০২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
চাকরি হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ হোয়াইট হাউসের শোভা: ছুটির মৌসুমে ‘ঘর’ সাজানো ধনী আমেরিকানরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য দায়ী নারী নিহত, ভাতিজি আহত: জয়পুরহাটে দুর্বৃত্তদের হামলা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীর মৃত্যু গাজীপুরে কারখানার দূষিত পানি পানে অসুস্থ তিন শতাধিক শ্রমিক ঘোড়া ছুটে গেল? লাল পোশাকের রাইডারদের প্রস্তুত থাকতে হবে আমেরিকার ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য আরও আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গির দাবি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজের স্বপ্নের প্রকল্প বড় হচ্ছে ,স্থপতিরাও আশঙ্কিত ধনীদের নতুন ট্রেন্ড: আকস্মিক ‘ট্রাস্ট রিভিল’ অনুষ্ঠানে উত্তরাধিকারীদের সামনে সম্পদ ঘোষণা

শরৎ বাধা পেল, বসন্ত কি আসতে পারবে?

  • Sarakhon Report
  • ০৮:২৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • 175

এবার শরৎ এমনি ভেজা। তারপরেও আকাশ ও বাতাস জুড়ে আছে গুমোট আবহাওয়া। এর ভেতরও “তবু আনন্দ জাগে।” হাজার হোক মানুষ তো- তার ওপর বাঙালি, যার জন্ম হয়েছে ভাটিয়ালি, ভাওইয়া, ফসল কাটার গান, ফসল তোলার নাচের সঙ্গে। মনের ভেতর যার একজন করে বাউল মাঝে মাঝেই উঁকি দেয়। সে কি পারে একেবারে নিরস এক জীবন, গুমোট আবহাওয়ায় নিজেকে আটকে রাখতে?

তাই শরতের হালকা মেঘ না এলেও কচি পাতা আর শিউলির কুঁড়ি দেখে সে হয়তো চারুকলা আর গেন্ডারিয়ায় গিয়েছিল শারদ উৎসব করতে। যার উৎসব ফসলের সঙ্গে, যার গান ছাদ পেটানোর সঙ্গে, যারা কোদাল দিয়ে মাটি কাটার সঙ্গে গান গায়, সে কি উৎসব ছাড়া থাকতে পারে!

কিন্তু হলো না। যারা এখন শক্তিমান তারা বন্ধ করে দিল উৎসব। চিড়িয়াখানার জীবের আবার উৎসব কি, এমন একটা ভাব। যাহোক, এখন তো তৃপ্তি মিত্র আর শম্ভূ মিত্রের বিখ্যাত সেই নাটকের ডায়ালগের যুগ চলছে। অর্থাৎ সেই ডায়ালগ, অটল ম্যানেজার হয়েছে, এখন তো শুধু তাদের কথা শোনারই সময় চলছে।

যাহোক, অটল ম্যানেজারের কথা মঞ্চের দর্শকরা সবাই শুনতে থাকুক। ভালো নাটকে এমন দৃশ্য থাকে। কিন্তু আমাদের এই শরৎ উৎসব বন্ধের পরের দৃশ্য কি? বসন্ত কি পথ খুঁজে পাবে এই ভূমিতে ঢোকার? নাকি বসন্ত ছাড়াই এখন থেকে তারুণ্য কাটবে তরুণরা, যারা কিছুদিন আগেও রাজপথে- আসছে ফাগুনে দ্বিগুণ হতে চেয়েছিল।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকরি হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

শরৎ বাধা পেল, বসন্ত কি আসতে পারবে?

০৮:২৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

এবার শরৎ এমনি ভেজা। তারপরেও আকাশ ও বাতাস জুড়ে আছে গুমোট আবহাওয়া। এর ভেতরও “তবু আনন্দ জাগে।” হাজার হোক মানুষ তো- তার ওপর বাঙালি, যার জন্ম হয়েছে ভাটিয়ালি, ভাওইয়া, ফসল কাটার গান, ফসল তোলার নাচের সঙ্গে। মনের ভেতর যার একজন করে বাউল মাঝে মাঝেই উঁকি দেয়। সে কি পারে একেবারে নিরস এক জীবন, গুমোট আবহাওয়ায় নিজেকে আটকে রাখতে?

তাই শরতের হালকা মেঘ না এলেও কচি পাতা আর শিউলির কুঁড়ি দেখে সে হয়তো চারুকলা আর গেন্ডারিয়ায় গিয়েছিল শারদ উৎসব করতে। যার উৎসব ফসলের সঙ্গে, যার গান ছাদ পেটানোর সঙ্গে, যারা কোদাল দিয়ে মাটি কাটার সঙ্গে গান গায়, সে কি উৎসব ছাড়া থাকতে পারে!

কিন্তু হলো না। যারা এখন শক্তিমান তারা বন্ধ করে দিল উৎসব। চিড়িয়াখানার জীবের আবার উৎসব কি, এমন একটা ভাব। যাহোক, এখন তো তৃপ্তি মিত্র আর শম্ভূ মিত্রের বিখ্যাত সেই নাটকের ডায়ালগের যুগ চলছে। অর্থাৎ সেই ডায়ালগ, অটল ম্যানেজার হয়েছে, এখন তো শুধু তাদের কথা শোনারই সময় চলছে।

যাহোক, অটল ম্যানেজারের কথা মঞ্চের দর্শকরা সবাই শুনতে থাকুক। ভালো নাটকে এমন দৃশ্য থাকে। কিন্তু আমাদের এই শরৎ উৎসব বন্ধের পরের দৃশ্য কি? বসন্ত কি পথ খুঁজে পাবে এই ভূমিতে ঢোকার? নাকি বসন্ত ছাড়াই এখন থেকে তারুণ্য কাটবে তরুণরা, যারা কিছুদিন আগেও রাজপথে- আসছে ফাগুনে দ্বিগুণ হতে চেয়েছিল।