০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
সৌদি আরবের চোখ ইসরায়েলের এফ-৩৫ সফলতা ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পরিকল্পনা: ইউক্রেন যুদ্ধে সমাপ্তি আনার চেষ্টা নাইজেরিয়ান ফটোগ্রাফার জে.ডি. ওজেইকিরে-এর অদেখা ছবি প্রকাশ বড় জয়, অস্বস্তিকর মুহূর্ত আর আবেগ—২০২৫ ARIA Awards ছিল টালমাটাল কিন্তু জীবন্ত  কমছে মার্কিনদের ছুটির কেনাকাটা, চাপের মুখে খুচরা বিক্রেতারা  অতিরিক্ত ক্ষমতা ও প্রযুক্তি বদলে বড় ধাক্কার মুখে ভারতের সোলার মডিউল শিল্প  জাপানের PAC-3 ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি, নিরাপত্তা নীতিতে নতুন ধাপ পুলিশের মনোবল ভাঙলে আবার নিজেকে নিজেই পাহারা দিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার ঢাকার আদালতে ভারতের সখিনা বেগম, জামিন হয়নি শুনে অঝোরে কাঁদলেন মেয়ে নির্বাচনের আগে ঢাকা-১০সহ তিন আসনে হঠাৎ বিশেষ বরাদ্দ, কী বলছেন উপদেষ্টা?

ইউনুসের ভেতর ফখরুল: জিয়াউর রহমানকে দেখতে পান

রাজনীতি ও নেতৃত্ব নিয়ে বক্তব্য

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রশংসা করে বলেছেন, তাঁর বক্তব্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের প্রতিফলন দেখা যায়। সেই স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক, উন্নত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া।

ফখরুল বলেন, দু’দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ব্যবসায়িক ফোরামে অধ্যাপক ইউনুস যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল যেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কণ্ঠস্বর শুনছি, যিনি দেশের স্বাধীনতার ঘোষকও ছিলেন।

নিউইয়র্কে এনআরবি কানেক্ট ডে-তে বক্তৃতাকালে তিনি জানান, জিয়াউর রহমান আজীবন একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। অধ্যাপক ইউনুসের বক্তব্যেও সেই একই স্বপ্নের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে।

স্বপ্ন ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার

ফখরুল বলেন, আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে স্বপ্ন দেখতে হয়। অধ্যাপক ইউনুসের স্বপ্নগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। একইসঙ্গে তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকেও অগ্রসর হতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস ও দৃঢ়সংকল্প রাখা।

প্রবাসী ও পোশাকশ্রমিকদের অবদান

তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানকারীদের এবং পোশাকশিল্পে কর্মরত নারীদের অবদানের প্রশংসা করেন। ফখরুল মনে করিয়ে দেন, শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের প্রেরণ এবং পোশাকশিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ প্রথম নেন জিয়াউর রহমান, যার ফলে নারীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের পথ খুলে যায়।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জিয়ার ভূমিকা

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়া দেশে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি স্বাধীন সমাজ, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। আজও তরুণ নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র গঠনের নতুন চিন্তা নিয়ে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

পুরনো ও নতুন প্রজন্মের ভূমিকা

ফখরুল বলেন, পুরনো প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীতে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করেছে। এখন নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব হলো নতুন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তিনি অভিযোগ করেন, আগের আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে এবং দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

সংগ্রামের ঐতিহ্য ও জনগণের শক্তি

তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে সংগ্রাম ও প্রতিরোধ বাংলাদেশের মানুষের স্বভাবজাত। সংকটকালে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জানে। গত বছরের জুলাই মাসেই জনগণ এর প্রমাণ দিয়েছে। ফখরুল বলেন, দমননীতির বিরুদ্ধে দেশবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং এ সংগ্রামে সব রাজনৈতিক পক্ষের মানুষ অংশ নিয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও বিএনপির অবস্থান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে। ফখরুল বলেন, বিএনপি এ কাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। তিনি স্পষ্ট করেন, যেখানে বাংলাদেশ ও জনগণের কল্যাণ নিহিত থাকবে, সেখানেই বিএনপি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।

তরুণ প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ

ফখরুল জানান, তরুণ প্রজন্ম আধুনিক ও অগ্রসর চিন্তার অধিকারী। তাদের নতুন সংগ্রাম, নতুন স্বপ্ন ও নতুন উদ্যোগ দেশকে সামনে এগিয়ে নেবে। তিনি বিশেষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের তরুণীরা ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র নির্মাণে বড় ভূমিকা পালন করবে।

একতা ও অঙ্গীকার

শেষে ফখরুল সবাইকে আহ্বান জানান এক স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য—বাংলাদেশ আগে, বাংলাদেশ সবার উপরে। এটাই হোক আমাদের মূলমন্ত্র।

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদি আরবের চোখ ইসরায়েলের এফ-৩৫ সফলতা

ইউনুসের ভেতর ফখরুল: জিয়াউর রহমানকে দেখতে পান

০৪:৫৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজনীতি ও নেতৃত্ব নিয়ে বক্তব্য

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রশংসা করে বলেছেন, তাঁর বক্তব্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের প্রতিফলন দেখা যায়। সেই স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক, উন্নত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া।

ফখরুল বলেন, দু’দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ব্যবসায়িক ফোরামে অধ্যাপক ইউনুস যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল যেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কণ্ঠস্বর শুনছি, যিনি দেশের স্বাধীনতার ঘোষকও ছিলেন।

নিউইয়র্কে এনআরবি কানেক্ট ডে-তে বক্তৃতাকালে তিনি জানান, জিয়াউর রহমান আজীবন একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। অধ্যাপক ইউনুসের বক্তব্যেও সেই একই স্বপ্নের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে।

স্বপ্ন ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার

ফখরুল বলেন, আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে স্বপ্ন দেখতে হয়। অধ্যাপক ইউনুসের স্বপ্নগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। একইসঙ্গে তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকেও অগ্রসর হতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস ও দৃঢ়সংকল্প রাখা।

প্রবাসী ও পোশাকশ্রমিকদের অবদান

তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানকারীদের এবং পোশাকশিল্পে কর্মরত নারীদের অবদানের প্রশংসা করেন। ফখরুল মনে করিয়ে দেন, শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের প্রেরণ এবং পোশাকশিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ প্রথম নেন জিয়াউর রহমান, যার ফলে নারীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের পথ খুলে যায়।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জিয়ার ভূমিকা

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়া দেশে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি স্বাধীন সমাজ, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। আজও তরুণ নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র গঠনের নতুন চিন্তা নিয়ে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

পুরনো ও নতুন প্রজন্মের ভূমিকা

ফখরুল বলেন, পুরনো প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীতে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করেছে। এখন নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব হলো নতুন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তিনি অভিযোগ করেন, আগের আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে এবং দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

সংগ্রামের ঐতিহ্য ও জনগণের শক্তি

তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে সংগ্রাম ও প্রতিরোধ বাংলাদেশের মানুষের স্বভাবজাত। সংকটকালে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জানে। গত বছরের জুলাই মাসেই জনগণ এর প্রমাণ দিয়েছে। ফখরুল বলেন, দমননীতির বিরুদ্ধে দেশবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং এ সংগ্রামে সব রাজনৈতিক পক্ষের মানুষ অংশ নিয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও বিএনপির অবস্থান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে। ফখরুল বলেন, বিএনপি এ কাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। তিনি স্পষ্ট করেন, যেখানে বাংলাদেশ ও জনগণের কল্যাণ নিহিত থাকবে, সেখানেই বিএনপি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।

তরুণ প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ

ফখরুল জানান, তরুণ প্রজন্ম আধুনিক ও অগ্রসর চিন্তার অধিকারী। তাদের নতুন সংগ্রাম, নতুন স্বপ্ন ও নতুন উদ্যোগ দেশকে সামনে এগিয়ে নেবে। তিনি বিশেষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের তরুণীরা ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র নির্মাণে বড় ভূমিকা পালন করবে।

একতা ও অঙ্গীকার

শেষে ফখরুল সবাইকে আহ্বান জানান এক স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য—বাংলাদেশ আগে, বাংলাদেশ সবার উপরে। এটাই হোক আমাদের মূলমন্ত্র।