সতর্কবার্তা জারি
মহারাষ্ট্রের কয়েকটি জেলায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে। এ তালিকায় রয়েছে পুনে, আহমেদনগর, পারভানি, হিঙ্গোলি ও নানদেদ। শুক্রবার প্রকাশিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুম্বাইয়ে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মুম্বাই ও আশপাশের এলাকা
শুধু মুম্বাই নয়, পার্শ্ববর্তী পালঘর, থানে ও রায়গড়েও সোমবার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব অঞ্চলেও অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। অরেঞ্জ অ্যালার্টের মানে হলো মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে।
রেড অ্যালার্ট এলাকায় পরিস্থিতি
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের কিছু জেলা যেমন জলনা, বিড ও সোলাপুরে ‘রেড অ্যালার্ট’ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে মাঝারি থেকে প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রঝড় ও শক্তিশালী বাতাস বয়ে যেতে পারে। রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চলই বর্তমানে ইয়েলো বা অরেঞ্জ অ্যালার্টের আওতায় রয়েছে।
ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টি
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার ছত্তিশগড়, কেরালা ও মায়েহ, কঙ্কন ও গোয়া, মহারাষ্ট্র, উত্তর অন্তঃকর্ণাটক, ওডিশা এবং তেলেঙ্গানার কিছু এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ, উপকূলীয় কর্ণাটক, গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, দক্ষিণ অন্তঃকর্ণাটক, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কারাইকাল, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের বিচ্ছিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বজ্রঝড় ও ঝোড়ো বাতাসের সতর্কতা
আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানার কিছু এলাকায় বজ্রঝড়ের সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। একই ধরনের আবহাওয়া দেখা যেতে পারে বিহার, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড, কেরালা, মায়েহ, লক্ষদ্বীপ, ওডিশা, রায়ালসীমা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু এলাকায়, যেখানে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার হতে পারে।
আরব সাগরে পরিস্থিতি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরও পূর্বাভাস অনুযায়ী, আরব সাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য অংশের কিছু এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে, যা ঝোড়ে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। সোমালিয়া উপকূলবর্তী অঞ্চলেও এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।