০১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ওএমএস ও টিসিবি ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান

রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিয়োগ দাবি ক্যাবের

খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির কর্মসূচি (ওএমএস) এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ফ্যামিলি কার্ড ও ট্রাকসেল কার্যক্রমে নতুন ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও নগর কমিটি।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের ফলে সরকার ঘোষিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিগুলো বিভিন্ন এলাকায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

২৬ জুনের যৌথ বিবৃতি

২৬ জুন ২০২৫ তারিখে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন—

  • ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন
  • বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী
  • চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু
  • সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু
  • যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর
  • দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান
  • যুব ক্যাব বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ
  • মহানগর যুব ক্যাব সভাপতি আবু হানিফ নোমান
  • পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রামের সভাপতি কলামিস্ট মুসা খান
  • সদস্য সচিব আবু মোশারফ রাসেল
  • যুগ্ম সদস্য সচিব সাঈদুর রহমান মিন্টু

আগের ডিলাররা আত্মগোপনে, কার্যক্রম ভেঙে পড়ে

নেতৃবৃন্দ জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিগত সরকারের আমলে নিয়োগকৃত অনেক ওএমএস ও টিসিবি ডিলারই আত্মগোপনে চলে যান। এতে খাদ্যশস্য বিক্রির কার্যক্রম প্রায় সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে।

এই সংকটের মধ্যেই সাধারণ মানুষ বাজারে পণ্যের অস্বাভাবিক দাম এবং ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। সরকারের বিকল্প খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে এবং অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করে।

রাজনৈতিক নিয়োগই মূল প্রতিবন্ধক

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সরকারের সময় ওএমএস ও টিসিবি ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হয়। এর ফলে এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য—স্বল্প দামে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ—বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।

রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে নির্বাচিত ডিলাররা নিজেদের স্বার্থে ব্যস্ত থাকায় সরকারি লক্ষ্য বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখায়নি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোও কার্যকর তদারকির ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়।

নতুন সরকারের আমলেও পুরনো ধারা অব্যাহত?

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার পরিবর্তনের পরও পূর্বের মতো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই আগের তুলনায় ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব আরও বেশি দেখা যাচ্ছে।

তাদের আশঙ্কা, এই প্রক্রিয়া যদি বন্ধ না হয়, তাহলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিগুলো ধ্বংসের মুখে পড়বে এবং সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ভয়াবহ হুমকির মধ্যে পড়ে যাবে।

ক্যাবের সুপারিশ

ক্যাব নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—

  • ওএমএস ও টিসিবি ডিলার নিয়োগে দলীয় বিবেচনা বন্ধ করতে
  • তদারকি বাড়াতে
  • সত্যিকারের জনসেবায় আগ্রহী এবং নিরপেক্ষ প্রার্থীদের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবস্থা নিতে

তাদের মতে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেই কেবল সরকারের খাদ্যবান্ধব উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হতে পারবে এবং জনগণের আস্থাও ফিরে আসবে।

ওএমএস ও টিসিবি ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান

০৭:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিয়োগ দাবি ক্যাবের

খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির কর্মসূচি (ওএমএস) এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ফ্যামিলি কার্ড ও ট্রাকসেল কার্যক্রমে নতুন ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও নগর কমিটি।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের ফলে সরকার ঘোষিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিগুলো বিভিন্ন এলাকায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

২৬ জুনের যৌথ বিবৃতি

২৬ জুন ২০২৫ তারিখে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন—

  • ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন
  • বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী
  • চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু
  • সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু
  • যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর
  • দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান
  • যুব ক্যাব বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ
  • মহানগর যুব ক্যাব সভাপতি আবু হানিফ নোমান
  • পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রামের সভাপতি কলামিস্ট মুসা খান
  • সদস্য সচিব আবু মোশারফ রাসেল
  • যুগ্ম সদস্য সচিব সাঈদুর রহমান মিন্টু

আগের ডিলাররা আত্মগোপনে, কার্যক্রম ভেঙে পড়ে

নেতৃবৃন্দ জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিগত সরকারের আমলে নিয়োগকৃত অনেক ওএমএস ও টিসিবি ডিলারই আত্মগোপনে চলে যান। এতে খাদ্যশস্য বিক্রির কার্যক্রম প্রায় সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে।

এই সংকটের মধ্যেই সাধারণ মানুষ বাজারে পণ্যের অস্বাভাবিক দাম এবং ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। সরকারের বিকল্প খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে এবং অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করে।

রাজনৈতিক নিয়োগই মূল প্রতিবন্ধক

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সরকারের সময় ওএমএস ও টিসিবি ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হয়। এর ফলে এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য—স্বল্প দামে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ—বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।

রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে নির্বাচিত ডিলাররা নিজেদের স্বার্থে ব্যস্ত থাকায় সরকারি লক্ষ্য বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখায়নি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোও কার্যকর তদারকির ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়।

নতুন সরকারের আমলেও পুরনো ধারা অব্যাহত?

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার পরিবর্তনের পরও পূর্বের মতো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই আগের তুলনায় ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব আরও বেশি দেখা যাচ্ছে।

তাদের আশঙ্কা, এই প্রক্রিয়া যদি বন্ধ না হয়, তাহলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিগুলো ধ্বংসের মুখে পড়বে এবং সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ভয়াবহ হুমকির মধ্যে পড়ে যাবে।

ক্যাবের সুপারিশ

ক্যাব নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—

  • ওএমএস ও টিসিবি ডিলার নিয়োগে দলীয় বিবেচনা বন্ধ করতে
  • তদারকি বাড়াতে
  • সত্যিকারের জনসেবায় আগ্রহী এবং নিরপেক্ষ প্রার্থীদের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবস্থা নিতে

তাদের মতে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেই কেবল সরকারের খাদ্যবান্ধব উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হতে পারবে এবং জনগণের আস্থাও ফিরে আসবে।