০৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৮) অশান্তির জন্য নোবেল থাকলে বাংলাদেশ পেত”— জিএম কাদের একদিনে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৫৮ জন বেতন ও ভাতার দাবিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মচারীদের শাহবাগ অবরোধ অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে গরুর জরুরী কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত এক দিনে ৮০ পয়েন্ট পতন, ধস নামলো ঢাকার শেয়ারবাজারে রংপুরে অ্যানথ্রাক্স: গঙ্গাচরায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধ দীপিকা পাড়ুকোনের গ্লোবাল প্লেবুক: হিন্দি ছবির সুপারস্টার কীভাবে বানালেন সীমাহীন ক্যারিয়ার শিক্ষক আন্দোলনে অস্থিরতা শিক্ষায়, সমাধানে কী করছে সরকার? ১২ ম্যাচে ১১ হার, যেভাবে এক যুগে ‘সর্বনিম্ন’ অবস্থায় বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট

বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা, সুদের হার কমার আশা জোরালো

উদ্বায়ী সেশনের পর ইউরোপ–এশিয়ায় শেয়ারদর বৃদ্ধি

ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারে শেয়ারদর বেড়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার কমানোর দিকে এগোচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিটের উত্থান–পতনের পর প্রযুক্তি শেয়ারগুলিই বাড়তি গতি দেখিয়েছে। তেলের বাড়তি সরবরাহ–আশঙ্কায় দাম কমলেও, নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের অবস্থান স্থিতিশীল ছিল। ঝুঁকি নিলেও সতর্কতা বজায় রেখে বাজার অংশগ্রহণকারীরা স্বল্পমেয়াদি অস্থিরতাকে পাশ কাটিয়ে সুযোগ খুঁজেছেন।

বন্ড–ইঙ্গিত, লাভজনক খাত ও ঝুঁকি

সকালে বেঞ্চমার্ক বন্ড আয় সুদ কিছুটা নামলে সুদের হার–সংবেদনশীল খাতগুলো গতি পায়। একই সময়ে ওয়াশিংটন–বেইজিং বাণিজ্য উত্তেজনা, নতুন শুল্ক–ইঙ্গিত ও বন্দর–ফি নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা প্রশমিত হয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চিপ নির্মাতা ও ক্লাউড–নির্ভর কোম্পানির ফল ভালো হওয়ায় সাম্প্রতিক দোলাচলের পর ঝুঁকি নেওয়ার আগ্রহ টিকে আছে। নিয়োগ ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য অনুকূলে থাকলে, নীতিনির্ধারকেরা কয়েক মাসের মধ্যে প্রথম কাটের সময়সূচি ইঙ্গিত করতে পারেন। তবে সবকিছুই ডেটা–নির্ভর।

People stand in front of an electronic stock board showing Japan's Nikkei index at a securities firm Wednesday, Oct. 15, 2025, in Tokyo. (AP Photo/Eugene Hoshiko)

রাতারাতি এশিয়াই সুর বেঁধেছে। ইয়েন দুর্বল থাকায় টোকিওতে রপ্তানিমুখী শেয়ার ঘুরে দাঁড়ায়; সিউল ও তাইপে চিপ শেয়ারের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে। চীনা বাজারে রিয়েল এস্টেট চাপ থাকায় সূচক মিশ্র ছিল, তবে বড় মূলধনী শেয়ারগুলো শেষ ঘণ্টায় সমর্থন পেয়েছে। ইউরোপে অটো, লাক্সারি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও বড় প্রযুক্তি একসঙ্গে উঠেছে। মার্কিন ফিউচারও ইতিবাচক, বড়–ক্যাপ শেয়ারে ক্রেতার উপস্থিতি বাড়ছে।

তবু ঝুঁকি আছে। নতুন করে শুল্ক বা এক্সপোর্ট কন্ট্রোলে কড়াকড়ি বাড়লে ছুটির মৌসুমে বাণিজ্য ও সরবরাহ–শৃঙ্খলে চাপ পড়তে পারে। জ্বালানি দামও দুই ধারার তলোয়ার—দাম কমলে মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় থাকে, কিন্তু অতিরিক্ত পতন চাহিদা দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত। বছরের শেষভাগে তারল্য কমে এলে ডেটা বা ফেড বার্তায় দোলাচল তীব্র হতে পারে।

এ মুহূর্তে প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী। মানসম্মত গ্রোথ, নগদ সমৃদ্ধ চক্রাকার খাত—এগুলোতেই ফোকাস বাড়ছে; একই সঙ্গে নীতিগত চমকের বিরুদ্ধে হেজ রাখা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি হঠাৎ উত্তপ্ত হলে বা মার্কিন–চীন আলোচনায় টানাপোড়েন বাড়লে র‍্যালি পরীক্ষা দেবে, তবে আজকের লেনদেন বলছে, ক্রেতারাই প্রাধান্যে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৮)

বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা, সুদের হার কমার আশা জোরালো

০৫:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

উদ্বায়ী সেশনের পর ইউরোপ–এশিয়ায় শেয়ারদর বৃদ্ধি

ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারে শেয়ারদর বেড়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার কমানোর দিকে এগোচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিটের উত্থান–পতনের পর প্রযুক্তি শেয়ারগুলিই বাড়তি গতি দেখিয়েছে। তেলের বাড়তি সরবরাহ–আশঙ্কায় দাম কমলেও, নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের অবস্থান স্থিতিশীল ছিল। ঝুঁকি নিলেও সতর্কতা বজায় রেখে বাজার অংশগ্রহণকারীরা স্বল্পমেয়াদি অস্থিরতাকে পাশ কাটিয়ে সুযোগ খুঁজেছেন।

বন্ড–ইঙ্গিত, লাভজনক খাত ও ঝুঁকি

সকালে বেঞ্চমার্ক বন্ড আয় সুদ কিছুটা নামলে সুদের হার–সংবেদনশীল খাতগুলো গতি পায়। একই সময়ে ওয়াশিংটন–বেইজিং বাণিজ্য উত্তেজনা, নতুন শুল্ক–ইঙ্গিত ও বন্দর–ফি নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা প্রশমিত হয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চিপ নির্মাতা ও ক্লাউড–নির্ভর কোম্পানির ফল ভালো হওয়ায় সাম্প্রতিক দোলাচলের পর ঝুঁকি নেওয়ার আগ্রহ টিকে আছে। নিয়োগ ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য অনুকূলে থাকলে, নীতিনির্ধারকেরা কয়েক মাসের মধ্যে প্রথম কাটের সময়সূচি ইঙ্গিত করতে পারেন। তবে সবকিছুই ডেটা–নির্ভর।

People stand in front of an electronic stock board showing Japan's Nikkei index at a securities firm Wednesday, Oct. 15, 2025, in Tokyo. (AP Photo/Eugene Hoshiko)

রাতারাতি এশিয়াই সুর বেঁধেছে। ইয়েন দুর্বল থাকায় টোকিওতে রপ্তানিমুখী শেয়ার ঘুরে দাঁড়ায়; সিউল ও তাইপে চিপ শেয়ারের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে। চীনা বাজারে রিয়েল এস্টেট চাপ থাকায় সূচক মিশ্র ছিল, তবে বড় মূলধনী শেয়ারগুলো শেষ ঘণ্টায় সমর্থন পেয়েছে। ইউরোপে অটো, লাক্সারি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও বড় প্রযুক্তি একসঙ্গে উঠেছে। মার্কিন ফিউচারও ইতিবাচক, বড়–ক্যাপ শেয়ারে ক্রেতার উপস্থিতি বাড়ছে।

তবু ঝুঁকি আছে। নতুন করে শুল্ক বা এক্সপোর্ট কন্ট্রোলে কড়াকড়ি বাড়লে ছুটির মৌসুমে বাণিজ্য ও সরবরাহ–শৃঙ্খলে চাপ পড়তে পারে। জ্বালানি দামও দুই ধারার তলোয়ার—দাম কমলে মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় থাকে, কিন্তু অতিরিক্ত পতন চাহিদা দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত। বছরের শেষভাগে তারল্য কমে এলে ডেটা বা ফেড বার্তায় দোলাচল তীব্র হতে পারে।

এ মুহূর্তে প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী। মানসম্মত গ্রোথ, নগদ সমৃদ্ধ চক্রাকার খাত—এগুলোতেই ফোকাস বাড়ছে; একই সঙ্গে নীতিগত চমকের বিরুদ্ধে হেজ রাখা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি হঠাৎ উত্তপ্ত হলে বা মার্কিন–চীন আলোচনায় টানাপোড়েন বাড়লে র‍্যালি পরীক্ষা দেবে, তবে আজকের লেনদেন বলছে, ক্রেতারাই প্রাধান্যে।