০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ ‘টাইটানিক’-এর নেপথ্যের গল্প: চলচ্চিত্র প্রযোজকের স্মৃতিচারণ অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের জেন জি এখন সুগন্ধি খুঁজছে আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৭)

অষ্টম পরিচ্ছেদ
তাড়াহুড়ো করে ট্রাউজার্স’টা কোমরে টেনে তুলে টিউনিক পরতে শুরু করলুম। যত তাড়াতাড়ি পারি ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়াই ছিল আমার ইচ্ছে। কিন্তু টিউনিকের কলারের ভেতর দিয়ে মাথাটা গলাতেই দেখতে পেলুম গুলি-খেয়ে-মরা সেই লোকটা প্রায় আমার পায়ের কাছে এসে হাজির হয়েছে।
পাগলের মতো হাঁউমাউ করে চে’চিয়ে উঠে আমি সামনের দিকে কয়েক পা এগিয়ে এলুম, আর প্রায় জলে পড়ে যাবার উপক্রম করলুম। মরা লোকটিকে চিনতে পেরেছিলুম আমি। মৌমাছিপালকের রক্ষণাবেক্ষণে যে-আহত তিনজনকে আমরা পেছনে রেখে এসেছিলুম, ও ছিল তাদেরই একজন। ও আর কেউ নয়, ও ছিল আমাদের সেই বাচ্চা বেদে।
‘হেই, খোকা!’ পেছনে একটা চিৎকার শুনতে পেলুম। ‘ইদিক এস।’
তিন জন লোক সোজা আমার দিকে আসছিল। তাদের মধ্যে দু-জনের হাতে ছিল রাইফেল। আর তখন আমার পালানোর রাস্তা বন্ধ। সামনে ছিল ওই লোকগুলো, পেছনে নদী।
‘কে তুমি বটে?’ লম্বা, কালো দাড়িওয়ালা একটা লোক প্রশ্ন করল।
চুপ করে রইলুম। বুঝতে পারছিলুম না লোকগুলো কিসের, লাল ফৌজের,
না শ্বেতরক্ষী-দলের।
‘আমি তোমারে কচ্চি, শুনচ?’ আমার হাতটা চেপে ধরে এবার আরও রুক্ষভাবে লোকটা কথা বলল।
‘ওর সাথে কথা কয়ে লাভ কী,’ আরেক জন বলল। ‘ওরে বরং গেরামে লিয়ে চল। ওখেনে জেরা যা করবার ওরাই করবে’খন।’
দুটো ঘোড়ার গাড়ি সামনে এসে দাঁড়াল।
জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৭)

০৮:০০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
অষ্টম পরিচ্ছেদ
তাড়াহুড়ো করে ট্রাউজার্স’টা কোমরে টেনে তুলে টিউনিক পরতে শুরু করলুম। যত তাড়াতাড়ি পারি ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়াই ছিল আমার ইচ্ছে। কিন্তু টিউনিকের কলারের ভেতর দিয়ে মাথাটা গলাতেই দেখতে পেলুম গুলি-খেয়ে-মরা সেই লোকটা প্রায় আমার পায়ের কাছে এসে হাজির হয়েছে।
পাগলের মতো হাঁউমাউ করে চে’চিয়ে উঠে আমি সামনের দিকে কয়েক পা এগিয়ে এলুম, আর প্রায় জলে পড়ে যাবার উপক্রম করলুম। মরা লোকটিকে চিনতে পেরেছিলুম আমি। মৌমাছিপালকের রক্ষণাবেক্ষণে যে-আহত তিনজনকে আমরা পেছনে রেখে এসেছিলুম, ও ছিল তাদেরই একজন। ও আর কেউ নয়, ও ছিল আমাদের সেই বাচ্চা বেদে।
‘হেই, খোকা!’ পেছনে একটা চিৎকার শুনতে পেলুম। ‘ইদিক এস।’
তিন জন লোক সোজা আমার দিকে আসছিল। তাদের মধ্যে দু-জনের হাতে ছিল রাইফেল। আর তখন আমার পালানোর রাস্তা বন্ধ। সামনে ছিল ওই লোকগুলো, পেছনে নদী।
‘কে তুমি বটে?’ লম্বা, কালো দাড়িওয়ালা একটা লোক প্রশ্ন করল।
চুপ করে রইলুম। বুঝতে পারছিলুম না লোকগুলো কিসের, লাল ফৌজের,
না শ্বেতরক্ষী-দলের।
‘আমি তোমারে কচ্চি, শুনচ?’ আমার হাতটা চেপে ধরে এবার আরও রুক্ষভাবে লোকটা কথা বলল।
‘ওর সাথে কথা কয়ে লাভ কী,’ আরেক জন বলল। ‘ওরে বরং গেরামে লিয়ে চল। ওখেনে জেরা যা করবার ওরাই করবে’খন।’
দুটো ঘোড়ার গাড়ি সামনে এসে দাঁড়াল।