০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
সুর আর মজায় ভরপুর জাপানের নতুন অ্যানিমে ‘দ্য অবসেসড’ ডিজনিতে ফিরছেন বিটিএসের জিমিন ও জাংকুক, আসছে ‘আর ইউ শিওর?!’ সিজন–২ স্নেক সাও-স্কেলড ভিপার: এক ভয়ঙ্কর সাপের জীবন এবং বৈশিষ্ট্য টেইলর শেরিডান কীভাবে টেলিভিশনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হিট–কারখানায় পরিণত হলেন মোবাইলে ক্রোমে এআই মোড আরও সহজ করল গুগল রোলিং স্টোন স্পেশাল ও ডিজে স্নেকের গানে একদিনেই তিন ফ্রন্ট খুলল স্ট্রে কিডস হরর-কমেডি ‘মেকিং আ ব্রাইডসমেইড’ শেষ, এখন স্ট্রিমিং বিক্রির পথে কেক বানানোর কৌশল: ঘরে বসেই নিখুঁত বেকিংয়ের গাইড লস অ্যাঞ্জেলেসে গ্র্যান্ডে–এরিভোর চমক, ক্লাসিক ডুয়েটেই মাত করল হলিউড মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (অন্তিম পর্ব-৩৬৫)

সময় পেরিয়ে দুই প্রতিভার কথোপকথন

অবস্থান: একটি শান্ত ঘর, চারপাশে বই, পাণ্ডুলিপি, চিত্রকর্ম ও সাদাচকে আঁকা গণিতের সূত্র। জানালা দিয়ে আলো আসছে, ঘরে নিস্তব্ধতা।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি (হালকা দাড়িহাতে স্কেচ খাতা):
আলবার্ট, আমি অনেক বছর আগে একটি উড়ন্ত যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছিলাম। পাখিদের ওড়ার ধরন আমাকে খুবই অবাক করত। তাদের ডানার বাঁক, বাতাসে ওঠানামা সবই আমি খুঁটিয়ে লক্ষ্য করতাম।

আলবার্ট আইনস্টাইন (বিখ্যাত বিশৃঙ্খল চুলশান্ত মুখভঙ্গি):
অসাধারণ! তুমি প্রকৃতিকে দেখে শিখেছো, আর আমি সংখ্যার ভাষায় সেই প্রকৃতিকে বুঝেছি। তুমি মানুষকে আকাশে ওড়াতে চেয়েছিলে, আমি সময় ও মহাকর্ষ নিয়ে ভাবতাম।

লিওনার্দো (আগ্রহভরে):
তুমি বললে ‘মহাকর্ষ’ মানে আমরা যাকে বলি টান — সেটা আসলে একটা শক্তি নয়?

আইনস্টাইন (হাসি দিয়ে):
না, আমার মতে মহাকর্ষ হলো স্থান ও সময়ের বাঁক। যেমন একটি ভারী বস্তু একটি চাদরের ওপর রাখলে সেই চাদর ডেবে যায় — তেমনি বড় কোনো গ্রহ বা তারা আশপাশের স্থান-সময়কে বাঁকিয়ে দেয়। তাই জিনিসপত্র সেই বাঁকা পথে চলে।

লিওনার্দো (আশ্চর্য হয়ে):
মানে আকাশের তারা-গ্রহ কোনো নির্দিষ্ট গোল কাঠামোয় বাঁধা নয়? আমি তো ভেবেছিলাম সব কিছুই নিয়ম মেনে ঘোরে — ঈশ্বরের মত নিখুঁত।

আইনস্টাইন:
তুমি যেভাবে সৌন্দর্য দেখেছো প্রকৃতির মধ্যে, সেভাবেই আমি সংখ্যা ও সূত্রে সেই সৌন্দর্য খুঁজেছি। তুমি আকাশে ডানা মেলতে চেয়েছিলে, আমি আলোর গতি বুঝতে চেয়েছিলাম। আমরা একই পথে, শুধু ভিন্ন রকমের যাত্রায়।

লিওনার্দো (মুচকি হেসে):
তোমার কোনো ডানা ছিল না বটে, তবে তুমি কি জানো? আজ মানুষ সত্যিই আকাশ পেরিয়ে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে।

আইনস্টাইন (গর্বিত ভঙ্গিতে):
জানি। আমার গবেষণা আর অনেক বিজ্ঞানীর পরিশ্রম মিলিয়ে মানুষ চাঁদে গিয়েছে। তুমি থাকলে নিশ্চয়ই সেটি আঁকতে চাইতে।

লিওনার্দো:
অবশ্যই! ডানাওয়ালা মানুষ নয়, আমি হয়তো তখন মহাকাশচারীর চিত্র আঁকতাম।
[চোখে উজ্জ্বলতা]
তোমার এই সংখ্যার রহস্য দেখে এখন আমার মনে হচ্ছে আমি যদি তোমার গণিত জানতাম!

আইনস্টাইন (মৃদু হেসে):
আর আমি যদি তোমার মত রং-তুলি জানতাম, তাহলে আমি হয়তো স্থান-সময়কে ক্যানভাসে আঁকতাম।

লিওনার্দো (গম্ভীরভাবে):
তবে বলো তো, এত জানার মানে কী?

আইনস্টাইন (ধীর কণ্ঠে):
জানার মানে — বিস্ময় জাগানো। মানুষকে দেখানো যে তারা কতটা ছোট, আবার কতটা আশ্চর্যজনকও।

লিওনার্দো (শান্তভাবে মাথা নেড়ে):
বিস্ময়… হ্যাঁ, সেটা থাকলেই মানুষ নতুন কিছু জানতে চায়। সেটা হোক একটি পালকের গঠন, বা একটি সূত্রের ভেতরের রহস্য।

আইনস্টাইন:
ঠিক তাই। আমরা দুইজন দুই সময়ে জন্মেছি, কিন্তু একই স্বপ্ন দেখেছি—বিশ্বকে বোঝার।

লিওনার্দো:
সময় পেরিয়ে, দুই জ্ঞানের বন্ধু।

জনপ্রিয় সংবাদ

সুর আর মজায় ভরপুর জাপানের নতুন অ্যানিমে ‘দ্য অবসেসড’

সময় পেরিয়ে দুই প্রতিভার কথোপকথন

০৬:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

অবস্থান: একটি শান্ত ঘর, চারপাশে বই, পাণ্ডুলিপি, চিত্রকর্ম ও সাদাচকে আঁকা গণিতের সূত্র। জানালা দিয়ে আলো আসছে, ঘরে নিস্তব্ধতা।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি (হালকা দাড়িহাতে স্কেচ খাতা):
আলবার্ট, আমি অনেক বছর আগে একটি উড়ন্ত যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছিলাম। পাখিদের ওড়ার ধরন আমাকে খুবই অবাক করত। তাদের ডানার বাঁক, বাতাসে ওঠানামা সবই আমি খুঁটিয়ে লক্ষ্য করতাম।

আলবার্ট আইনস্টাইন (বিখ্যাত বিশৃঙ্খল চুলশান্ত মুখভঙ্গি):
অসাধারণ! তুমি প্রকৃতিকে দেখে শিখেছো, আর আমি সংখ্যার ভাষায় সেই প্রকৃতিকে বুঝেছি। তুমি মানুষকে আকাশে ওড়াতে চেয়েছিলে, আমি সময় ও মহাকর্ষ নিয়ে ভাবতাম।

লিওনার্দো (আগ্রহভরে):
তুমি বললে ‘মহাকর্ষ’ মানে আমরা যাকে বলি টান — সেটা আসলে একটা শক্তি নয়?

আইনস্টাইন (হাসি দিয়ে):
না, আমার মতে মহাকর্ষ হলো স্থান ও সময়ের বাঁক। যেমন একটি ভারী বস্তু একটি চাদরের ওপর রাখলে সেই চাদর ডেবে যায় — তেমনি বড় কোনো গ্রহ বা তারা আশপাশের স্থান-সময়কে বাঁকিয়ে দেয়। তাই জিনিসপত্র সেই বাঁকা পথে চলে।

লিওনার্দো (আশ্চর্য হয়ে):
মানে আকাশের তারা-গ্রহ কোনো নির্দিষ্ট গোল কাঠামোয় বাঁধা নয়? আমি তো ভেবেছিলাম সব কিছুই নিয়ম মেনে ঘোরে — ঈশ্বরের মত নিখুঁত।

আইনস্টাইন:
তুমি যেভাবে সৌন্দর্য দেখেছো প্রকৃতির মধ্যে, সেভাবেই আমি সংখ্যা ও সূত্রে সেই সৌন্দর্য খুঁজেছি। তুমি আকাশে ডানা মেলতে চেয়েছিলে, আমি আলোর গতি বুঝতে চেয়েছিলাম। আমরা একই পথে, শুধু ভিন্ন রকমের যাত্রায়।

লিওনার্দো (মুচকি হেসে):
তোমার কোনো ডানা ছিল না বটে, তবে তুমি কি জানো? আজ মানুষ সত্যিই আকাশ পেরিয়ে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে।

আইনস্টাইন (গর্বিত ভঙ্গিতে):
জানি। আমার গবেষণা আর অনেক বিজ্ঞানীর পরিশ্রম মিলিয়ে মানুষ চাঁদে গিয়েছে। তুমি থাকলে নিশ্চয়ই সেটি আঁকতে চাইতে।

লিওনার্দো:
অবশ্যই! ডানাওয়ালা মানুষ নয়, আমি হয়তো তখন মহাকাশচারীর চিত্র আঁকতাম।
[চোখে উজ্জ্বলতা]
তোমার এই সংখ্যার রহস্য দেখে এখন আমার মনে হচ্ছে আমি যদি তোমার গণিত জানতাম!

আইনস্টাইন (মৃদু হেসে):
আর আমি যদি তোমার মত রং-তুলি জানতাম, তাহলে আমি হয়তো স্থান-সময়কে ক্যানভাসে আঁকতাম।

লিওনার্দো (গম্ভীরভাবে):
তবে বলো তো, এত জানার মানে কী?

আইনস্টাইন (ধীর কণ্ঠে):
জানার মানে — বিস্ময় জাগানো। মানুষকে দেখানো যে তারা কতটা ছোট, আবার কতটা আশ্চর্যজনকও।

লিওনার্দো (শান্তভাবে মাথা নেড়ে):
বিস্ময়… হ্যাঁ, সেটা থাকলেই মানুষ নতুন কিছু জানতে চায়। সেটা হোক একটি পালকের গঠন, বা একটি সূত্রের ভেতরের রহস্য।

আইনস্টাইন:
ঠিক তাই। আমরা দুইজন দুই সময়ে জন্মেছি, কিন্তু একই স্বপ্ন দেখেছি—বিশ্বকে বোঝার।

লিওনার্দো:
সময় পেরিয়ে, দুই জ্ঞানের বন্ধু।