এবার শরৎ এমনি ভেজা। তারপরেও আকাশ ও বাতাস জুড়ে আছে গুমোট আবহাওয়া। এর ভেতরও “তবু আনন্দ জাগে।” হাজার হোক মানুষ তো- তার ওপর বাঙালি, যার জন্ম হয়েছে ভাটিয়ালি, ভাওইয়া, ফসল কাটার গান, ফসল তোলার নাচের সঙ্গে। মনের ভেতর যার একজন করে বাউল মাঝে মাঝেই উঁকি দেয়। সে কি পারে একেবারে নিরস এক জীবন, গুমোট আবহাওয়ায় নিজেকে আটকে রাখতে?
তাই শরতের হালকা মেঘ না এলেও কচি পাতা আর শিউলির কুঁড়ি দেখে সে হয়তো চারুকলা আর গেন্ডারিয়ায় গিয়েছিল শারদ উৎসব করতে। যার উৎসব ফসলের সঙ্গে, যার গান ছাদ পেটানোর সঙ্গে, যারা কোদাল দিয়ে মাটি কাটার সঙ্গে গান গায়, সে কি উৎসব ছাড়া থাকতে পারে!
কিন্তু হলো না। যারা এখন শক্তিমান তারা বন্ধ করে দিল উৎসব। চিড়িয়াখানার জীবের আবার উৎসব কি, এমন একটা ভাব। যাহোক, এখন তো তৃপ্তি মিত্র আর শম্ভূ মিত্রের বিখ্যাত সেই নাটকের ডায়ালগের যুগ চলছে। অর্থাৎ সেই ডায়ালগ, অটল ম্যানেজার হয়েছে, এখন তো শুধু তাদের কথা শোনারই সময় চলছে।
যাহোক, অটল ম্যানেজারের কথা মঞ্চের দর্শকরা সবাই শুনতে থাকুক। ভালো নাটকে এমন দৃশ্য থাকে। কিন্তু আমাদের এই শরৎ উৎসব বন্ধের পরের দৃশ্য কি? বসন্ত কি পথ খুঁজে পাবে এই ভূমিতে ঢোকার? নাকি বসন্ত ছাড়াই এখন থেকে তারুণ্য কাটবে তরুণরা, যারা কিছুদিন আগেও রাজপথে- আসছে ফাগুনে দ্বিগুণ হতে চেয়েছিল।