০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

শীতের স্নিগ্ধতায় খেজুরের রস

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 15

রেজাই রাব্বী

চলছে পৌষ মাস। বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কমেছে তাপমাত্রা। ক’দিন হলো দেখা মেলেনি সূর্যেরও। আর এই শীতের সকালে প্রধান পানীয় হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় খেজুর রসকে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে খেজুর গাছের নিচে রসপ্রেমীদের দেখা যায় ভিড় জমাতে। গাছ থেকে পাড়া এক গ্লাস টাটকা খেজুর রসে যেন জমে উঠে শীতের আমেজ। কুয়াশামাখা ভোরে খেজুর রসের স্বাদ নিতে ভিড় জমায় নানা বয়সের মানুষেরা। শীত যত বাড়ে খেজুর রসের স্বাদও তত বাড়ে।

তেমনি কুয়াশার চাদরে ঢাকা একটি সকালে দেখা মেলে খেজুর রস খেতে সিরাজগঞ্জ শহর থেকে তাড়াশ উপজেলার ভাদাশ গ্রামে আসা একদল তরুণের। ভোরে সূর্য ওঠার আগেই সাগর, কায়েস, সাকিব, রাব্বী, আসিফ, সৌরভ, জুয়েল ও রবিন নামের খেজুর রস প্রেমী যুবকরা ভীড় জমিয়েছেন ভাদাশ—সেরাজপুর সড়কের খেজুর রস বিক্রেতার কাছে।

রসপ্রেমী তরুণ সাগর, কায়েস, আসিফ, জুয়েল, সাকিব, ও রবিন জানান, মোটরসাইকেল করে প্রতি শীতেই খেজুর রস খেতে বেশ কয়েকবার তাড়াশে আসেন। খাঁটি রসের মজাই আলাদা ও বন্ধুদের সাথে আসা অন্যরকম অনুভূতি অনুভব করা যায়। আর তাড়াশের খেজুর রস ও খাঁটি খেজুর গুঁড়ের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে।

সারাক্ষণ প্রতিবেদককে রস বিক্রেতা আব্দুল মতিন জানান, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে ভোর থেকে লোকজন আসা শুরু করেন। প্রায় এক থেকে দেড় শতাধিক মানুষ রস খেতে আসেন। এক গ্লাস রসের দাম ১০ টাকা। লিটার হিসাবে ৫০ টাকা। প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকার খেজুর রস বিক্রি হয় বলে জানান তিনি ।

আরেক খেজুর গাছের মালিক ফরহাদ আলী প্রতিবেদককে বলেন, খাঁটি রস খাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে বহু মানুষ আসেন। সেই সাথে নিজেরা রস খায় আবার বাড়িতেও নিয়ে যান। আর বেলা বাড়ার সাথে সাথেই গাছিদেরও ব্যস্ততা বেড়ে যায়, শুরু হয় খেজুর রস দিয়ে গুড় বানানোর প্রক্রিয়া। ভোরে রসের হাড়ি গাছ থেকে নামিয়ে চলন্ত আগুনে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। আর সেই খেজুর রসের তৈরি পাটালি গুঁড়, বাটি গুঁড় ও নালী গুঁড় স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন শহরে বিক্রি হয়। আবার রস খেতে এসেও গুঁড় কিনে নিয়ে যায় অনেকে।

শীতের স্নিগ্ধতায় খেজুরের রস

০৬:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

রেজাই রাব্বী

চলছে পৌষ মাস। বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কমেছে তাপমাত্রা। ক’দিন হলো দেখা মেলেনি সূর্যেরও। আর এই শীতের সকালে প্রধান পানীয় হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় খেজুর রসকে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে খেজুর গাছের নিচে রসপ্রেমীদের দেখা যায় ভিড় জমাতে। গাছ থেকে পাড়া এক গ্লাস টাটকা খেজুর রসে যেন জমে উঠে শীতের আমেজ। কুয়াশামাখা ভোরে খেজুর রসের স্বাদ নিতে ভিড় জমায় নানা বয়সের মানুষেরা। শীত যত বাড়ে খেজুর রসের স্বাদও তত বাড়ে।

তেমনি কুয়াশার চাদরে ঢাকা একটি সকালে দেখা মেলে খেজুর রস খেতে সিরাজগঞ্জ শহর থেকে তাড়াশ উপজেলার ভাদাশ গ্রামে আসা একদল তরুণের। ভোরে সূর্য ওঠার আগেই সাগর, কায়েস, সাকিব, রাব্বী, আসিফ, সৌরভ, জুয়েল ও রবিন নামের খেজুর রস প্রেমী যুবকরা ভীড় জমিয়েছেন ভাদাশ—সেরাজপুর সড়কের খেজুর রস বিক্রেতার কাছে।

রসপ্রেমী তরুণ সাগর, কায়েস, আসিফ, জুয়েল, সাকিব, ও রবিন জানান, মোটরসাইকেল করে প্রতি শীতেই খেজুর রস খেতে বেশ কয়েকবার তাড়াশে আসেন। খাঁটি রসের মজাই আলাদা ও বন্ধুদের সাথে আসা অন্যরকম অনুভূতি অনুভব করা যায়। আর তাড়াশের খেজুর রস ও খাঁটি খেজুর গুঁড়ের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে।

সারাক্ষণ প্রতিবেদককে রস বিক্রেতা আব্দুল মতিন জানান, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে ভোর থেকে লোকজন আসা শুরু করেন। প্রায় এক থেকে দেড় শতাধিক মানুষ রস খেতে আসেন। এক গ্লাস রসের দাম ১০ টাকা। লিটার হিসাবে ৫০ টাকা। প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকার খেজুর রস বিক্রি হয় বলে জানান তিনি ।

আরেক খেজুর গাছের মালিক ফরহাদ আলী প্রতিবেদককে বলেন, খাঁটি রস খাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে বহু মানুষ আসেন। সেই সাথে নিজেরা রস খায় আবার বাড়িতেও নিয়ে যান। আর বেলা বাড়ার সাথে সাথেই গাছিদেরও ব্যস্ততা বেড়ে যায়, শুরু হয় খেজুর রস দিয়ে গুড় বানানোর প্রক্রিয়া। ভোরে রসের হাড়ি গাছ থেকে নামিয়ে চলন্ত আগুনে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। আর সেই খেজুর রসের তৈরি পাটালি গুঁড়, বাটি গুঁড় ও নালী গুঁড় স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন শহরে বিক্রি হয়। আবার রস খেতে এসেও গুঁড় কিনে নিয়ে যায় অনেকে।