকান ধর্মেরও এই মূল ছিল। মায়া-দেবতাদের অধিকাংশ হল সরীসৃপ জাতির। এবং সবার মধ্যে দ্বৈত সত্তা ছিল। এই দুই সত্তার মধ্যে অন্যতম হল ভাল, মঙ্গলময় দিক এবং অপর সত্তা হল খারাপ, অমঙ্গলময় দিক। মায়া জনজাতির মানুষ পরজন্মের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে।

কিন্তু তারা এই সঙ্গে একথাও বিশ্বাস করে যে স্বর্গের আসন সবার জন্য নয়। মর্ত্যলোকে যাদের ফাঁসী হয়েছিল বা বলি দেওয়া হয়েছিল বা জন্মাবার পরই কোনো কারণে মারা গিয়েছিল তারাই স্বর্গলোকে বাস করতে পারবেন। মৃত্যুর রাজার আদেশে অন্য সবাইকে নরকে যেতে হয়।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস ( পর্ব-৬)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস ( পর্ব-৬)

জনপ্রিয় সংবাদ

বেসামরিক যুদ্ধে ভেটেরানদের জন্য বিক্রিত শিল্পের উত্থান

মায়া সভ্যতার ইতিহাস ( পর্ব-৭)

০৬:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

মানুষের রক্তদান

 ধর্মীয় বৈশিষ্ট্যর মধ্যে রয়েছে মায়া জনগোষ্ঠীর জীবনচর্যার নানাদিক। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অন্তরঙ্গ সাংস্কৃতিক দিক নাচ, গান, নাটকের মত সমবেত অভিনয় প্রার্থনা। বলিদান এই ধর্মের অনুষঙ্গ ছিল। এই বলিদান মানুষের বলি পর্যন্ত গড়াত।

পুরোহিত দেহের নানা অঙ্গ কান, জিভ, ঠোঁট খণ্ড-বিখণ্ড করে রক্ত বইয়ে দিত। এবং এই রক্ত উৎসর্গ করা হত তাদের ঈশ্বরকে। এক্ষত্রে দেবতাদের মধ্যে যার স্থান, মান যত উপরে তার রক্তের দাবিও বেশি। এ বাদেও আরেকটি ভয়ংকর দানপ্রথা চালু ছিল।

এই রীতি অনুযায়ী একজন-এর দেহ থেকে টাটকা কলজে বুকের হাড় ফালা ফালা করে কেটে বার করা হত। এবং এক্ষেত্রে ঐ মানুষটিকে একটা পিরামিড-এর আকার করা মঞ্চের উপর দাঁড় করানো হয় এবং তারপর ঐভাবে কেটে বার করা গরম কলজে (Heart)-টা আগুনে ফেলে পোড়ানো হয়।

এবং বিশ্বাস করা হয় এইরকমভাবে হৃদয় দান করলে দেবতা সন্তুষ্ট হন। মায়াদের ধর্মীয় বিশ্বাস-এর অনেকটা পৃথিবীর জন্মকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা। যেমন মায়ারা বিশ্বাস করে যে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে পাঁচবার তৈরি করা হয়েছে এবং চারবার ধ্বংস করা হয়েছে।

৯০০ খ্রিঃ থেকে মেসোআমেরিকান ধর্মেরও এই মূল ছিল। মায়া-দেবতাদের অধিকাংশ হল সরীসৃপ জাতির। এবং সবার মধ্যে দ্বৈত সত্তা ছিল। এই দুই সত্তার মধ্যে অন্যতম হল ভাল, মঙ্গলময় দিক এবং অপর সত্তা হল খারাপ, অমঙ্গলময় দিক। মায়া জনজাতির মানুষ পরজন্মের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে।

কিন্তু তারা এই সঙ্গে একথাও বিশ্বাস করে যে স্বর্গের আসন সবার জন্য নয়। মর্ত্যলোকে যাদের ফাঁসী হয়েছিল বা বলি দেওয়া হয়েছিল বা জন্মাবার পরই কোনো কারণে মারা গিয়েছিল তারাই স্বর্গলোকে বাস করতে পারবেন। মৃত্যুর রাজার আদেশে অন্য সবাইকে নরকে যেতে হয়।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস ( পর্ব-৬)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস ( পর্ব-৬)