সারাক্ষণ রিপোর্ট
চার দিন ধরে চলা ক্ষিপ্র সামরিক সংঘাত শেষে ভারত‑পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানালেন, ‘অপারেশন সিন্দুর’‑এর অভিঘাত পাকিস্তান সেনা সদর দপ্তর—রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত পৌঁছেছে। নতুন ব্রহ্মোস ইন্টারগ্রেশন ও টেস্টিং স্থাপনার উদ্বোধন উপলক্ষে তিনি এই মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্যে ভারতীয় সেনার সাহস, সংযম ও কৌশলগত সংকল্প‑—সবই উঠে আসে।
রজনাথ সিংয়ের মূল বক্তব্য
· ভারতীয় সেনা সীমান্তবর্তী পোস্টেই থামেনি, রাওয়ালপিন্ডিতেও এ অভিযান প্রতিধ্বনি তুলেছে।
· ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুধু সামরিক অভিযান নয়; এটি ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক ও কৌশলগত ইচ্ছাশক্তির প্রতিচ্ছবি।
· সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে সীমান্ত পেরিয়েও জঙ্গি ও তাদের সমর্থকেরা নিরাপদ থাকবে না—এ বার্তা ভারত বাস্তবতার ভেতর দিয়ে জনিয়েছে।
ব্রহ্মোস স্থাপনার উদ্বোধন
· লখনউয়ের উত্তর প্রদেশ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর‑এ ৩০০ কোটি টাকার ব্রহ্মোস এয়ারোস্পেস ইন্টিগ্রেশন ও টেস্টিং ফ্যাসিলিটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন সিং।
· নতুন কেন্দ্রটিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের পাশাপাশি টেস্টিং, ইন্টিগ্রেশন ও অ্যারোস্পেস‑গ্রেড উপাদান তৈরির ব্যবস্থাও থাকবে।
· প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভাষায়, এটি আত্মনির্ভর ভারতের দিকে “মেজর লিপ” এবং আঞ্চলিক শিল্পসমৃদ্ধির জন্য কৌশলগত সহায়ক।
ভারত‑পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি
· ১১ মে‑র যুদ্ধবিরতির আগের দিন বিকেল ৩:৩৫‑এ (ভারতীয় সময়) পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় সমপদে ফোন করে; দু’পক্ষ ৫:০০‑টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের হামলা বন্ধে রাজি হয়।
· সংঘাতে পাকিস্তান প্রথম বড় ধাক্কা খায় ১০ মে ভোরে; ভারতীয় বায়ুসেনা আটটি সামরিক স্থাপনায় নিখুঁত অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মুখ্য ঘটনা
ভারতীয় হামলার ধরন
এয়ারবেস, রাডার ইউনিট, গোলাবারুদ ডিপো রফিকি, মুরিদ,চকলা, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, চুনিয়াঁ, পাসরুর, শিয়ালকোট এ বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত নির্ভুল অস্ত্র
· পাকিস্তান এর আগে জেট, সশস্ত্র ড্রোন (UCAV) ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সামরিক সুবিধা ও বেসামরিক এলাকায় হামলা চালায়, যার জবাবে ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু।
রাজনাথ সিং পরিষ্কার করে দিলেন যে, আত্মরক্ষামূলক হলেও ভারতের শক্তি সীমান্তের গণ্ডি ছাড়িয়ে কৌশলগত কারণে অনেক দূর পৌঁছাতে প্রস্তুত। ব্রহ্মোসের নতুন স্থাপনা সেই সক্ষমতা আরও বাড়াবে, আর যুদ্ধবিরতি সাময়িক বিরতি হলেও ‘অপারেশন সিন্দুর’‑এর বার্তা স্পষ্ট: জঙ্গি কিংবা তাদের মদতদাতাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় আর নেই।