০৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জলবায়ু সংকট কি আরেকটি আর্থিক টাইম বোমা? কক্সবাজারে ‘ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপ্ত মোহনলালের জীবন ও কাজ ভোলা নদী: ভোলা জেলার জীবনরেখা ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার: দাদাসাহেব ফালকে সম্মান পাচ্ছেন মোহনলাল আফ্রিকার দ্রুত বর্ধনশীল ভোক্তা বাজারে সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোর আগ্রহ প্রাবোওয়ের প্রণোদনা কর্মসূচি জনরোষ সামলাবে, তবে স্থায়ী সমাধান নয় জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক: বাণিজ্য ও ভিসা ইস্যুতে টানাপোড়েনের মাঝেই আলোচনা রেল সংকট, নতুন টাস্কফোর্স এবং আগেভাগেই সমাধানের প্রশ্ন সংযুক্ত আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসার যোগ্যতা যাচাই করুন দুই মিনিটে

শারজাহ ফোরামে গবেষকের অভিজ্ঞতা: চার স্ত্রী ও একশরও বেশি সন্তানের গল্প

ব্যক্তিগত প্রকাশ্যে আলোড়ন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গবেষক সাঈদ মুসবাহ আল কেতবি শারজাহ ইন্টারন্যাশনাল ন্যারেটর ফোরামে এক চমকপ্রদ ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করেন। তিনি জানান, তাঁর চার স্ত্রী রয়েছে এবং একশরও বেশি সন্তান আছে। এই ঘোষণাই উপস্থিত দর্শক ও অনলাইনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।

সন্তানদের জন্য বিশেষ শিক্ষা

শারজাহ ইনস্টিটিউট ফর হেরিটেজে আয়োজিত এই বার্ষিক ফোরামে আল কেতবি বলেন, তিনি তাঁর সন্তানদের মধ্যে আল সানআ নামে পরিচিত এমিরাতি মূল্যবোধ ও শিষ্টাচারের ঐতিহ্য রোপণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর ভাষায়, “আমি সর্বদা নিশ্চিত করি যে তারা সম্মান, পারিবারিক দায়িত্ব এবং পূর্বপুরুষদের রীতি শিখে।”

অনলাইনে আলোচনার ঝড়

আল কেতবির বক্তব্যের একটি ছোট ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এটি ৭০ হাজারেরও বেশি বার দেখা হয় এবং অসংখ্য মন্তব্যে তাঁকে সুস্বাস্থ্য, প্রাণশক্তি ও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনেকেই তাঁর পরিবার ও সংস্কৃতির প্রতি এই নিষ্ঠাকে প্রশংসা করেন।

আল সানআ: এমিরাতি মূল্যবোধের উত্তরাধিকার

আল সানআ এমিরাতি সমাজের গভীর সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। এর মধ্যে রয়েছে বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের প্রতি সম্মান, অতিথি আপ্যায়নে উদারতা, বিনয়, সততা, সহনশীলতা এবং পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি বিশ্বস্ততা। এছাড়া এতে সংরক্ষিত আছে ঐতিহ্যবাহী সম্ভাষণ, এমিরাতি পোশাক এবং আরবি ভাষার চর্চা।

ফোরামের এবারের আয়োজন

এ বছর শারজাহ ইন্টারন্যাশনাল ন্যারেটর ফোরামের ২৫তম আসর বসেছে। এর মূল প্রতিপাদ্য “ভ্রমণকারীদের গল্প”। এতে ৩৭টি দেশের ১২০ জনেরও বেশি গল্পকার অংশ নিচ্ছেন। লাইভ পরিবেশনা, প্রদর্শনী, কর্মশালা এবং একাডেমিক আলোচনার মাধ্যমে গল্প বলার শিল্পকে উদযাপন করা হচ্ছে।

বিশেষ আকর্ষণ

ফোরামের অন্যতম আকর্ষণ হলো ইতিহাসজুড়ে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রদর্শনী। আয়োজনের মধ্যে আরও রয়েছে মৌখিক গল্প বলার কৌশল নিয়ে ৪০টিরও বেশি কর্মশালা এবং ভ্রমণকেন্দ্রিক ৪০টি নতুন প্রকাশনা। এর মধ্যে রয়েছে শাস্ত্রীয় ও সমসাময়িক ভ্রমণ সাহিত্যকেও অন্তর্ভুক্ত করা।

সাঈদ মুসবাহ আল কেতবির বক্তব্য শুধু ব্যক্তিগত কৌতূহল নয়, বরং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্য হস্তান্তরের গুরুত্বকেও নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এসেছে।

জলবায়ু সংকট কি আরেকটি আর্থিক টাইম বোমা?

শারজাহ ফোরামে গবেষকের অভিজ্ঞতা: চার স্ত্রী ও একশরও বেশি সন্তানের গল্প

০৪:১৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্যক্তিগত প্রকাশ্যে আলোড়ন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গবেষক সাঈদ মুসবাহ আল কেতবি শারজাহ ইন্টারন্যাশনাল ন্যারেটর ফোরামে এক চমকপ্রদ ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করেন। তিনি জানান, তাঁর চার স্ত্রী রয়েছে এবং একশরও বেশি সন্তান আছে। এই ঘোষণাই উপস্থিত দর্শক ও অনলাইনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।

সন্তানদের জন্য বিশেষ শিক্ষা

শারজাহ ইনস্টিটিউট ফর হেরিটেজে আয়োজিত এই বার্ষিক ফোরামে আল কেতবি বলেন, তিনি তাঁর সন্তানদের মধ্যে আল সানআ নামে পরিচিত এমিরাতি মূল্যবোধ ও শিষ্টাচারের ঐতিহ্য রোপণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর ভাষায়, “আমি সর্বদা নিশ্চিত করি যে তারা সম্মান, পারিবারিক দায়িত্ব এবং পূর্বপুরুষদের রীতি শিখে।”

অনলাইনে আলোচনার ঝড়

আল কেতবির বক্তব্যের একটি ছোট ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এটি ৭০ হাজারেরও বেশি বার দেখা হয় এবং অসংখ্য মন্তব্যে তাঁকে সুস্বাস্থ্য, প্রাণশক্তি ও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনেকেই তাঁর পরিবার ও সংস্কৃতির প্রতি এই নিষ্ঠাকে প্রশংসা করেন।

আল সানআ: এমিরাতি মূল্যবোধের উত্তরাধিকার

আল সানআ এমিরাতি সমাজের গভীর সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। এর মধ্যে রয়েছে বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের প্রতি সম্মান, অতিথি আপ্যায়নে উদারতা, বিনয়, সততা, সহনশীলতা এবং পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি বিশ্বস্ততা। এছাড়া এতে সংরক্ষিত আছে ঐতিহ্যবাহী সম্ভাষণ, এমিরাতি পোশাক এবং আরবি ভাষার চর্চা।

ফোরামের এবারের আয়োজন

এ বছর শারজাহ ইন্টারন্যাশনাল ন্যারেটর ফোরামের ২৫তম আসর বসেছে। এর মূল প্রতিপাদ্য “ভ্রমণকারীদের গল্প”। এতে ৩৭টি দেশের ১২০ জনেরও বেশি গল্পকার অংশ নিচ্ছেন। লাইভ পরিবেশনা, প্রদর্শনী, কর্মশালা এবং একাডেমিক আলোচনার মাধ্যমে গল্প বলার শিল্পকে উদযাপন করা হচ্ছে।

বিশেষ আকর্ষণ

ফোরামের অন্যতম আকর্ষণ হলো ইতিহাসজুড়ে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রদর্শনী। আয়োজনের মধ্যে আরও রয়েছে মৌখিক গল্প বলার কৌশল নিয়ে ৪০টিরও বেশি কর্মশালা এবং ভ্রমণকেন্দ্রিক ৪০টি নতুন প্রকাশনা। এর মধ্যে রয়েছে শাস্ত্রীয় ও সমসাময়িক ভ্রমণ সাহিত্যকেও অন্তর্ভুক্ত করা।

সাঈদ মুসবাহ আল কেতবির বক্তব্য শুধু ব্যক্তিগত কৌতূহল নয়, বরং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্য হস্তান্তরের গুরুত্বকেও নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এসেছে।