১০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৭)

অষ্টম পরিচ্ছেদ
তাড়াহুড়ো করে ট্রাউজার্স’টা কোমরে টেনে তুলে টিউনিক পরতে শুরু করলুম। যত তাড়াতাড়ি পারি ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়াই ছিল আমার ইচ্ছে। কিন্তু টিউনিকের কলারের ভেতর দিয়ে মাথাটা গলাতেই দেখতে পেলুম গুলি-খেয়ে-মরা সেই লোকটা প্রায় আমার পায়ের কাছে এসে হাজির হয়েছে।
পাগলের মতো হাঁউমাউ করে চে’চিয়ে উঠে আমি সামনের দিকে কয়েক পা এগিয়ে এলুম, আর প্রায় জলে পড়ে যাবার উপক্রম করলুম। মরা লোকটিকে চিনতে পেরেছিলুম আমি। মৌমাছিপালকের রক্ষণাবেক্ষণে যে-আহত তিনজনকে আমরা পেছনে রেখে এসেছিলুম, ও ছিল তাদেরই একজন। ও আর কেউ নয়, ও ছিল আমাদের সেই বাচ্চা বেদে।
‘হেই, খোকা!’ পেছনে একটা চিৎকার শুনতে পেলুম। ‘ইদিক এস।’
তিন জন লোক সোজা আমার দিকে আসছিল। তাদের মধ্যে দু-জনের হাতে ছিল রাইফেল। আর তখন আমার পালানোর রাস্তা বন্ধ। সামনে ছিল ওই লোকগুলো, পেছনে নদী।
‘কে তুমি বটে?’ লম্বা, কালো দাড়িওয়ালা একটা লোক প্রশ্ন করল।
চুপ করে রইলুম। বুঝতে পারছিলুম না লোকগুলো কিসের, লাল ফৌজের,
না শ্বেতরক্ষী-দলের।
‘আমি তোমারে কচ্চি, শুনচ?’ আমার হাতটা চেপে ধরে এবার আরও রুক্ষভাবে লোকটা কথা বলল।
‘ওর সাথে কথা কয়ে লাভ কী,’ আরেক জন বলল। ‘ওরে বরং গেরামে লিয়ে চল। ওখেনে জেরা যা করবার ওরাই করবে’খন।’
দুটো ঘোড়ার গাড়ি সামনে এসে দাঁড়াল।
জনপ্রিয় সংবাদ

বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৭)

০৮:০০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
অষ্টম পরিচ্ছেদ
তাড়াহুড়ো করে ট্রাউজার্স’টা কোমরে টেনে তুলে টিউনিক পরতে শুরু করলুম। যত তাড়াতাড়ি পারি ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়াই ছিল আমার ইচ্ছে। কিন্তু টিউনিকের কলারের ভেতর দিয়ে মাথাটা গলাতেই দেখতে পেলুম গুলি-খেয়ে-মরা সেই লোকটা প্রায় আমার পায়ের কাছে এসে হাজির হয়েছে।
পাগলের মতো হাঁউমাউ করে চে’চিয়ে উঠে আমি সামনের দিকে কয়েক পা এগিয়ে এলুম, আর প্রায় জলে পড়ে যাবার উপক্রম করলুম। মরা লোকটিকে চিনতে পেরেছিলুম আমি। মৌমাছিপালকের রক্ষণাবেক্ষণে যে-আহত তিনজনকে আমরা পেছনে রেখে এসেছিলুম, ও ছিল তাদেরই একজন। ও আর কেউ নয়, ও ছিল আমাদের সেই বাচ্চা বেদে।
‘হেই, খোকা!’ পেছনে একটা চিৎকার শুনতে পেলুম। ‘ইদিক এস।’
তিন জন লোক সোজা আমার দিকে আসছিল। তাদের মধ্যে দু-জনের হাতে ছিল রাইফেল। আর তখন আমার পালানোর রাস্তা বন্ধ। সামনে ছিল ওই লোকগুলো, পেছনে নদী।
‘কে তুমি বটে?’ লম্বা, কালো দাড়িওয়ালা একটা লোক প্রশ্ন করল।
চুপ করে রইলুম। বুঝতে পারছিলুম না লোকগুলো কিসের, লাল ফৌজের,
না শ্বেতরক্ষী-দলের।
‘আমি তোমারে কচ্চি, শুনচ?’ আমার হাতটা চেপে ধরে এবার আরও রুক্ষভাবে লোকটা কথা বলল।
‘ওর সাথে কথা কয়ে লাভ কী,’ আরেক জন বলল। ‘ওরে বরং গেরামে লিয়ে চল। ওখেনে জেরা যা করবার ওরাই করবে’খন।’
দুটো ঘোড়ার গাড়ি সামনে এসে দাঁড়াল।