সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রেললাইনে এক কলেজছাত্রের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর মানসিক চাপে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মৃতের পরিচয় ও পেশাগত তথ্য
নিহত শিক্ষার্থীর নাম মতিুর রহমান (২১)। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার পানিছড়া গ্রামের মৃত কুতু মিয়ার ছেলে এবং এমসি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন।
ঘটনার বিবরণ
বুধবার সকালে পরৈরচক এলাকায় রেললাইনের পাশে মতিুরের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পরিবারের বক্তব্য
পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, সম্প্রতি কিছু ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মতিুর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তার বড় ভাই রিয়াজুল ইসলাম জানান, “সে ছিল আমাদের পরিবারের সবচেয়ে ছোট এবং প্রিয় সন্তান। সকালে বোনের বাসা থেকে বের হয়, কিন্তু আর ফিরে আসেনি।”
পুলিশের মন্তব্য ও তদন্ত
সিলেট রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস জানান, “লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তবে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।”
এই ঘটনাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়, অনলাইন হয়রানি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে। মতিুরের মৃত্যুর ঘটনায় সমাজে আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা ও মানসিক সহায়তা কাঠামো জোরদারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।