ভারতের সুন্দরবন উপকূলে জাহাজডুবির আট মাস পর অবশেষে দেশে ফিরলেন ১২ বাংলাদেশি নাবিক। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর উদ্ধার অভিযানের পর কূটনৈতিক সমন্বয় ও বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে শনিবার বিকেলে তারা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন।
দেশে ফেরা ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া
শনিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ নাবিকদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর তাদের বেনাপোল বন্দর থানায় পাঠানো হয়। পরে মানবাধিকার সংস্থা ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ নাবিকদের তত্ত্বাবধানে নেয়, যাতে তারা নিরাপদে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরতে পারেন।
নাবিকদের পরিচয়
ফিরে আসা নাবিকরা হলেন — শরিফুল শেখ (২০), বিপ্লব শেখ (১৮), মিহাত ফকির (২২), শাওন মল্লা (২৫), জিহাদ মল্লা (২৫), আহাদ শেখ (২৬), সাগর হোসেন (২৬), রাজিব শেখ (২৭), তারিকুল ইসলাম (২৯), আল আমিন শেখ (৩২), মোহাম্মদ আলী (৪৪) এবং জসিম উদ্দিন শেখ (৫৩)।
দুর্ঘটনার পটভূমি
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোহিত হোসেন জানান, ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ঘোড়াশাল সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে এমভি সি ওয়ার্ল্ড নামের একটি সিমেন্টবোঝাই জাহাজে ভারতগামী ছিলেন এই নাবিকরা। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের ঘোরমারি নদীতে দুর্ঘটনার পর জাহাজটি ডুবে যায়।
উদ্ধার ও আশ্রয়
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী দুর্ঘটনার পর নাবিকদের উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর হাই স্কুল সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় দেয়। সেখানে তারা আট মাস অবস্থান করেন। দুই দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং ভারতের জারি করা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে অবশেষে তাদের দেশে ফেরার সুযোগ হয়।
মানবিক সহায়তা ও স্বস্তি
বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক উদ্যোগ, মানবাধিকার সংস্থার তত্ত্বাবধান এবং প্রশাসনিক সহায়তায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নাবিকদের দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলিত হতে পেরে তারা স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
# বাংলাদেশি_নাবিক, বেনাপোল_সীমান্ত, ভারতীয়_উপকূলরক্ষী, জাস্টিস_অ্যান্ড_কেয়ার, সুন্দরবন, নাবিক_উদ্ধার, কূটনৈতিক_সমন্বয়, সারাক্ষণ_রিপোর্ট