০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
সোনালি যুগের সাময়িকী পাকিস্তান আবার গাধা নিয়ে সংকটে পাকিস্তানি খেলোয়াড় নিখোঁজ রহস্য ও ক্রীড়া ব্যবস্থাপনার দুর্নীতি ট্রাম্পের যুগে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও বিভ্রান্ত—কীভাবে আমেরিকান কৌতুককারীরা হেরে যাচ্ছেন? পুরান ঢাকার শামবাজার: ইতিহাস, উত্থান-পতন ও বর্তমান অবস্থা রংপুরের গংগাচড়ায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, কী জানা যাচ্ছে “শান্তিচুক্তি, শুল্ক ও জিম্মিমুক্তি: ট্রাম্প কূটনীতির মুখপাত্র রুবিওর বার্তা” রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৭) মৃত্যুর মিছিল থামছেই না: সাভারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দম্পতি ব্ল্যাকপিংকের ‘জাম্প’ গানে বড় ধরনের হ্যাকিং, একাধিক প্ল্যাটফর্মে বিশৃঙ্খলা

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৭)

অষ্টম পরিচ্ছেদ
তাড়াহুড়ো করে ট্রাউজার্স’টা কোমরে টেনে তুলে টিউনিক পরতে শুরু করলুম। যত তাড়াতাড়ি পারি ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়াই ছিল আমার ইচ্ছে। কিন্তু টিউনিকের কলারের ভেতর দিয়ে মাথাটা গলাতেই দেখতে পেলুম গুলি-খেয়ে-মরা সেই লোকটা প্রায় আমার পায়ের কাছে এসে হাজির হয়েছে।
পাগলের মতো হাঁউমাউ করে চে’চিয়ে উঠে আমি সামনের দিকে কয়েক পা এগিয়ে এলুম, আর প্রায় জলে পড়ে যাবার উপক্রম করলুম। মরা লোকটিকে চিনতে পেরেছিলুম আমি। মৌমাছিপালকের রক্ষণাবেক্ষণে যে-আহত তিনজনকে আমরা পেছনে রেখে এসেছিলুম, ও ছিল তাদেরই একজন। ও আর কেউ নয়, ও ছিল আমাদের সেই বাচ্চা বেদে।
‘হেই, খোকা!’ পেছনে একটা চিৎকার শুনতে পেলুম। ‘ইদিক এস।’
তিন জন লোক সোজা আমার দিকে আসছিল। তাদের মধ্যে দু-জনের হাতে ছিল রাইফেল। আর তখন আমার পালানোর রাস্তা বন্ধ। সামনে ছিল ওই লোকগুলো, পেছনে নদী।
‘কে তুমি বটে?’ লম্বা, কালো দাড়িওয়ালা একটা লোক প্রশ্ন করল।
চুপ করে রইলুম। বুঝতে পারছিলুম না লোকগুলো কিসের, লাল ফৌজের,
না শ্বেতরক্ষী-দলের।
‘আমি তোমারে কচ্চি, শুনচ?’ আমার হাতটা চেপে ধরে এবার আরও রুক্ষভাবে লোকটা কথা বলল।
‘ওর সাথে কথা কয়ে লাভ কী,’ আরেক জন বলল। ‘ওরে বরং গেরামে লিয়ে চল। ওখেনে জেরা যা করবার ওরাই করবে’খন।’
দুটো ঘোড়ার গাড়ি সামনে এসে দাঁড়াল।

সোনালি যুগের সাময়িকী

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৭)

০৮:০০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
অষ্টম পরিচ্ছেদ
তাড়াহুড়ো করে ট্রাউজার্স’টা কোমরে টেনে তুলে টিউনিক পরতে শুরু করলুম। যত তাড়াতাড়ি পারি ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়াই ছিল আমার ইচ্ছে। কিন্তু টিউনিকের কলারের ভেতর দিয়ে মাথাটা গলাতেই দেখতে পেলুম গুলি-খেয়ে-মরা সেই লোকটা প্রায় আমার পায়ের কাছে এসে হাজির হয়েছে।
পাগলের মতো হাঁউমাউ করে চে’চিয়ে উঠে আমি সামনের দিকে কয়েক পা এগিয়ে এলুম, আর প্রায় জলে পড়ে যাবার উপক্রম করলুম। মরা লোকটিকে চিনতে পেরেছিলুম আমি। মৌমাছিপালকের রক্ষণাবেক্ষণে যে-আহত তিনজনকে আমরা পেছনে রেখে এসেছিলুম, ও ছিল তাদেরই একজন। ও আর কেউ নয়, ও ছিল আমাদের সেই বাচ্চা বেদে।
‘হেই, খোকা!’ পেছনে একটা চিৎকার শুনতে পেলুম। ‘ইদিক এস।’
তিন জন লোক সোজা আমার দিকে আসছিল। তাদের মধ্যে দু-জনের হাতে ছিল রাইফেল। আর তখন আমার পালানোর রাস্তা বন্ধ। সামনে ছিল ওই লোকগুলো, পেছনে নদী।
‘কে তুমি বটে?’ লম্বা, কালো দাড়িওয়ালা একটা লোক প্রশ্ন করল।
চুপ করে রইলুম। বুঝতে পারছিলুম না লোকগুলো কিসের, লাল ফৌজের,
না শ্বেতরক্ষী-দলের।
‘আমি তোমারে কচ্চি, শুনচ?’ আমার হাতটা চেপে ধরে এবার আরও রুক্ষভাবে লোকটা কথা বলল।
‘ওর সাথে কথা কয়ে লাভ কী,’ আরেক জন বলল। ‘ওরে বরং গেরামে লিয়ে চল। ওখেনে জেরা যা করবার ওরাই করবে’খন।’
দুটো ঘোড়ার গাড়ি সামনে এসে দাঁড়াল।