১০:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
২০২৬ সাল থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন ও স্মার্টওয়াচ ব্যবহার নিষিদ্ধ তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: সালাহউদ্দিন চীনের হাতে বৈশ্বিক ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের নিয়ন্ত্রণ সিঙ্গাপুরের সাহিত্যকে এগিয়ে নিতে নিজের সম্পদ ঝুঁকিতে ফেলছেন এডমন্ড উই মৃত্যুহীন প্রসবের লক্ষ্য: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাফল্য প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩২) আমেরিকায় খাদ্যপরামর্শে ফেরত আসছে পুরোনো ‘ফুড পিরামিড’ বিতর্ক সিঙ্গাপুর বায়েনাল ২০২৫: শহরটাই হয়ে ওঠে খোলা একটি আর্ট গ্যালারি হিজাব পরা রেসলিং তারকা নূর ‘ফিনিক্স’ ডায়ানার আগুন থেকে উঠে দাঁড়ানোর গল্প পাকিস্তান আইডলে টপ–১৬–এ রোমাইসা তারিক: “এই শো আমার জীবন পুরো বদলে দিয়েছে”

মার্কিন শুল্ক বাড়ায় বিপর্যয়ের মুখে ভারতের রপ্তানি

যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে

.শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে রুপি ও শেয়ারবাজারে পতন

.রপ্তানিকারকরা সহায়তা চাইছেন, মার্কিন অর্ডার কমছে

.দুই দেশ সম্পর্ক জোরদার রাখার আশ্বাস দিচ্ছে কর্মকর্তারা

শুল্ক বৃদ্ধির আঘাত
মুম্বাই/নয়াদিল্লি, ২৬ আগস্ট: ভারতের রপ্তানিকারকরা বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের কারণে বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। বাণিজ্য আলোচনায় ব্যর্থতার পর ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে, ভারতীয় পণ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। এর মূল কারণ ভারত যে ক্রমশ বেশি রাশিয়ার তেল কিনছে, সেটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষ।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কের ফলে এ হার দ্বিগুণ হয়েছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ভারতের উদ্বেগ
একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্ক আরোপে কোনো ছাড় দেবে না বা বিলম্ব করবে, এমন কোনো আশার জায়গা নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং চীন, লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করা হবে।

নতুন শুল্ক বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে (ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে) কার্যকর হবে। তবে চলমান পরিবহন, মানবিক সহায়তা ও পারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তির আওতাভুক্ত পণ্য ছাড় পাবে।

বাজারে প্রভাব
ঘোষণার পর ভারতীয় রুপি তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৮৭.৬৮-এ নেমে আসে। শেয়ারবাজারের সূচক নিফটি ও সেনসেক্স দুটোই ১ শতাংশ কমে তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতনের মুখে পড়ে।

গত পাঁচ দফা আলোচনায় সমঝোতা না হওয়ার পর এ শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন শুল্ক সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত ও ভুল বার্তার কারণে আলোচনায় ভাঙন ঘটে।

রাশিয়ার তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ
হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পিটার নাভারো ও অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি বাড়িয়ে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে। বর্তমানে ভারতের মোট তেল আমদানির ৪২ শতাংশই রাশিয়া থেকে আসে, যা যুদ্ধের আগে ছিল ১ শতাংশেরও কম।

এই অচলাবস্থা দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তবে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে তারা আগ্রহী। এছাড়া কোয়াড জোটের প্রতিশ্রুতিও তারা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

রপ্তানিকারকদের সংকট
রপ্তানিকারক সংগঠনগুলোর হিসাবে, ভারতের মোট ৮৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির প্রায় ৫৫ শতাংশই শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশ, চীন ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো লাভবান হতে পারে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্টস প্রোমোশন কাউন্সিলের সভাপতি পঙ্কজ চাড্ডা বলেন, মার্কিন ক্রেতারা ইতিমধ্যেই নতুন অর্ডার বন্ধ করেছে। অতিরিক্ত শুল্কের ফলে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। সরকার ঋণে ভর্তুকি বাড়ানো এবং বাজার বৈচিত্র্যে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে, তবে অন্য বাজারে বিক্রি বা দেশীয় বাজারে বিক্রির সুযোগ খুব সীমিত।

ভারত প্রায় ৫০টি দেশে নতুনভাবে রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, বিশেষ করে টেক্সটাইল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, চামড়াজাত পণ্য ও সামুদ্রিক পণ্য। তবে হীরা শিল্প ইতিমধ্যেই চীনের চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। নতুন শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকেও তাদের বঞ্চিত করতে পারে, যেখানে বছরে প্রায় ২৮.৫ বিলিয়ন ডলারের গয়না ও রত্ন রপ্তানি হয়।

অর্থনীতিতে বিস্তৃত প্রভাব
বেসরকারি বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, ৫০ শতাংশ শুল্ক ভারতের অর্থনীতি ও করপোরেট মুনাফায় বড় আঘাত হানতে পারে। এমনকি প্রস্তাবিত দেশীয় করছাড় থাকলেও এ প্রভাব কাটবে না। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকস বলেছে, পূর্ণ শুল্ক কার্যকর হলে এ বছর ও আগামী বছর ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি থেকে ০.৮ শতাংশ কেটে নিতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, রাশিয়ার তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ দ্বৈত মানসিকতা তৈরি করছে, কারণ চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বড় ক্রেতাদের ক্ষেত্রে একই কঠোরতা দেখা যাচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে, তারা ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা ও প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং জ্বালানি পণ্য রপ্তানিতেও সহযোগিতা বাড়াতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারতীয় কৃষকদের স্বার্থে তিনি কোনো আপস করবেন না, তা যতই মূল্যবান হোক না কেন। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘ সাত বছর পর এ মাসের শেষে চীন সফরে যাচ্ছেন, যা এ সংকটের কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটকে আরও জটিল করে তুলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৬ সাল থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন ও স্মার্টওয়াচ ব্যবহার নিষিদ্ধ

মার্কিন শুল্ক বাড়ায় বিপর্যয়ের মুখে ভারতের রপ্তানি

০১:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে

.শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে রুপি ও শেয়ারবাজারে পতন

.রপ্তানিকারকরা সহায়তা চাইছেন, মার্কিন অর্ডার কমছে

.দুই দেশ সম্পর্ক জোরদার রাখার আশ্বাস দিচ্ছে কর্মকর্তারা

শুল্ক বৃদ্ধির আঘাত
মুম্বাই/নয়াদিল্লি, ২৬ আগস্ট: ভারতের রপ্তানিকারকরা বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের কারণে বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। বাণিজ্য আলোচনায় ব্যর্থতার পর ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে, ভারতীয় পণ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। এর মূল কারণ ভারত যে ক্রমশ বেশি রাশিয়ার তেল কিনছে, সেটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষ।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কের ফলে এ হার দ্বিগুণ হয়েছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ভারতের উদ্বেগ
একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্ক আরোপে কোনো ছাড় দেবে না বা বিলম্ব করবে, এমন কোনো আশার জায়গা নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং চীন, লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করা হবে।

নতুন শুল্ক বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে (ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে) কার্যকর হবে। তবে চলমান পরিবহন, মানবিক সহায়তা ও পারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তির আওতাভুক্ত পণ্য ছাড় পাবে।

বাজারে প্রভাব
ঘোষণার পর ভারতীয় রুপি তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৮৭.৬৮-এ নেমে আসে। শেয়ারবাজারের সূচক নিফটি ও সেনসেক্স দুটোই ১ শতাংশ কমে তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতনের মুখে পড়ে।

গত পাঁচ দফা আলোচনায় সমঝোতা না হওয়ার পর এ শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন শুল্ক সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত ও ভুল বার্তার কারণে আলোচনায় ভাঙন ঘটে।

রাশিয়ার তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ
হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পিটার নাভারো ও অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি বাড়িয়ে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে। বর্তমানে ভারতের মোট তেল আমদানির ৪২ শতাংশই রাশিয়া থেকে আসে, যা যুদ্ধের আগে ছিল ১ শতাংশেরও কম।

এই অচলাবস্থা দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তবে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে তারা আগ্রহী। এছাড়া কোয়াড জোটের প্রতিশ্রুতিও তারা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

রপ্তানিকারকদের সংকট
রপ্তানিকারক সংগঠনগুলোর হিসাবে, ভারতের মোট ৮৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির প্রায় ৫৫ শতাংশই শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশ, চীন ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো লাভবান হতে পারে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্টস প্রোমোশন কাউন্সিলের সভাপতি পঙ্কজ চাড্ডা বলেন, মার্কিন ক্রেতারা ইতিমধ্যেই নতুন অর্ডার বন্ধ করেছে। অতিরিক্ত শুল্কের ফলে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। সরকার ঋণে ভর্তুকি বাড়ানো এবং বাজার বৈচিত্র্যে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে, তবে অন্য বাজারে বিক্রি বা দেশীয় বাজারে বিক্রির সুযোগ খুব সীমিত।

ভারত প্রায় ৫০টি দেশে নতুনভাবে রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, বিশেষ করে টেক্সটাইল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, চামড়াজাত পণ্য ও সামুদ্রিক পণ্য। তবে হীরা শিল্প ইতিমধ্যেই চীনের চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। নতুন শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকেও তাদের বঞ্চিত করতে পারে, যেখানে বছরে প্রায় ২৮.৫ বিলিয়ন ডলারের গয়না ও রত্ন রপ্তানি হয়।

অর্থনীতিতে বিস্তৃত প্রভাব
বেসরকারি বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, ৫০ শতাংশ শুল্ক ভারতের অর্থনীতি ও করপোরেট মুনাফায় বড় আঘাত হানতে পারে। এমনকি প্রস্তাবিত দেশীয় করছাড় থাকলেও এ প্রভাব কাটবে না। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকস বলেছে, পূর্ণ শুল্ক কার্যকর হলে এ বছর ও আগামী বছর ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি থেকে ০.৮ শতাংশ কেটে নিতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, রাশিয়ার তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ দ্বৈত মানসিকতা তৈরি করছে, কারণ চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বড় ক্রেতাদের ক্ষেত্রে একই কঠোরতা দেখা যাচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে, তারা ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা ও প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং জ্বালানি পণ্য রপ্তানিতেও সহযোগিতা বাড়াতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারতীয় কৃষকদের স্বার্থে তিনি কোনো আপস করবেন না, তা যতই মূল্যবান হোক না কেন। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘ সাত বছর পর এ মাসের শেষে চীন সফরে যাচ্ছেন, যা এ সংকটের কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটকে আরও জটিল করে তুলছে।