প্রদীপ কুমার মজুমদার
মহম্মদ ইবন আবদাল্লা, আবু নাশর এবং অল কাওয়াদনী প্রমুখেরা কিতাব অল ফি’ল হিসাব অল হিন্দি নামে গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। হারানের অধিবাসী এবং প্রখ্যাত গণিতবিদ অল ফতে “ইলম হিসাব অল তকত” নামে একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। অল রজি “কিতাব অল তকত” নামক গ্রন্থের গ্রন্থকার হিসাবে আমাদের নিকট সুপরিচিত।
একটু লক্ষ্য করলে স্পষ্টই বোঝা যায় অল মুজতবার আগেও “কিতাব অল তকত” লেখা হয়েছে এবং এ থেকে ধারণা করা যেতে পারে অল মুজতবার পূর্বে কিতাব অল তকত জনপ্রিয় ছিল। কয়েকটি গ্রন্থ পড়ে মনে হয় এ্যাবাকাস এবং তকত শব্দ দুটি সমার্থক।
বিশেষ করে আমীন অল দীন এবং অল অভরী কর্তৃক লিখিত “কাফির ফি হিসাব অল তকত ওয়াল মীল” এবং আবু আবদাল্লা লিখিত” জওয়ামী অল হিসাব বিল তকত, ওয়াল তুরাব” গ্রন্থগুলি পড়লে এ ধারণাকেই সুদৃঢ় করে। তাছাড়া হাজী খলিকা এক স্থানে লিখেছেন, এরিথমেটিকের বিভিন্ন ভাগ আছে।
তার মধ্যে ফলকের উপর এরিথমেটিক (arithmetic on board) একটি বিভাগ। এটিকে অল তকত ওয়াল মিল নামে অভিহিত করা হয়। এটির মধ্যে এরিথমেটিকের এক প্রভৃতি সংখ্যার বিভিন্ন নিয়ম লিপিবদ্ধ আছে। সমস্ত প্রতীক চিহ্ন হিন্দুদের দান।
এ ধরণের এরিথমেটিককে “অল তকত ওয়াল তুরাব” বলা হয়। এ থেকে স্পষ্টই বলা যায় ধূলি এবং ফলকের সাহায্যে স্থানীয় মান সহকারে হিন্দু সংখ্যা গণনা করা হোত।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৮)