বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির এক আদিবাসী শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটি দ্রুত, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসা ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক আদিবাসী শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ছাত্রীটি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে এ ঘটনার শিকার হন। রাত ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বজনরা। পুলিশ ইতোমধ্যেই অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও আন্দোলন
ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্রজনতা গুইমারা এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে। অবরোধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় স্থানীয় জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ব্লাস্টের প্রতিক্রিয়া ও দাবি
ব্লাস্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনা কেবল ব্যক্তিগত জীবনে নয়, পুরো সমাজে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ায়। তাই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।
এছাড়া ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সাংবিধানিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন
ব্লাস্টের মতে, এই ঘটনা বাংলাদেশের সংবিধানের বেশ কয়েকটি ধারা লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—
• • ২৭: আইনের দৃষ্টিতে সমতার অধিকার
• • ২৮ (১): ধর্ম বা লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যহীনতা
• • ৩১: আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার
• • ৩২: জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার
এ ধরনের সহিংসতা শুধু সংবিধান নয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিরও লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের আহ্বান
ব্লাস্ট জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত নিশ্চিত করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















