১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
সালমান শাহ হত্যা মামলা: পুনরায় তদন্তের নির্দেশ বগুড়ায় এনসিপির সভাস্থলের কাছে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ছোট মাপের জেলেদের টেকসই জীবিকা নিশ্চিতের দাবি — ইলিশ রক্ষায় ভোলায় নাগরিক সমাজের আহ্বান সংখ্যালঘুদের হয়রানি রোধে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপি মহাসচিবের আবারও রগকাটা শুরু:  চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার—পায়ের ও কবজির রগ কাটা অবস্থায় ভাড়া বাসা থেকে ১১২টি ভিডিও প্রকাশ, ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশি ভিউ—সিআইডির অভিযানে আটক আজিম ও স্ত্রী বৃষ্টি রতনপুর-রশিকপুর সুইচগেট এলাকায় নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো তানভীর ও কৌশিকের লাশ তামাবিল-সিলেট মহাসড়কে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২২ বছর বয়সী নজরুল ইসলামের দুবাইয়ে সোনার দামে নতুন রেকর্ড খাঁচার বাইরে স্বাধীনতা—প্রাণী নয়, মানুষকেই মুক্ত করতে হবে -শেষ পর্ব

বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানি চুক্তির নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু ভারতের

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার”

দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।

সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মধ্যে শফিউল আজিম, ড. এ কে এম মতিউর রহমান, ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মো. নূরুল আলম, মো. আজিজুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, মো. সামসুল আরেফিন, মো. মশিউর রহমান ও মো. মনজুর হোসেনকে জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ওই ধারা অনুযায়ী কারও চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়াই সরকার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে। তবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হয়।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব অবসরকালীন সুবিধা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর বেশ কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে ওএসডি করা হয়।

সমকালের একটি শিরোনাম”বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানি চুক্তির নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু ভারতের”

বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানিসংক্রান্ত চুক্তি নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। দেশটির এনটিপিসি বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড ত্রিপুরার পালাটানা কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য চুক্তি নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সম্প্রতি দপ্তরটির এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ করপোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি ২০২৬ সালের মার্চ মাসে শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই বাংলাদেশ চুক্তি নবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ায় ভারতের পক্ষেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এনটিপিসি সূত্র জানিয়েছে।

এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগমের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর টিএসইসিএলের এমডি দেবাশীষ বোসের সঙ্গে নবায়নের বিষয়ে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠক করেছেন। দেবাশীষ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা বিপিডিবির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিএসইসিএল বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে এবং নভেম্বর থেকে এটি ১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। প্রক্রিয়া অনুসারে, এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম এখন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক করবে। যদি তারা রাজি হয়, তাহলে আমরা প্রতিবেশী দেশটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাব।’

নেপালে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে দেবাশীষ বলেন, ‘নেপালের তুলনায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বেশি কার্যকর। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সম্প্রসারণের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিভাজনে বিশ্বাসী নই, সবাইকে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়াই বিএনপির দর্শন: মির্জা ফখরুল”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে আমরা সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা কোনো বিভাজনে বিশ্বাসী নই, সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গী করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলাই বিএনপির দর্শন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সোমনাথ দে, কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল ও সমেন সাহার নেতৃত্বে ৫০ জন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালেই রেইনবো স্টেটের বিষয়ে বলেছেন। যেখানে সব ধর্ম, মত ও পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। দেশে অনেক বিভাজন, ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি করা হয়েছে। রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে ফেলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু মানুষ প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার চিত্র দেখতে চায় না, ঐক্যের রাজনীতি সৃষ্টি করাই মূল কথা।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিগত অবস্থান, ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিভিন্ন কারণে দেশে অনেক বিভাজনের সৃষ্টি করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে অনেকেই ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিআর করতে হবে থেকে শুরু করে অনেক কথা হচ্ছে, আমরা সেসব বলি না। আমরা বলি, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম এবং ২৪-এ একটি সুযোগ এসেছে নতুন করে বাংলাদেশ তৈরি করার। আমরা সব সম্প্রদায় এ ভূখণ্ডে একসঙ্গে বসবাস করতে চাই এবং সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বিএনপি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

মানবজমিনের একটি শিরোন “প্রেমের বলি নাকি রাজনীতি”

পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলা (১৫ নম্বর বাড়ি)। ভবনটির তিনতলার সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় এক নারীসহ মোট তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ধারণা করছে অন্য দুইজনের প্রেমের বলি হয়ে থাকতে পারেন জোবায়েদ। এর বাইরে রাজনৈতিক টার্গেটকে বিবেচনায় রেখেছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, যে শিক্ষার্থীকে জোবায়েদ প্রাইভেট পড়াতেন তার সঙ্গে অন্য একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্প্রতি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এর জেরেই জোবায়েদ খুন হতে পারেন। তবে জোবায়েদের সহপাঠী ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা রাজনীতির বিষয়টিও তদন্তের বিবেচনায় আনার কথা বলছেন। কারণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জোবায়েদ পরিচিত মুখ ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিল থেকে অভিযোগ করা হয়, ৫ই আগস্টের পর থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হত্যার জন্য একটি ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলার ৫ম তলায় ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বর্ষাকে টিউশন পড়াতে গিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ। এর ১৫ মিনিটের মাথায়ই তার বন্ধুদের কাছে খবর আসে জোবায়েদ আর নেই। সাম্য, জাফর, রিয়াজ, শামীমসহ জবি’র শিক্ষার্থীরা ওই রৌশান ভিলায় প্রবেশের পর দেখতে পান- ভবনের তিন তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। আর তিনতলার সিঁড়ির উপর পড়ে আছে জোবায়েদের নিথর দেহ। ভবনের দুই তলা ও তিনতলার দরজাতেও রক্তের দাগ স্পষ্ট। কেউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে জোবায়েদকে। মুহূর্তেই শত শত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে পুরো এলাকা ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। খবর দেয়া হয় বংশাল থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

ওই বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে,  ঘটনার সময় দুই যুবক দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় কালো টুপি, গায়ে লাল টি-শার্ট। আরেকজনের গায়ে কালো শার্ট, পরনে সাদা প্যান্ট ও পায়ে সাদা জুতা। তার ঘাড়ে ছিল একটি কালো ব্যাগ। মূলত ওই দুই যুবকই খুন করেছে জোবায়েদকে। তাদের মধ্যে একজন বোরহানুদ্দীন কলেজের  প্রথম বর্ষের মাহির রহমান। যার সঙ্গে গত ৯ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে জোবায়েদের ওই ছাত্রী বর্ষার। বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্ষাকে আটকের পর  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আমাদের কাছে অনেক তথ্য দিয়েছে। সে বলেছে, পাশাপাশি বাড়িতেই বর্ষা ও মাহিরের বেড়ে ওঠা ছোট থেকে। তাদের মধ্যে ছিল দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্কের ভাঙন হয় এবং বর্ষা তার বয়ফ্রেন্ড (প্রেমিক) মাহির রহমানকে জানায়, সে তার টিউশন টিচার জোবায়েদকে পছন্দ করে। তবে জোবায়েদকে সে তার পছন্দের কথা এখনো জানায়নি। এটা জানার পর ক্ষুব্ধ হয় মাহির। কিন্তু এর কোনো কিছুই জানতো না জোবায়েদ। জোবায়েদের সঙ্গে বর্ষার কোনো ধরনের কোনো মেসেজও পাওয়া যায়নি। নিজের অন্তরের ক্ষোভ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মাহির রেকি করে- কখন জোবায়েদ বর্ষাকে পড়াতে তাদের বাসায় আসে এবং যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রোববার বর্ষাদের বাসার সিঁড়িতে আগে থেকে ওত পেতে ছিল মাহির রহমান। কালো ব্যাগের মধ্যে ছিল ধারালো ছুরি। আর জোবায়েদ কখন কোথায় আছে, কোন পর্যন্ত এসেছে তা সবই বর্ষার মাধ্যমে জানছিল। যখনই জোবায়েদ বর্ষাদের বাসায় প্রবেশ করে তখনই পেছন থেকে গলায় ছুরি দিয়ে টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় মাহির ও তার বন্ধু।

এদিকে, বেশ কিছুদিন আগে বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের বন্ধু সৈকতের ফেসবুকে পরিচয় হয়। প্রায়ই  সৈকতের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো বর্ষার। জোবায়েদকে হত্যার পর রোববার বিকালে ওই সৈকতকেই বর্ষা মেসেজ করে জোবায়েদের খুনের কথা প্রথম জানায়। এরপরই জোবায়েদের মৃত্যুর খবর জানাজানি হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সালমান শাহ হত্যা মামলা: পুনরায় তদন্তের নির্দেশ

বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানি চুক্তির নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু ভারতের

০৭:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার”

দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।

সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মধ্যে শফিউল আজিম, ড. এ কে এম মতিউর রহমান, ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মো. নূরুল আলম, মো. আজিজুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, মো. সামসুল আরেফিন, মো. মশিউর রহমান ও মো. মনজুর হোসেনকে জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ওই ধারা অনুযায়ী কারও চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়াই সরকার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে। তবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হয়।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব অবসরকালীন সুবিধা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর বেশ কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে ওএসডি করা হয়।

সমকালের একটি শিরোনাম”বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানি চুক্তির নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু ভারতের”

বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানিসংক্রান্ত চুক্তি নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। দেশটির এনটিপিসি বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড ত্রিপুরার পালাটানা কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য চুক্তি নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সম্প্রতি দপ্তরটির এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ করপোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি ২০২৬ সালের মার্চ মাসে শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই বাংলাদেশ চুক্তি নবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ায় ভারতের পক্ষেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এনটিপিসি সূত্র জানিয়েছে।

এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগমের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর টিএসইসিএলের এমডি দেবাশীষ বোসের সঙ্গে নবায়নের বিষয়ে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠক করেছেন। দেবাশীষ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা বিপিডিবির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিএসইসিএল বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে এবং নভেম্বর থেকে এটি ১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। প্রক্রিয়া অনুসারে, এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম এখন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক করবে। যদি তারা রাজি হয়, তাহলে আমরা প্রতিবেশী দেশটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাব।’

নেপালে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে দেবাশীষ বলেন, ‘নেপালের তুলনায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বেশি কার্যকর। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সম্প্রসারণের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিভাজনে বিশ্বাসী নই, সবাইকে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়াই বিএনপির দর্শন: মির্জা ফখরুল”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে আমরা সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা কোনো বিভাজনে বিশ্বাসী নই, সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গী করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলাই বিএনপির দর্শন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সোমনাথ দে, কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল ও সমেন সাহার নেতৃত্বে ৫০ জন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালেই রেইনবো স্টেটের বিষয়ে বলেছেন। যেখানে সব ধর্ম, মত ও পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। দেশে অনেক বিভাজন, ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি করা হয়েছে। রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে ফেলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু মানুষ প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার চিত্র দেখতে চায় না, ঐক্যের রাজনীতি সৃষ্টি করাই মূল কথা।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিগত অবস্থান, ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিভিন্ন কারণে দেশে অনেক বিভাজনের সৃষ্টি করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে অনেকেই ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিআর করতে হবে থেকে শুরু করে অনেক কথা হচ্ছে, আমরা সেসব বলি না। আমরা বলি, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম এবং ২৪-এ একটি সুযোগ এসেছে নতুন করে বাংলাদেশ তৈরি করার। আমরা সব সম্প্রদায় এ ভূখণ্ডে একসঙ্গে বসবাস করতে চাই এবং সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বিএনপি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

মানবজমিনের একটি শিরোন “প্রেমের বলি নাকি রাজনীতি”

পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলা (১৫ নম্বর বাড়ি)। ভবনটির তিনতলার সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় এক নারীসহ মোট তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ধারণা করছে অন্য দুইজনের প্রেমের বলি হয়ে থাকতে পারেন জোবায়েদ। এর বাইরে রাজনৈতিক টার্গেটকে বিবেচনায় রেখেছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, যে শিক্ষার্থীকে জোবায়েদ প্রাইভেট পড়াতেন তার সঙ্গে অন্য একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্প্রতি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এর জেরেই জোবায়েদ খুন হতে পারেন। তবে জোবায়েদের সহপাঠী ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা রাজনীতির বিষয়টিও তদন্তের বিবেচনায় আনার কথা বলছেন। কারণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জোবায়েদ পরিচিত মুখ ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিল থেকে অভিযোগ করা হয়, ৫ই আগস্টের পর থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হত্যার জন্য একটি ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলার ৫ম তলায় ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বর্ষাকে টিউশন পড়াতে গিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ। এর ১৫ মিনিটের মাথায়ই তার বন্ধুদের কাছে খবর আসে জোবায়েদ আর নেই। সাম্য, জাফর, রিয়াজ, শামীমসহ জবি’র শিক্ষার্থীরা ওই রৌশান ভিলায় প্রবেশের পর দেখতে পান- ভবনের তিন তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। আর তিনতলার সিঁড়ির উপর পড়ে আছে জোবায়েদের নিথর দেহ। ভবনের দুই তলা ও তিনতলার দরজাতেও রক্তের দাগ স্পষ্ট। কেউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে জোবায়েদকে। মুহূর্তেই শত শত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে পুরো এলাকা ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। খবর দেয়া হয় বংশাল থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

ওই বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে,  ঘটনার সময় দুই যুবক দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় কালো টুপি, গায়ে লাল টি-শার্ট। আরেকজনের গায়ে কালো শার্ট, পরনে সাদা প্যান্ট ও পায়ে সাদা জুতা। তার ঘাড়ে ছিল একটি কালো ব্যাগ। মূলত ওই দুই যুবকই খুন করেছে জোবায়েদকে। তাদের মধ্যে একজন বোরহানুদ্দীন কলেজের  প্রথম বর্ষের মাহির রহমান। যার সঙ্গে গত ৯ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে জোবায়েদের ওই ছাত্রী বর্ষার। বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্ষাকে আটকের পর  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আমাদের কাছে অনেক তথ্য দিয়েছে। সে বলেছে, পাশাপাশি বাড়িতেই বর্ষা ও মাহিরের বেড়ে ওঠা ছোট থেকে। তাদের মধ্যে ছিল দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্কের ভাঙন হয় এবং বর্ষা তার বয়ফ্রেন্ড (প্রেমিক) মাহির রহমানকে জানায়, সে তার টিউশন টিচার জোবায়েদকে পছন্দ করে। তবে জোবায়েদকে সে তার পছন্দের কথা এখনো জানায়নি। এটা জানার পর ক্ষুব্ধ হয় মাহির। কিন্তু এর কোনো কিছুই জানতো না জোবায়েদ। জোবায়েদের সঙ্গে বর্ষার কোনো ধরনের কোনো মেসেজও পাওয়া যায়নি। নিজের অন্তরের ক্ষোভ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মাহির রেকি করে- কখন জোবায়েদ বর্ষাকে পড়াতে তাদের বাসায় আসে এবং যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রোববার বর্ষাদের বাসার সিঁড়িতে আগে থেকে ওত পেতে ছিল মাহির রহমান। কালো ব্যাগের মধ্যে ছিল ধারালো ছুরি। আর জোবায়েদ কখন কোথায় আছে, কোন পর্যন্ত এসেছে তা সবই বর্ষার মাধ্যমে জানছিল। যখনই জোবায়েদ বর্ষাদের বাসায় প্রবেশ করে তখনই পেছন থেকে গলায় ছুরি দিয়ে টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় মাহির ও তার বন্ধু।

এদিকে, বেশ কিছুদিন আগে বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের বন্ধু সৈকতের ফেসবুকে পরিচয় হয়। প্রায়ই  সৈকতের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো বর্ষার। জোবায়েদকে হত্যার পর রোববার বিকালে ওই সৈকতকেই বর্ষা মেসেজ করে জোবায়েদের খুনের কথা প্রথম জানায়। এরপরই জোবায়েদের মৃত্যুর খবর জানাজানি হয়।