০৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
মানবাধিকার সংগঠনের সতর্কবার্তা: বাংলাদেশে সংকুচিত হচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিসর শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি, দাবি না মানলে লং মার্চের ঘোষণা গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই অন্তত ১০টি বসতঘর দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে উত্তপ্ত বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা আইসিসিআরের দিগন্ত সিরিজে সংগীতের সন্ধ্যা কলকাতায় বাংলাদেশের সঙ্গে শুল্ক কমাতে বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করল জাপান চব্বিশ সেকেন্ডে উনত্রিশ গুলি, আত্মরক্ষার দাবি ঘিরে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে মার্কোস জুনিয়র ২০২৫ সালে কোনোমতে টিকে ছিলেন। ২০২৬ সালে কি তিনি পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে পাবেন? ছুটির মৌসুমে ছাঁটাইয়ের শঙ্কা বাড়ছে, প্রস্তুত থাকাই এখন সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা রেনোয়ারের রেখার উৎসব: মর্গান লাইব্রেরিতে কাগজে ধরা এক শতকের শিল্পযাত্রা

আফ্রিকার বাগানে ভায়োলেটের গান

ভায়োলেট-ব্যাকড স্টারলিং (Cinnyricinclus leucogaster) আফ্রিকার এক ঝলমলে ছোট গানের পাখি, যার উজ্জ্বল বেগুনি পালক ও সুরেলা কণ্ঠ পাখি-পার্শ্বপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। এই আর্টিকেলে আমরা পাখিটির শারীরিক বৈশিষ্ট্য, বিস্তার, আচরণ ও সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ সহজ ভাষায় সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করেছি।

পুরুষ ভায়োলেট-ব্যাকড স্টারলিং তার ঝলমলে বেগুনি ডানা ও সবল সাদা বুকের জন্য চিহ্নিত; স্ত্রী তুলনামূলকভাবে কম রঙিন ও বাদামি ছোপযুক্ত। ছোট আকৃতির হলেও এদের রঙ ও কণ্ঠদ্বারা সহজেই চিহ্নিত করা যায়।

দৈর্ঘ্য সাধারণত ১৭–২০ সেমি। পুরুষের পালক সূর্যের আলোয় প্রবল দীপ্তি দেখায়; শারীরিক গঠন পোকামাকড় ধরতে ও ফল খেতে উপযোগী—ধারণক্ষম ঠোঁট ও তীক্ষ্ণ নখ থাকে।

ভায়োলেট-ব্যাকড স্টারলিং প্রযুক্তিগতভাবে সাহারা-দক্ষিণ আফ্রিকার সাভানা, ঝোপঝাড় ও খোলা বনের এলাকায় দেখা যায়। এটিকে কৃষিজমি ও শহরপাড়া-পরিবেশেও মানিয়ে নিতে দেখা যায়, ফলে বিস্তৃত অভিযোজন ক্ষমতা আছে।

ফলমূল, বেরি এবং পোকামাকড় এদের খাদ্যের মূল অংশ; ফল খেয়ে বীজ ছড়ানোয়ও ভূমিকা রাখে। সামাজিকভাবে ছোট দলবদ্ধ চলাচল করে, মৌসুমে পুরুষরা গান করে স্ত্রীকে আকর্ষণ করে।

এরা বীজ ছড়ানো ও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে—অর্থাৎ বন ও কৃষিভূমির স্বাস্থ্য রক্ষায় অবদান রেখে থাকে। পাখিটির উপস্থিতি স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের সুস্থতার সূচকও বলা যায়।

বর্তমানে IUCN তালিকায় ঝুঁকিমুক্ত নয়-হলেও (Least Concern) বনউজাড়, আবাসস্থল সংকোচন ও জলবায়ুর বদল এদের ভবিষ্যৎ সংকুচিত করতে পারে। স্থানীয় প্রকৃতির অবনতি হলে সংখ্যাও কমতে পারে—সেজন্য নজর জরুরি।

যদিও ভায়োলেট-ব্যাকড স্টারলিং আফ্রিকার প্রজাতি, এর জীবনধারা আমাদের দেশীয় ময়না, শালিকসহ স্টারলিং প্রজাতির সংরক্ষণে দৃষ্টান্ত দেয়। স্থানীয় বন-জমি রক্ষা, ফলদ বৃক্ষ সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উৎসাহিত করলে দেশের পাখি বৈচিত্র্যও টিকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবাধিকার সংগঠনের সতর্কবার্তা: বাংলাদেশে সংকুচিত হচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিসর

আফ্রিকার বাগানে ভায়োলেটের গান

১২:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভায়োলেট-ব্যাকড স্টারলিং (Cinnyricinclus leucogaster) আফ্রিকার এক ঝলমলে ছোট গানের পাখি, যার উজ্জ্বল বেগুনি পালক ও সুরেলা কণ্ঠ পাখি-পার্শ্বপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। এই আর্টিকেলে আমরা পাখিটির শারীরিক বৈশিষ্ট্য, বিস্তার, আচরণ ও সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ সহজ ভাষায় সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করেছি।

পুরুষ ভায়োলেট-ব্যাকড স্টারলিং তার ঝলমলে বেগুনি ডানা ও সবল সাদা বুকের জন্য চিহ্নিত; স্ত্রী তুলনামূলকভাবে কম রঙিন ও বাদামি ছোপযুক্ত। ছোট আকৃতির হলেও এদের রঙ ও কণ্ঠদ্বারা সহজেই চিহ্নিত করা যায়।

দৈর্ঘ্য সাধারণত ১৭–২০ সেমি। পুরুষের পালক সূর্যের আলোয় প্রবল দীপ্তি দেখায়; শারীরিক গঠন পোকামাকড় ধরতে ও ফল খেতে উপযোগী—ধারণক্ষম ঠোঁট ও তীক্ষ্ণ নখ থাকে।

ভায়োলেট-ব্যাকড স্টারলিং প্রযুক্তিগতভাবে সাহারা-দক্ষিণ আফ্রিকার সাভানা, ঝোপঝাড় ও খোলা বনের এলাকায় দেখা যায়। এটিকে কৃষিজমি ও শহরপাড়া-পরিবেশেও মানিয়ে নিতে দেখা যায়, ফলে বিস্তৃত অভিযোজন ক্ষমতা আছে।

ফলমূল, বেরি এবং পোকামাকড় এদের খাদ্যের মূল অংশ; ফল খেয়ে বীজ ছড়ানোয়ও ভূমিকা রাখে। সামাজিকভাবে ছোট দলবদ্ধ চলাচল করে, মৌসুমে পুরুষরা গান করে স্ত্রীকে আকর্ষণ করে।

এরা বীজ ছড়ানো ও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে—অর্থাৎ বন ও কৃষিভূমির স্বাস্থ্য রক্ষায় অবদান রেখে থাকে। পাখিটির উপস্থিতি স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের সুস্থতার সূচকও বলা যায়।

বর্তমানে IUCN তালিকায় ঝুঁকিমুক্ত নয়-হলেও (Least Concern) বনউজাড়, আবাসস্থল সংকোচন ও জলবায়ুর বদল এদের ভবিষ্যৎ সংকুচিত করতে পারে। স্থানীয় প্রকৃতির অবনতি হলে সংখ্যাও কমতে পারে—সেজন্য নজর জরুরি।

যদিও ভায়োলেট-ব্যাকড স্টারলিং আফ্রিকার প্রজাতি, এর জীবনধারা আমাদের দেশীয় ময়না, শালিকসহ স্টারলিং প্রজাতির সংরক্ষণে দৃষ্টান্ত দেয়। স্থানীয় বন-জমি রক্ষা, ফলদ বৃক্ষ সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উৎসাহিত করলে দেশের পাখি বৈচিত্র্যও টিকবে।