সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার রাস্তায় ছিনতাই (দস্যুতা–ডাকাতির) সংখ্যা বিপর্যয়করভাবে বেড়ে গেছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সন্ধ্যা–রাত বারণ, তীব্র অস্ত্রধারী চক্রের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া এবং ছুরিকাঘাতের ঘটনা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
ছিনতাইয়ের পরিসংখ্যানে উত্থান
হটস্পট এবং গ্রেপ্তার
একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ঢাকায় বর্তমানে ৩৪২টি ছিনতাই হটস্পট রয়েছে; এর মধ্যে তেজগাঁও বিভাগে মোহাম্মদপুর ও আদাবরে ১০৮টি, মিরপুরে ৯৫টি, গুলশান–উত্তরায় ৯৪টি স্পট রয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) তথ্যে ঢাকা ও আশপাশে ২৭৯টি সক্রিয় ছিনতাই স্পট শনাক্ত হয়েছে; র্যাব-১-এ ৪১, র্যাব-২-এ ৭৯, র্যাব-৩-এ ২৪, র্যাব-৪-এ ৬২ এবং র্যাব-১০-এ ৭৩টি স্পট ।
. সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা
পুলিশ ও র্যাবের উদ্যোগ
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বীকার করেছেন যে আধুনিক ছিনতাইকারীরা মাদকাসক্ত কম বয়সী যুবক, গত এক সপ্তাহে টহল বাড়িয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে ।
র্যাব ঢাকার পাঁচটি ব্যাটালিয়নের ২০টি টহল টিম সার্বক্ষণিক রাস্তায় প্যাট্রোল চালাচ্ছে। মোহাম্মদপুর, বনশ্রী, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলাকারীদের হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।
ডিসেম্বর ২২ থেকে ডিএমপি কেন্দ্রীয় অভিযান শুরু করেছে; রাতে–দিনে বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপনের পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখা হচ্ছে ।
নাগরিক উদ্বেগ এবং পরামর্শ
বেসরকারি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশির ভাগ ভুক্তভোগী থানায় মামলা করেন না, যার ফলে অপরাধের প্রকৃত মাত্রা ধরা পড়ছে না ।
পুলিশ পরামর্শ দিয়েছে ব্যক্তিগত মূল্যবান সামগ্রী বহন থেকে দূরে থাকতে, অচেনা গলিতে একা চলাচল এড়িয়ে চলার এবং শঙ্কিত হলে ৯৯৯ নম্বরে জরুরি যোগাযোগ করার জন্য।
ঈদ, উৎসব বা ছুটির দিনে ফাঁকা সড়কে ছিনতাই বেড়ে যায়; সরকারি প্রশাসনকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে হবে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেছেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিজিটাল নজরদারি ও ড্রোন প্যাট্রোল চালালে ছিনতাই কমানো সম্ভব।” নগরবাসী আশা করছেন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে ঢাকা নিরাপদ হবে।
Leave a Reply