০২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

আমদানি-রফতানি বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা

সমকালের একটি শিরোনাম “সিইসিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ নতুন তিন অভিযোগ”

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহসহ নতুন তিনটি অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ গত বুধবার আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যোগ করার আবেদন করে। শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার এটি মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

দিনের ভোট রাতে আয়োজনসহ প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকারবঞ্চিত করার অভিযোগে গত রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নূরুল হুদা চার ও কাজী হাবিবুল তিন দিনের রিমান্ডে আছেন। গত সোমবার উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে নূরুল হুদাকে পুলিশে দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী। আর বুধবার মগবাজার থেকে কাজী হাবিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জুলাই অভ্যুত্থান: নিজেদের মামলা তদন্তে ‘বেশি সতর্ক’ পুলিশ”

জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ৭৬১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির তালিকায় পুলিশের ১ হাজার ১৬৮ সদস্যও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশের কয়েকজন সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) থেকে শুরু করে কনস্টেবল পদের সদস্যরা রয়েছেন। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর কিংবা গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

দেড় হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হলেও এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৪২ জন। ঘটনার প্রায় ১১ মাস পরও কোনো মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। ফলে তদন্ত নিয়ে ধীরে চলার অভিযোগ করছেন কেউ কেউ। তবে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, এসব স্পর্শকাতর মামলা। পুলিশ সদস্যরা আসামি থাকায় তদন্ত করতে হবে নির্ভুল। কারণ, তাঁদের বেশির ভাগ বাহিনীতে কর্মরত থাকায় তাড়াহুড়োর তদন্তে ভুল হলে বাহিনীতে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে। তাই প্রশ্ন ও বিতর্কমুক্ত রাখতে মামলাগুলোর তদন্ত ধীরেসুস্থে করতে চান তাঁরা। একই কারণে কর্মরত সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ না পেলে গ্রেপ্তারও করা হবে না।

জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আটটি রেঞ্জেই অতিরিক্ত ডিআইজি (অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক) পর্যায়ের কর্মকর্তা দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা কাজ করছেন।

জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। একটি মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে দাখিল করা হয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “রেলের জমিতে মন্দির, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন”

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে তৈরি খিলক্ষেত সার্বজনীন দুর্গা মন্দির উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গতকাল দুপুরে রেলওয়ে কর্মকর্তা ও বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সরকারি জমিতে তৈরি মন্দির উচ্ছেদ প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। ভেকু দিয়ে প্রতিমা গুঁড়িয়ে দেয়া নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। যার ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর ধরে খিলক্ষেতের ওই জায়গায় সার্বজনীন দুর্গোৎসব পালিত হয়ে আসছে। দুর্গা পূজা ছাড়াও সেখানে ছোট্ট একটি অস্থায়ী মন্দিরে নিয়মিত কালী পূজা করা হতো। কিন্তু কখনোই মন্দিরটির পাকা স্থাপনা ছিল না। সম্প্রতি মন্দিরের চারপাশে টিন দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়। মূল মন্দিরটি পাকা করার জন্য ইটের গাঁথুনি দেয়া শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে একদল লোক রেলের জায়গায় তৈরি বলে মন্দিরে ভাঙচুর করতে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয় ও থানা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ওই রাতে সেখানে যাওয়া ব্যক্তিরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্দিরটি ভেঙে ফেলতে মন্দির কমিটিকে সময় বেঁধে দেন। তবে থানা পুলিশ উভয়পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে রেল পুলিশ, খিলক্ষেত থানা পুলিশ সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে বুলডোজার নিয়ে মন্দির উচ্ছেদে আসেন রেলওয়ের দুই কর্মকর্তা। উচ্ছেদ অভিযানের সময় সেখানে উপস্থিত শুভ রায় নামে এক স্থানীয় যুবক বলেন, বাংলাদেশের কতো এলাকায় যুগের পর যুগ ধরে রেলের শত শত একর জমি দখল করে বহুতল ভবন তৈরি করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাস করছে, সেখানে রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ চালায় না। আর এখানে কোনো নোটিশ ছাড়াই আমাদের এই ছোট্ট মন্দিরটি উচ্ছেদ করা হলো। আমাদের প্রতিমা সরিয়ে নেয়ার মতো সময় দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, রেলের জায়গাতে মন্দির ছিল। এতদিন টিনের বেড়া ছিল। সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষ পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, আমরা কয়েকদিন ধরে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার ওই রেলের জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখেছি।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “আমদানি-রফতানি বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা”

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে গত মে মাসে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কাজ বন্ধ রেখে শুরু করেন কলমবিরতি। চরমভাবে ব্যাহত হয় দেশের আমদানি কার্যক্রম। লাগাতার এ আন্দোলনে পিছু হটে সরকার। আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের আশ্বাসে স্থগিত হয় আন্দোলন। কিন্তু ঈদুল আজহার ছুটির পর এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ইস্যুতে ফের মাঠে নেমেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাজস্ব আহরণের কাজে নিয়োজিত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থাটির কর্মীদের আন্দোলনের কারণে দেশের অর্থনীতিতে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থার শঙ্কা।

দেশের অর্থনীতি এমনিতেই মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আহরণ না হওয়ায় ধার নিয়ে ব্যয় মেটাতে হচ্ছে সরকারকে। তার ওপর এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রভাবে বন্দর ও কাস্টমসে আমদানি-রফতানি বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে তারা পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান চান।

সরকারকে দ্রুত সংকট সমাধানের তাগিদ দিয়ে বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলীহুসাইন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শিল্পের কাঁচামালের একটি নিরবচ্ছিন্ন আমদানি চেইন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ থাকলে নতুনভাবে শুল্কায়ন বাধাগ্রস্ত হয়ে সময়মতো চালান খালাস করা সম্ভব হবে না, এতে খরচ বাড়বে এবং বাজারে সরবরাহ বিঘ্নিত হবে। এ পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই দ্রুত এ সংকটের সমাধান নিশ্চিত করার, যেন উৎপাদন ব্যবস্থাকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়া না হয়।

এনবিআর পৃথক্‌করণের জন্য গত ১৩ মে অধ্যাদেশ জারির পরদিন থেকে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ডাকে এনবিআর ভবনে আংশিক কলমবিরতি পালন করা হয়। এরপর থেকে তারা ধারাবাহিকভাবে এ কর্মসূচি চালিয়ে যান। এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে অপসারণসহ চার দাবিতে ২১ মে থেকে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে পৃথক্‌করণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের কথা জানানো হয়। পাশাপাশি জারি করা অধ্যাদেশে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার কথা বলা হয়। এ ঘোষণার পর সেদিনই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কাজ না করার লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয় ওই সময়। ফলে ঈদুল আজহার ছুটির পর আবারো আন্দোলনের কারণে এনবিআর অস্থির হয়ে ওঠে।

আমদানি-রফতানি বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা

১০:১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “সিইসিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ নতুন তিন অভিযোগ”

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহসহ নতুন তিনটি অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ গত বুধবার আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যোগ করার আবেদন করে। শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার এটি মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

দিনের ভোট রাতে আয়োজনসহ প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকারবঞ্চিত করার অভিযোগে গত রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নূরুল হুদা চার ও কাজী হাবিবুল তিন দিনের রিমান্ডে আছেন। গত সোমবার উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে নূরুল হুদাকে পুলিশে দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী। আর বুধবার মগবাজার থেকে কাজী হাবিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জুলাই অভ্যুত্থান: নিজেদের মামলা তদন্তে ‘বেশি সতর্ক’ পুলিশ”

জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ৭৬১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির তালিকায় পুলিশের ১ হাজার ১৬৮ সদস্যও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশের কয়েকজন সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) থেকে শুরু করে কনস্টেবল পদের সদস্যরা রয়েছেন। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর কিংবা গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

দেড় হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হলেও এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৪২ জন। ঘটনার প্রায় ১১ মাস পরও কোনো মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। ফলে তদন্ত নিয়ে ধীরে চলার অভিযোগ করছেন কেউ কেউ। তবে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, এসব স্পর্শকাতর মামলা। পুলিশ সদস্যরা আসামি থাকায় তদন্ত করতে হবে নির্ভুল। কারণ, তাঁদের বেশির ভাগ বাহিনীতে কর্মরত থাকায় তাড়াহুড়োর তদন্তে ভুল হলে বাহিনীতে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে। তাই প্রশ্ন ও বিতর্কমুক্ত রাখতে মামলাগুলোর তদন্ত ধীরেসুস্থে করতে চান তাঁরা। একই কারণে কর্মরত সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ না পেলে গ্রেপ্তারও করা হবে না।

জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আটটি রেঞ্জেই অতিরিক্ত ডিআইজি (অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক) পর্যায়ের কর্মকর্তা দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা কাজ করছেন।

জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। একটি মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে দাখিল করা হয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “রেলের জমিতে মন্দির, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন”

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে তৈরি খিলক্ষেত সার্বজনীন দুর্গা মন্দির উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গতকাল দুপুরে রেলওয়ে কর্মকর্তা ও বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সরকারি জমিতে তৈরি মন্দির উচ্ছেদ প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। ভেকু দিয়ে প্রতিমা গুঁড়িয়ে দেয়া নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। যার ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর ধরে খিলক্ষেতের ওই জায়গায় সার্বজনীন দুর্গোৎসব পালিত হয়ে আসছে। দুর্গা পূজা ছাড়াও সেখানে ছোট্ট একটি অস্থায়ী মন্দিরে নিয়মিত কালী পূজা করা হতো। কিন্তু কখনোই মন্দিরটির পাকা স্থাপনা ছিল না। সম্প্রতি মন্দিরের চারপাশে টিন দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়। মূল মন্দিরটি পাকা করার জন্য ইটের গাঁথুনি দেয়া শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে একদল লোক রেলের জায়গায় তৈরি বলে মন্দিরে ভাঙচুর করতে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয় ও থানা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ওই রাতে সেখানে যাওয়া ব্যক্তিরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্দিরটি ভেঙে ফেলতে মন্দির কমিটিকে সময় বেঁধে দেন। তবে থানা পুলিশ উভয়পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে রেল পুলিশ, খিলক্ষেত থানা পুলিশ সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে বুলডোজার নিয়ে মন্দির উচ্ছেদে আসেন রেলওয়ের দুই কর্মকর্তা। উচ্ছেদ অভিযানের সময় সেখানে উপস্থিত শুভ রায় নামে এক স্থানীয় যুবক বলেন, বাংলাদেশের কতো এলাকায় যুগের পর যুগ ধরে রেলের শত শত একর জমি দখল করে বহুতল ভবন তৈরি করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাস করছে, সেখানে রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ চালায় না। আর এখানে কোনো নোটিশ ছাড়াই আমাদের এই ছোট্ট মন্দিরটি উচ্ছেদ করা হলো। আমাদের প্রতিমা সরিয়ে নেয়ার মতো সময় দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, রেলের জায়গাতে মন্দির ছিল। এতদিন টিনের বেড়া ছিল। সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষ পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, আমরা কয়েকদিন ধরে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার ওই রেলের জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখেছি।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “আমদানি-রফতানি বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা”

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে গত মে মাসে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কাজ বন্ধ রেখে শুরু করেন কলমবিরতি। চরমভাবে ব্যাহত হয় দেশের আমদানি কার্যক্রম। লাগাতার এ আন্দোলনে পিছু হটে সরকার। আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের আশ্বাসে স্থগিত হয় আন্দোলন। কিন্তু ঈদুল আজহার ছুটির পর এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ইস্যুতে ফের মাঠে নেমেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাজস্ব আহরণের কাজে নিয়োজিত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থাটির কর্মীদের আন্দোলনের কারণে দেশের অর্থনীতিতে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থার শঙ্কা।

দেশের অর্থনীতি এমনিতেই মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আহরণ না হওয়ায় ধার নিয়ে ব্যয় মেটাতে হচ্ছে সরকারকে। তার ওপর এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রভাবে বন্দর ও কাস্টমসে আমদানি-রফতানি বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে তারা পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান চান।

সরকারকে দ্রুত সংকট সমাধানের তাগিদ দিয়ে বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলীহুসাইন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শিল্পের কাঁচামালের একটি নিরবচ্ছিন্ন আমদানি চেইন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ থাকলে নতুনভাবে শুল্কায়ন বাধাগ্রস্ত হয়ে সময়মতো চালান খালাস করা সম্ভব হবে না, এতে খরচ বাড়বে এবং বাজারে সরবরাহ বিঘ্নিত হবে। এ পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই দ্রুত এ সংকটের সমাধান নিশ্চিত করার, যেন উৎপাদন ব্যবস্থাকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়া না হয়।

এনবিআর পৃথক্‌করণের জন্য গত ১৩ মে অধ্যাদেশ জারির পরদিন থেকে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ডাকে এনবিআর ভবনে আংশিক কলমবিরতি পালন করা হয়। এরপর থেকে তারা ধারাবাহিকভাবে এ কর্মসূচি চালিয়ে যান। এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে অপসারণসহ চার দাবিতে ২১ মে থেকে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে পৃথক্‌করণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের কথা জানানো হয়। পাশাপাশি জারি করা অধ্যাদেশে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার কথা বলা হয়। এ ঘোষণার পর সেদিনই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কাজ না করার লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয় ওই সময়। ফলে ঈদুল আজহার ছুটির পর আবারো আন্দোলনের কারণে এনবিআর অস্থির হয়ে ওঠে।