১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

‘দ্য উইচার’ সিজন ৪: লিয়াম হেমসওর্থের গেরাল্ট—সমালোচকেরা বলছেন ‘আত্মবিশ্বাসী রিসেট

কী বদলেছে, কেন কাজ করেছে
নেটফ্লিক্সের ‘দ্য উইচার’-এ গেরাল্টের চরিত্রে লিয়াম হেমসওর্থ; প্রথম প্রতিক্রিয়ায় সিরিজকে আগের চেয়ে গুছানো মনে হয়েছে। অ্যাকশনের গতি-ছন্দ পরিষ্কার, অপ্রয়োজনীয় রসিকতা কম, আর অভিনয়ে তিনি ক্যাভিলকে অনুকরণ না করে সংযত-কঠিন এক গেরাল্ট দাঁড় করিয়েছেন। ইয়েনেফার-সিরির আর্কও বেশি ফোকাস পেয়েছে—কাহিনি ছড়িয়ে না গিয়ে ন্যারেটিভ টান ধরে রেখেছে। শীতল রঙ, গ্রাউন্ডেড কোরিওগ্রাফি, মনস্টার-অব-দ্য-উইক-এর নোয়ার আবহ—সব মিলিয়ে টোনও স্থির। অভিনেতা বদলের ধাক্কা সামলে প্রযোজকেরা জমকালো চমকের চেয়ে শৈল্পিক সংহতি বেছে নিয়েছেন—এটাই বড় সাফল্য।

প্ল্যাটফর্ম কৌশল: রিলিজ ছন্দ ও ফ্যান আচরণ
এপিসোড ধাপে ধাপে ছাড়ায় আলোচনার স্থায়িত্ব বাড়ছে; রিভিউ-বাজ আর দর্শক-মুখে-মুখে প্রচারের ব্যবধানও কমছে। নতুন গেরাল্ট দর্শককে তুলনার বদলে প্রত্যাশা নতুন করে ঠিক করার সুযোগ দিচ্ছে। নেটফ্লিক্সের জন্য এটি বড় ছবি—ফ্যান্টাসি স্লেট, মার্চেন্ডাইজ, বই-গেমের বিক্রি—সবই ‘উইচার’ ইকোসিস্টেমে ভর করে। ভিউ স্থির থাকলে সিজন ৪ প্রমাণ করতে পারে—বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ‘হ্যান্ডওভার’ হলে রিবুট ছাড়াই ফ্র্যাঞ্চাইজি টিকে থাকে। ঝুঁকি হলো—বিশিষ্ট প্রতিপক্ষ ও স্মরণীয় সাবপ্লট না থাকলে সিরিজ কেবল কার্যকর হয়ে থেমে যেতে পারে। আপাতত সমালোচকেরা দেখছেন আত্মবিশ্বাসী রিসেট—ক্রিচার-হান্টিংয়ের শিকড়ে ফিরে রাজনৈতিক ঝুঁকিও বজায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

হংকং বাজারে সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার বিক্রি শুরু

‘দ্য উইচার’ সিজন ৪: লিয়াম হেমসওর্থের গেরাল্ট—সমালোচকেরা বলছেন ‘আত্মবিশ্বাসী রিসেট

০৬:০৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

কী বদলেছে, কেন কাজ করেছে
নেটফ্লিক্সের ‘দ্য উইচার’-এ গেরাল্টের চরিত্রে লিয়াম হেমসওর্থ; প্রথম প্রতিক্রিয়ায় সিরিজকে আগের চেয়ে গুছানো মনে হয়েছে। অ্যাকশনের গতি-ছন্দ পরিষ্কার, অপ্রয়োজনীয় রসিকতা কম, আর অভিনয়ে তিনি ক্যাভিলকে অনুকরণ না করে সংযত-কঠিন এক গেরাল্ট দাঁড় করিয়েছেন। ইয়েনেফার-সিরির আর্কও বেশি ফোকাস পেয়েছে—কাহিনি ছড়িয়ে না গিয়ে ন্যারেটিভ টান ধরে রেখেছে। শীতল রঙ, গ্রাউন্ডেড কোরিওগ্রাফি, মনস্টার-অব-দ্য-উইক-এর নোয়ার আবহ—সব মিলিয়ে টোনও স্থির। অভিনেতা বদলের ধাক্কা সামলে প্রযোজকেরা জমকালো চমকের চেয়ে শৈল্পিক সংহতি বেছে নিয়েছেন—এটাই বড় সাফল্য।

প্ল্যাটফর্ম কৌশল: রিলিজ ছন্দ ও ফ্যান আচরণ
এপিসোড ধাপে ধাপে ছাড়ায় আলোচনার স্থায়িত্ব বাড়ছে; রিভিউ-বাজ আর দর্শক-মুখে-মুখে প্রচারের ব্যবধানও কমছে। নতুন গেরাল্ট দর্শককে তুলনার বদলে প্রত্যাশা নতুন করে ঠিক করার সুযোগ দিচ্ছে। নেটফ্লিক্সের জন্য এটি বড় ছবি—ফ্যান্টাসি স্লেট, মার্চেন্ডাইজ, বই-গেমের বিক্রি—সবই ‘উইচার’ ইকোসিস্টেমে ভর করে। ভিউ স্থির থাকলে সিজন ৪ প্রমাণ করতে পারে—বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ‘হ্যান্ডওভার’ হলে রিবুট ছাড়াই ফ্র্যাঞ্চাইজি টিকে থাকে। ঝুঁকি হলো—বিশিষ্ট প্রতিপক্ষ ও স্মরণীয় সাবপ্লট না থাকলে সিরিজ কেবল কার্যকর হয়ে থেমে যেতে পারে। আপাতত সমালোচকেরা দেখছেন আত্মবিশ্বাসী রিসেট—ক্রিচার-হান্টিংয়ের শিকড়ে ফিরে রাজনৈতিক ঝুঁকিও বজায়।