সারাক্ষণ রিপোর্ট
২ এপ্রিল হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত থাকবে, কিন্তু সব আমদানি পণ্যের ওপর ১০% অতিরিক্ত শুল্ক বহাল থাকবে। এর ফলে আগে থেকে আরোপিত শুল্কের সঙ্গে এই অতিরিক্ত ফি যোগ হয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্ট রফতানিতে নতুন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া
• মোট শুল্ক বৃদ্ধি: আগে গড়ে ১৪.১% শুল্ক পর্যালোচনার পর অতিরিক্ত ১০% যুক্ত হলে সার্বিক শুল্ক দাঁড়ায় ২৪.১%
• খরচ মেনে নিতে অনীহা: আমেরিকান আমদানিকারকরা অতিরিক্ত খরচ স্বীকার না করে উৎপাদকদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন
• চালান বিলম্ব: সমঝোতা না হলে নতুন চালান অনুমোদন আটকে দেয়া হচ্ছে, যা ডেলিভারিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে
আলোচনা প্রক্রিয়া ও প্রভাব
• বড় ব্র্যান্ডের নীরবতা: ওয়ালমার্ট, টার্গেট, গ্যাপ, লেভিস, পিভিএইচসহ অন্যান্যদের ঢাকার অফিস থেকে এখনও কোনো মন্তব্য নেই
• খরচ ভাগাভাগি: বেশিরভাগ আমদানিকারক অতিরিক্ত ১০%-এর মধ্যে প্রায় ৮% নিজেই বহন করতে রাজি, বাকিটা (প্রায় ২%) রফতানিকারকদের দিতে বলছেন
• অর্ডার স্থগিতের হুমকি: মূল্য সমন্বয় না হলে চলমান অর্ডার স্থগিত বা নতুন চুক্তি এড়ানোর কথা বলা হচ্ছে
শিল্পের উদ্বেগ ও প্রস্তুতি
• উৎপাদকদের দ্বন্দ্ব: খরচ ভাগাভাগি ও লাভের মার্জিন সামঞ্জস্য রাখতে গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ
• কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ: অতিরিক্ত খরচ মোকাবিলায় মালিকরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অবিচ্ছিন্ন সাপ্লাইয়ে বিনিয়োগ বাড়িয়ে শিল্প দক্ষতা নিশ্চিত করছেন
খুচরা পর্যায়ে প্রভাব
• বিক্রয় হ্রাসের সংকেত: স্টোরগুলো স্টক ম্যানেজমেন্টে আরও সতর্ক হচ্ছে, গ্রাহকরা খুচরা মূল্য বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে কম কেনাকাটা করছেন
• সরবরাহকারীদের ওপর চাপ: সম্ভাব্য দামবৃদ্ধি ক্রেতাদের দরকষাকষি আরও কঠোর করে দিচ্ছে, যা রফতানিকারকদের মার্জিন সংকুচিত করছে
মূল পরিসংখ্যান
• ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি: ৭.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
• ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি: ৭.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার