সিভিলিয়ানরা যখন চিঠির সঙ্গে ভেডও পাঠাতেন। অ্যামেচাররা সিভিলিয়ানদের অনেকে এচিং করে ছেপেছেন নিজ খরচে।
ঢাকার ব্রিটিশ চিত্রকর
ঢাকার পুরনো আমলের আলোকচিত্র বা শিল্পীদের আঁকা ছবির সংখ্যা খুবই কম, মুষ্টিমেয়, যা পাওয়া গেছে তার উৎস ব্রিটিশ লাইব্রেরি ও বাইরের দু’একটি সংগ্রহশালা। গত তিন দশকে ঢাকার চিত্রকলা নিয়ে অনুসন্ধান করে নতুন কিছু চিত্রকলার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এখানে তার কিছু উদাহরণ উল্লেখ করব। প্রথম খণ্ডে ডয়লি সম্পর্কে বিস্তারিত ও চিনারির সম্পর্কে খানিকটা উল্লেখ করেছি। আগে তাঁদের জীবন ও কর্ম নিয়ে যা বলা হয়েছে তার পুনরুল্লেখ করব না। তাঁদের চিত্রকর্মের ওপরই গুরুত্ব আরোপ করব।
ইংরেজি লিবারেল শিক্ষার মধ্যে অংকন উনিশ শতকে একটি স্থান করে নিয়েছিল। অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগ থেকে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং স্কুল বা বাসায় শিক্ষক রেখে ড্রইং চর্চা শুরু হয়। উনিশ শতকে জলরং, ছাপচিত্র জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৮৮৮ সালে ভিক্টোরিয়া অ্যালবার্ট মিউজিয়াম ও ন্যাশনাল আর্ট লাইব্রেয়িত খ তালিকায় দেখা যায়, ১৭৫০ সাল পর্যন্ত ২ শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রকাশিত বইয়ের সাদ পাঁচশোরও বেশি।

মগবাজারে সড়কের পাশে মসজিদ, চার্লস ডয়লি, লিখো,০১.০৫.১৮২৭ , অ্যান্টিকুইটিজ অব ঢাকা
সিভিলিয়ান হয়ে যারা ভারতে আসতেন, ত শিল্পচর্চার এ ধরনের প্রাথমিক একটি পচাম থাকত। এর মধ্যে আদিসকম্ব থেকে সাময়িং প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্যাডেট হিসেবে যারা চাকুরিতে যেতে দিতেন, তাদের ড্রইংয়ের ব্যাপারটা জানতে যন্ত্রে এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো, যেমন, কোন অঞ্চলে গেলে দুর্গ, সাঁকো, বিভিন্ন স্থাপনার যতে ড্রইং করতে পারে সে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল।
এ সময় ‘পিকচারেস্ক’ ছবির প্রতি সাধরার আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। ফলে সিভিলিয়ান শুধু না পেশাদার শিল্পীরাও এ ধরনের ছবি এঁকেন্দ্রে। ১৮৫৭ সালের পর ঐ সময়কার ঘটনাবলির ও৭আঁকা ছবির চাহিদা বেড়ে যায়। তিনি যে জায়গায় আছেন, সে জায়গা সম্পর্কে ইংল্যান্ড থেকে অন্যে জানতে চাইতেন। সিভিলিয়ানরা যখন চিঠির সঙ্গে ভেডও পাঠাতেন। অ্যামেচাররা সিভিলিয়ানদের অনেকে এচিং করে ছেপেছেন নিজ খরচে।
ডালিতো পাটনায় লিথোগ্রাফ প্রেসও বসিয়েছিলেন। তাদের প্রকাশিত গ্রন্থে স্কেচ সন্নিবেশিত করেছেন। এগুলি আমাদের সামাজিক ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে বিবেচিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘পিকচারেস্ক’ আন্দোলন সম্পর্কে কিছু বলতে হয়। ইংল্যান্ডে এই পদ্ধতিতে ছবি আঁকা অষ্টাদশ ও উনিশ শতকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই আন্দোলনের নির্যাস যা দেখা তাই বিবৃত করা, পিকচারেস্ক ছবিতে রোমান্টিক বিষয় হিসেবে মানুষ যেমন আসতে পারে, তেমনি প্রত্নসম্পদও। তবে নিসর্গের প্রতি তাঁদের উৎসাহ ছিল বেশি।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















