সমকালের একটি শিরোনাম “আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা”
আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। রোহিঙ্গাদের এ বিদ্রোহ মিয়ানমারে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্পর্ককে ভয়াবহ ক্ষতি এবং প্রত্যাবাসন সম্ভাবনাও ক্ষীণ করবে। বাংলাদেশের উচিত রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ত্রাণ সহায়তা ও সীমান্ত বাণিজ্য জোরদার করা। একই সঙ্গে আশ্রয়শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব কমানো।
আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের তৈরি করা ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার: রোহিঙ্গা বিদ্রোহের ঝুঁকি’ শীর্ষক এশিয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিক প্রকাশের কথা রয়েছে।
প্রতিবেদনে ক্রাইসিস গ্রুপ জানায়, রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির বিজয়ের পর রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সক্রিয়। বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরগুলোতে বছরের পর বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী অন্তর্দ্বন্দ্বের পর এই গোষ্ঠীগুলো গত নভেম্বরে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। সমঝোতার পর রোহিঙ্গা শিবিরে সহিংসতার মাত্রা অনেকাংশে কমে গেছে। গোষ্ঠীগুলো সদস্য সংগ্রহও বাড়িয়েছে। কারণ, আরাকান আর্মি মূলত রাজ্যের বৌদ্ধদের সমর্থন পেয়ে আসছিল। ফলে রাখাইনে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের লড়াইয়ে নামানোর জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে।
ক্রাইসিস গ্রুপ বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা মিয়ানমারের পুরো সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে আরাকান আর্মি। ফলে বাংলাদেশ সরকার আরাকান আর্মির সঙ্গে পরীক্ষামূলক আলোচনা শুরু করেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলা শুধু এই আলোচনাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না; বরং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাবিরোধী মনোভাবও উস্কে দিতে পারে, যা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনাকে ব্যাহত করবে। বাংলাদেশের উচিত ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব কমানো এবং আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো। আরাকান আর্মিরও উচিত সব সম্প্রদায়ের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে তারা শাসন করতে পারবে, তা দেখানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু”
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে নয়টায় সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হালনাগাদকৃত তথ্যে বিষয়টি জানিয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৮ শনাক্ত হওয়ায় একদিনে পরীক্ষার বিপরীত আক্রান্তের হার ৬ শতাংশ। প্রায় দেড় বছর পর গত ৫ জুন দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করে। এরপর গত শুক্রবার দুই জন, রোববার একজন এবং গতকাল আরো দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ মারা যাওয়া দুইজন রোগী ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাসিন্দা। এদের একজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং অপরজন বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থার মারা গেছেন। তাদের একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং অপর জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “‘মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স’”
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানায় কর্মরত ওসি রাকিবুল ইসলাম একজন কর্তব্যনিষ্ঠ, দায়িত্বপরায়ণ, ন্যায়বান ও মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি ফরিদপুর থেকে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার অপারেশন অফিসার, পরে বরিশাল জেলার কোড ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৫ই আগস্টের পরে বদলি সূত্রে গোয়ালন্দঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। বদলি হয়ে আসার পর থেকে নানা ধরনের সামাজিক কাজের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছেন গোয়ালন্দবাসীর। এছাড়াও সন্ত্রাস ও মাদক কারবারীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া পুড়াভিটা ও যৌনপল্লিকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করার ব্রত নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এই পর্যন্ত তিনি ১৪৫টিরও উপরে মাদক মামলা থানায় করা করেছেন। ওই মামলায় প্রায় ১০৭ জনের উপরে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন। এছাড়া দুটি ঈদ, কোন রকমের চাঁদাবাজি ছিনতাই ছাড়া সুষ্ঠু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছেন তিনি। ৮টি হত্যা মামলার ৮টিই ডিটেক্ট করেছেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছেন ৮’টি। মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের নেতৃত্বে আমি সহ আমার প্রতিটি অফিসার ফোর্স ৫ই আগস্টের পর পুলিশের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই স্বীকৃতি আমার থানার প্রতিটি সদস্যের কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার ফল। আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে। মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা ধরে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবো।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশী ভয়ংকর হুমকির মুখে”
ইরানে বর্তমানে দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশী আছেন। সোমবার রাতে ইরানের রেডিও ভবনে হামলার সময় আটজন বাংলাদেশী ওখানে ছিলেন। একটি বাংলা বিভাগ আছে, সেই বিভাগে তারা কাজ করেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তেহরানে যারা আছেন তাদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ সংখ্যা ৪০০। আমাদের সঙ্গে ১০০ জন যোগাযোগ করেছেন, তাদের আমরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করছি। এরই মধ্যে ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিকসহ দূতাবাসের ৪০ জনকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল এসব কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী।
গতকাল ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিরাপত্তার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এ যুদ্ধ পরিস্থিতির ফলে ইরানে, বিশেষ করে তেহরানে বাংলাদেশী যারা আছেন, তারাসহ তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে যারা কর্মকর্তা এবং কর্মচারী আছেন পরিবারসহ তারা অত্যন্ত ভয়ংকর হুমকির মুখে পড়েছেন। ইরানে বর্তমানে দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশী আছেন। এদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশী ইরানি মেয়ে বিয়ে করে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তারা ওখানে বিভিন্ন স্থানে আছেন। আরেক ক্যাটাগরির বাংলাদেশী আছেন যারা সমুদ্র অঞ্চলে মাছ ধরাসহ ছোটখাটো কাজ করেন। তাদের মধ্যে আবার অনেকেরই বৈধ কাগজপত্র নেই। কিছু বাংলাদেশী ইরানের ডিটেনশন সেন্টারে আছেন। আর এর বাইরে কিছু বাংলাদেশী আছেন যারা গণমাধ্যম ও চিকিৎসাসেবা খাতের পেশাজীবী। গতকাল রাতে ইরানের রেডিও ভবনে হামলার সময় আটজন বাংলাদেশী ওখানে ছিলেন। আরো কিছু বাংলাদেশী আছেন যারা ট্রাভেল করছেন। কিছু ছাত্রছাত্রীও আছেন।
তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এ সংখ্যা ৪০০ বা এ রকম। তেহরানে কিছু বাংলাদেশী আছেন, যাদের এখন এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাদের আর আমাদের দূতাবাসে যারা কাজ করছেন, তাদের জন্যই আমরা এখন কাজ করছি, যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারেন। তেহরানে যারা বাংলাদেশীরা আছেন এবং আমাদের দূতাবাসে যারা কাজ করছেন, তাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তাদের নিরাপদে তেহরান থেকে দূরে কোথাও কিছু সময়ের জন্য রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
ইরান ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি দেশেও বাংলাদেশীরা আছেন উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ইরাকে আছেন, সিরিয়ায় খুব বেশি নেই। লেবাননে আর জর্ডানে আছেন। আমরা এ দূতাবাসগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি। খুশির বিষয় হলো এ দেশগুলো আক্রান্ত হওয়ার মতো কোনো সংবাদ আমাদের কাছে নেই।