০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
রাস্তায় দিন কাটিয়ে ২৫০ ডলার থেকেই গড়লেন ৪.৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৩৩) কোরিয়ায় প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে সাবওয়ে যাত্রার চ্যালেঞ্জসমূহ কুশিয়ারা নদীর দুই শত বছরের ইতিহাস ও জীবনের ধারা হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৪) শেখ হাসিনার গুলির নির্দেশের ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং যেভাবে যাচাই করেছে বিবিসি প্রাক্তন মালয়েশিয়ার নেতা মাহাথিরের ১০০তম জন্মদিন ইরানের “ছায়া ব্যাংকিং” তেলের অবৈধ বাণিজ্য নেটওয়ার্কে নিষেধাজ্ঞা যেভাবে শুরু হয়েছিলো গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা জঙ্গী হামলা সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া ও তাদের ওপর সংহিসতা চলমান

পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে নিহত ১৩৩

  • Sarakhon Report
  • ০২:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 22

কুররামে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের প্রতিবাদের রাজপথে নারীরা

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের কুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ গত সপ্তাহে বিবাদমান পক্ষগুলোকে সংঘর্ষ বন্ধ রাখতে সম্মত করা গেলেও সংঘাত থামেনি৷

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সংঘাতে মৃতের সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়েছে৷

আফগানিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন পাকিস্তানের কুররাম জেলা গত কয়েকদশক ধরে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে৷ সুন্নি এবং শিয়াদের মধ্যে গতমাসে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলে অনেকে প্রাণ হারান৷

জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়াজিদ হোসেন জানান যে গত কয়েকদিনে হামলায় ১৩৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত কমাতে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এখনো কোনো সাফল্য আসেনি৷”

গত রোববার পাকিস্তান সরকারের একটি দল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীকে সাতদিনের ‘যুদ্ধবিরতি’তে সম্মত করে৷ সেখানে সশস্ত্র শিয়া এবং সুন্নি মুসলমানরা কয়েক দশক ধরে ভূমি দখল এবং অন্যান্য স্থানীয় বিষয়াদি নিয়ে উপজাতীয় ও সাম্প্রদায়িক সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে৷

প্রদেশের কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিহতের সংখ্যা ৯৭ জন বলছে৷ এদের মধ্যে ৪৩ জন শিয়া চালকদের উপরে প্রাথমিক হামলায় নিহত হন৷ পরবর্তীতে প্রতিশোধমূলক হামলায় বাকিরা মৃত্যুবরণ করেন৷

খাইবার পাখতুনখার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন খান গান্দাপুর শনিবার সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷ সেখানে তিনি উপজাতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ এবং নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন৷ পরবর্তীতে তার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘যেকেউ অস্ত্র হাতে তুলে নিলে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং সন্ত্রাসীর কপালে যা থাকে তারও তাই হবে৷”

স্থানীয় বাসিন্দা এবং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারের সঙ্গে কুররামের মূল শহর পারাচিনার মধ্যকার মহাসড়কটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে৷ ফলে আহতদেরকে হাসপাতালে নিতে সমস্যা হচ্ছে৷

পারাচিনা জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ মীর হাসান বলেন, ‘‘পেশোয়ার এবং অন্যান্য স্থানে আহতদের পাঠাতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের চিকিৎসক দল একের পর এক অস্ত্রোপচার করছেন৷”

তিনি জানিয়েছেন যে তারা বর্তমানে ১০০ আহত ব্যক্তির চিকিৎসা করছেন এবং সহিংসতার সময় ৫০টি মরদেহ পেয়েছেন৷

ডিডাব্লিউ ডটকম

 

রাস্তায় দিন কাটিয়ে ২৫০ ডলার থেকেই গড়লেন ৪.৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ

পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে নিহত ১৩৩

০২:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের কুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ গত সপ্তাহে বিবাদমান পক্ষগুলোকে সংঘর্ষ বন্ধ রাখতে সম্মত করা গেলেও সংঘাত থামেনি৷

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সংঘাতে মৃতের সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়েছে৷

আফগানিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন পাকিস্তানের কুররাম জেলা গত কয়েকদশক ধরে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে৷ সুন্নি এবং শিয়াদের মধ্যে গতমাসে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলে অনেকে প্রাণ হারান৷

জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়াজিদ হোসেন জানান যে গত কয়েকদিনে হামলায় ১৩৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত কমাতে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এখনো কোনো সাফল্য আসেনি৷”

গত রোববার পাকিস্তান সরকারের একটি দল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীকে সাতদিনের ‘যুদ্ধবিরতি’তে সম্মত করে৷ সেখানে সশস্ত্র শিয়া এবং সুন্নি মুসলমানরা কয়েক দশক ধরে ভূমি দখল এবং অন্যান্য স্থানীয় বিষয়াদি নিয়ে উপজাতীয় ও সাম্প্রদায়িক সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে৷

প্রদেশের কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিহতের সংখ্যা ৯৭ জন বলছে৷ এদের মধ্যে ৪৩ জন শিয়া চালকদের উপরে প্রাথমিক হামলায় নিহত হন৷ পরবর্তীতে প্রতিশোধমূলক হামলায় বাকিরা মৃত্যুবরণ করেন৷

খাইবার পাখতুনখার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন খান গান্দাপুর শনিবার সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷ সেখানে তিনি উপজাতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ এবং নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন৷ পরবর্তীতে তার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘যেকেউ অস্ত্র হাতে তুলে নিলে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং সন্ত্রাসীর কপালে যা থাকে তারও তাই হবে৷”

স্থানীয় বাসিন্দা এবং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারের সঙ্গে কুররামের মূল শহর পারাচিনার মধ্যকার মহাসড়কটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে৷ ফলে আহতদেরকে হাসপাতালে নিতে সমস্যা হচ্ছে৷

পারাচিনা জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ মীর হাসান বলেন, ‘‘পেশোয়ার এবং অন্যান্য স্থানে আহতদের পাঠাতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের চিকিৎসক দল একের পর এক অস্ত্রোপচার করছেন৷”

তিনি জানিয়েছেন যে তারা বর্তমানে ১০০ আহত ব্যক্তির চিকিৎসা করছেন এবং সহিংসতার সময় ৫০টি মরদেহ পেয়েছেন৷

ডিডাব্লিউ ডটকম