০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

শুরু হচ্ছে সিসিমপুরের নতুন মৌসুম – সিজন-১৬, এবার নতুন বন্ধু আমিরা

  • Sarakhon Report
  • ০৪:১০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 41

নিজস্ব প্রতিবেদক 

শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুর। এবার নতুন মৌসুম সিজন-১৬ শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন এ মৌসুমে হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকু ও জুলিয়া হাজির হবে নতুন নতুন সব গল্প নিয়ে আর তাদের সঙ্গে এ সিজনে যুক্ত হবে নতুন আরেক বন্ধু আমিরা।

আমিরা চরিত্রটি সিসিমপুরে বিশেষ সংযোজন। সে একজন স্বভাবজাত নেতা ও তুমুল আত্মবিশ্বাসী একজন শিশু। বেশির ভাগ সময় সে ক্রাচে ভর দিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর অন্য সময় সে হুইলচেয়ার ব্যবহার করে।

ইউএসএআইডি বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত নতুন এ সিজনের স্লোগান ‘‌পনেরো শেষে ষোলো আসে, থাকব সবাই সবার পাশে’। সিজন-১৬-এর আনকোরা পর্বগুলো দেখা যাবে আরটিভি, দুরন্ত টেলিভিশন ও মাছরাঙা টেলিভিশনের পর্দায়।

সবাইকে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া- এই বিষয় দুটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে সিসিমপুরের ১৬তম মৌসুম। এছাড়া মজার মজার গল্পের মাধ্যমে প্রাক-গণিত, প্রাক-পঠন, অটিজম, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব, বিশ্লেষণী চিন্তা-ভাবনা, জেন্ডার বিষয়ক প্রচলিত সংস্কারকে জয় করা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবপ্রকাশের উপায়কে সম্মান দেখানোর মতো বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হবে।

থাকবে গণিত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান নিয়ে দারুণ সব এনিমেশন। আর শিশুদের নিয়ে লাইভ এ্যাকশন ফিল্ম। এছাড়া ‘ইকরির সাথে বর্ণ চেনা’ এবং ‘টুকটুকির সাথে সংখ্যা চেনা’র প্রতিটি পর্বে ইকরি একটি করে বর্ণ এবং টুকটুকি একটি করে সংখ্যা চেনাবে।

১৬তম সিজনের পর্বগুলো বর্ণনামূলক, ‘টুকটুকির বানিয়ে খেলি’ এবং ‘হালুমের তুমিও পারো’ এই তিন ধরনের ফরমেটে তৈরি। এবারের পর্বগুলোতে সিসিমপুরের বন্ধু হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সাথে নতুন বন্ধু জুলিয়া ছাড়াও অংশ নিয়েছে আমিরা । এছাড়া থাকছে প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক এবং আদিবাসী শিশুরাও। আর সিসিমপুরের নিয়মিত অন্যান্য চরিত্ররা তো থাকছেই। এই সিজনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কিছু পর্বে ব্যবহার করা হয়েছে ইশারা ভাষা।

সম্প্রতি সিসিমপুরের সিজন-১৬ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ ও ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেঙ্গল স্টুডিও মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নতুন সিজনের উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি/বাংলাদেশ-এর ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র‌্যান্ডি আলী, শিক্ষা অফিস পরিচালক সোনিয়া রেনল্ডস্ কুপার, এশিয়াটিকের কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের, বিটিভি’র পরিচালক জগদীশ এষ এবং ‘ইউএসএআইডি সিসিমপুর’ প্রজেক্টের চিফ অফ পার্টি মোহাম্মদ শাহ আলম-সহ অনেক গুণীজন। সঙ্গে ছিল সিসিমপুরের বন্ধু বাহাদুর, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম, জুলিয়া ও নতুন বন্ধু আমিরা।

ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ‘সিসিমপুর’ ২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে ‘প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়’।

ইউএসএআইডি থেকে কিছু ছবি ও মন্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করা হয় । সেখানে তারা লিখেছেন, ওয়ার্কশপ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অংশীদারদের সাথে যোগ দিতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। এই বছর, চরিত্রগুলির কাস্টে আমিরা যোগ দেবেন, একজন ৪ বছর বয়সী মাপেট মেয়ে যিনি একটি হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন, শোটির সমস্ত লোকের মধ্যে বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি প্রচারে ফোকাসের অংশ হিসাবে। ইউএসএআইডি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শোটি স্পনসর করতে পেরে গর্বিত এবং আমরা জড়িত আমাদের সকল অংশীদারদের ধন্যবাদ জানাই।

শুরু হচ্ছে সিসিমপুরের নতুন মৌসুম – সিজন-১৬, এবার নতুন বন্ধু আমিরা

০৪:১০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক 

শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুর। এবার নতুন মৌসুম সিজন-১৬ শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন এ মৌসুমে হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকু ও জুলিয়া হাজির হবে নতুন নতুন সব গল্প নিয়ে আর তাদের সঙ্গে এ সিজনে যুক্ত হবে নতুন আরেক বন্ধু আমিরা।

আমিরা চরিত্রটি সিসিমপুরে বিশেষ সংযোজন। সে একজন স্বভাবজাত নেতা ও তুমুল আত্মবিশ্বাসী একজন শিশু। বেশির ভাগ সময় সে ক্রাচে ভর দিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর অন্য সময় সে হুইলচেয়ার ব্যবহার করে।

ইউএসএআইডি বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত নতুন এ সিজনের স্লোগান ‘‌পনেরো শেষে ষোলো আসে, থাকব সবাই সবার পাশে’। সিজন-১৬-এর আনকোরা পর্বগুলো দেখা যাবে আরটিভি, দুরন্ত টেলিভিশন ও মাছরাঙা টেলিভিশনের পর্দায়।

সবাইকে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া- এই বিষয় দুটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে সিসিমপুরের ১৬তম মৌসুম। এছাড়া মজার মজার গল্পের মাধ্যমে প্রাক-গণিত, প্রাক-পঠন, অটিজম, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব, বিশ্লেষণী চিন্তা-ভাবনা, জেন্ডার বিষয়ক প্রচলিত সংস্কারকে জয় করা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবপ্রকাশের উপায়কে সম্মান দেখানোর মতো বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হবে।

থাকবে গণিত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান নিয়ে দারুণ সব এনিমেশন। আর শিশুদের নিয়ে লাইভ এ্যাকশন ফিল্ম। এছাড়া ‘ইকরির সাথে বর্ণ চেনা’ এবং ‘টুকটুকির সাথে সংখ্যা চেনা’র প্রতিটি পর্বে ইকরি একটি করে বর্ণ এবং টুকটুকি একটি করে সংখ্যা চেনাবে।

১৬তম সিজনের পর্বগুলো বর্ণনামূলক, ‘টুকটুকির বানিয়ে খেলি’ এবং ‘হালুমের তুমিও পারো’ এই তিন ধরনের ফরমেটে তৈরি। এবারের পর্বগুলোতে সিসিমপুরের বন্ধু হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সাথে নতুন বন্ধু জুলিয়া ছাড়াও অংশ নিয়েছে আমিরা । এছাড়া থাকছে প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক এবং আদিবাসী শিশুরাও। আর সিসিমপুরের নিয়মিত অন্যান্য চরিত্ররা তো থাকছেই। এই সিজনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কিছু পর্বে ব্যবহার করা হয়েছে ইশারা ভাষা।

সম্প্রতি সিসিমপুরের সিজন-১৬ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ ও ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেঙ্গল স্টুডিও মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নতুন সিজনের উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি/বাংলাদেশ-এর ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র‌্যান্ডি আলী, শিক্ষা অফিস পরিচালক সোনিয়া রেনল্ডস্ কুপার, এশিয়াটিকের কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের, বিটিভি’র পরিচালক জগদীশ এষ এবং ‘ইউএসএআইডি সিসিমপুর’ প্রজেক্টের চিফ অফ পার্টি মোহাম্মদ শাহ আলম-সহ অনেক গুণীজন। সঙ্গে ছিল সিসিমপুরের বন্ধু বাহাদুর, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম, জুলিয়া ও নতুন বন্ধু আমিরা।

ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ‘সিসিমপুর’ ২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে ‘প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়’।

ইউএসএআইডি থেকে কিছু ছবি ও মন্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করা হয় । সেখানে তারা লিখেছেন, ওয়ার্কশপ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অংশীদারদের সাথে যোগ দিতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। এই বছর, চরিত্রগুলির কাস্টে আমিরা যোগ দেবেন, একজন ৪ বছর বয়সী মাপেট মেয়ে যিনি একটি হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন, শোটির সমস্ত লোকের মধ্যে বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি প্রচারে ফোকাসের অংশ হিসাবে। ইউএসএআইডি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শোটি স্পনসর করতে পেরে গর্বিত এবং আমরা জড়িত আমাদের সকল অংশীদারদের ধন্যবাদ জানাই।