০৭:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সেনাপ্রধানের সাথে কুয়েতের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী H.E. Sameeh Essa Johar Hayat এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ধারাবাহিক পতনে ধসের মুখে শেয়ারবাজার — ৫ হাজার পয়েন্ট সীমার কাছাকাছি ডিএসই সূচক তিন দফা দাবিতে অনড় এমপিও শিক্ষকরা, ফখরুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে নতুন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় সিলেটের অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল বিএনপিকে জুলাই আন্দোলনের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টা ব্যর্থ হবে — সালাহউদ্দিন জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ আসলে পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা — নাহিদ ইসলাম শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হলো পোশাক খাতের কাঁচামাল ও ব্যবসায়িক নমুনা শিরোনাম: মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না—এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের আপিলের শুনানি নির্ধারিত বন্যার নতুন বাস্তবতা: এফিমার মানচিত্র পাল্টাতে শহরগুলোর জোর প্রচেষ্টা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধানের আহ্বান: মার্কিন-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ শিথিল করতে, অথবা দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ঝুঁকি

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের বিভিন্ন জায়গায় এখনও ধোঁয়া উড়ছে – রবিবার যে চিত্র দেখা যাচ্ছে

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন শনিবার রাতে নিয়ন্ত্রণে আসলেও রবিবার সকাল পর্যন্ত পুরোপুরি নেভানো যায়নি আগুন।

রবিবার সকালেও কার্গো ভিলেজের বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।

তবে, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে, কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শনিবার রাত থেকে ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও, এখনো সব ফ্লাইট যথাসময়ে ওঠানামা করছে না।

অন্যদিকে, আগুন লাগার পর বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে পড়লেও রবিবার সকাল নাগাদ তা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

যদিও কিছু কিছু ফ্লাইট এখনও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরীতে ছাড়ছে।

শনিবার বিমানবন্দর বন্ধ থাকার সময় যেসব বিমান ছেড়ে যেতে পারেনি, সেসব বিমান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

শনিবার দুপুরে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পরপরই পুরো বিমানবন্দর এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।

স্বাভাবিকভাবেই কর্তৃপক্ষ তখন বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করে।

সেসময় সেসব বিমানের ঢাকায় অবতরণ করার কথা ছিল যেসব বিমানের, সেগুলো চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিমানবন্দরে অবতরণের নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রায় ছয় ঘন্টার বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রাত প্রায় সোয়া নয়টার দিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়।

কাগর্হো ভিলেজের আগুন নিয়ণ্ত্রণেও আসে রাত ৯টার কিছুক্ষণ পর। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

সেসময় তিনি বলেন যে বাতাসের কারণে আগুন নেভাতে বেশি সময় লেগেছে ফায়ার সার্ভিসের।

“যেহেতু খোলা জায়গা ছিল, সেখানে প্রচুর বাতাস ছিল। সে কারণে অক্সিজেনের একটা উপস্থিতি সবসময় ছিল যেটা সবসময় আগুনকে জ্বালিয়ে রাখতে সহযোগিতা করেছে।”

এছাড়া কার্গো ভিলেজের যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে ‘দেয়াল দিয়ে খোপ খোপ করে রাখা’ ছিল বলে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের দেরী হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

পাশাপাশি খোলা জায়গায় পণ্য রাখা থাকায় সেসব পণ্যে আগুন লেগে আগুন আরও বৃদ্ধি পায় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জাহেদ কামাল।

এছাড়া যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে রাসায়নিক জাতীয় দ্রব্য থাকতে পারে, এমন আশঙ্কায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালানোয় আগুন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লেগেছে বলেও জানান তিনি।

রবিবার দুপুরে বিমানবন্দর পরিদশনে গিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন জানান, “আগামী তিনদিন যত নন শিডিউল এক্সট্রা ফ্লাইট আসবে তার সমস্ত মাসুল ও খরচ আমরো মওকুফ করে দিয়েছি।”

এর ফলে ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় হওয়ার কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের অনেকেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক পেইজে – যারা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে বিক্রি করেন – পোস্ট দেখা যায় যে কার্গো ভিলেজের আগুনে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার রাতে বিমানবন্দর এলাকাতেও অনেক মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে দেখা যায়, যারা বলছিলেন যে আগুনে তাদের বড় অঙ্কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আগুনের ঘটনায় আলাদা আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস টিম থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সংঘটিত একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তা গভীরভাবে অবগত”।

সাম্প্রতিক এসব অগ্নিকাণ্ড ‘নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত’ হলে অথবা ‘আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টির’ লক্ষ্যে ঘটানো হচ্ছে বলে প্রমাণ পেলে সেগুলো ‘মোকাবিলা’ করার কথাও বলা হয়।

নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা ‘গভীরভাবে তদন্ত করছে’ জানিয়ে এতে বলা হয়, “নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।

 BBC News বাংলা

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাপ্রধানের সাথে কুয়েতের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী H.E. Sameeh Essa Johar Hayat এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের বিভিন্ন জায়গায় এখনও ধোঁয়া উড়ছে – রবিবার যে চিত্র দেখা যাচ্ছে

০৪:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন শনিবার রাতে নিয়ন্ত্রণে আসলেও রবিবার সকাল পর্যন্ত পুরোপুরি নেভানো যায়নি আগুন।

রবিবার সকালেও কার্গো ভিলেজের বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।

তবে, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে, কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শনিবার রাত থেকে ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও, এখনো সব ফ্লাইট যথাসময়ে ওঠানামা করছে না।

অন্যদিকে, আগুন লাগার পর বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে পড়লেও রবিবার সকাল নাগাদ তা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

যদিও কিছু কিছু ফ্লাইট এখনও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরীতে ছাড়ছে।

শনিবার বিমানবন্দর বন্ধ থাকার সময় যেসব বিমান ছেড়ে যেতে পারেনি, সেসব বিমান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

শনিবার দুপুরে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পরপরই পুরো বিমানবন্দর এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।

স্বাভাবিকভাবেই কর্তৃপক্ষ তখন বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করে।

সেসময় সেসব বিমানের ঢাকায় অবতরণ করার কথা ছিল যেসব বিমানের, সেগুলো চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিমানবন্দরে অবতরণের নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রায় ছয় ঘন্টার বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রাত প্রায় সোয়া নয়টার দিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়।

কাগর্হো ভিলেজের আগুন নিয়ণ্ত্রণেও আসে রাত ৯টার কিছুক্ষণ পর। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

সেসময় তিনি বলেন যে বাতাসের কারণে আগুন নেভাতে বেশি সময় লেগেছে ফায়ার সার্ভিসের।

“যেহেতু খোলা জায়গা ছিল, সেখানে প্রচুর বাতাস ছিল। সে কারণে অক্সিজেনের একটা উপস্থিতি সবসময় ছিল যেটা সবসময় আগুনকে জ্বালিয়ে রাখতে সহযোগিতা করেছে।”

এছাড়া কার্গো ভিলেজের যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে ‘দেয়াল দিয়ে খোপ খোপ করে রাখা’ ছিল বলে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের দেরী হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

পাশাপাশি খোলা জায়গায় পণ্য রাখা থাকায় সেসব পণ্যে আগুন লেগে আগুন আরও বৃদ্ধি পায় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জাহেদ কামাল।

এছাড়া যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে রাসায়নিক জাতীয় দ্রব্য থাকতে পারে, এমন আশঙ্কায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালানোয় আগুন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লেগেছে বলেও জানান তিনি।

রবিবার দুপুরে বিমানবন্দর পরিদশনে গিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন জানান, “আগামী তিনদিন যত নন শিডিউল এক্সট্রা ফ্লাইট আসবে তার সমস্ত মাসুল ও খরচ আমরো মওকুফ করে দিয়েছি।”

এর ফলে ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় হওয়ার কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের অনেকেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক পেইজে – যারা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে বিক্রি করেন – পোস্ট দেখা যায় যে কার্গো ভিলেজের আগুনে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার রাতে বিমানবন্দর এলাকাতেও অনেক মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে দেখা যায়, যারা বলছিলেন যে আগুনে তাদের বড় অঙ্কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আগুনের ঘটনায় আলাদা আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস টিম থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি সংঘটিত একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার তা গভীরভাবে অবগত”।

সাম্প্রতিক এসব অগ্নিকাণ্ড ‘নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত’ হলে অথবা ‘আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টির’ লক্ষ্যে ঘটানো হচ্ছে বলে প্রমাণ পেলে সেগুলো ‘মোকাবিলা’ করার কথাও বলা হয়।

নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা ‘গভীরভাবে তদন্ত করছে’ জানিয়ে এতে বলা হয়, “নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।

 BBC News বাংলা